মালদা, ১১ এপ্রিল : কর্মীসভা থেকে ফেরার পথে কংগ্রেসের সাংসদ ও বিধায়কের গাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজারের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নঘরিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসার ছবি ধরা পড়েছে একাধিক জায়গায়। সেই ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেসি বিধায়ক সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর হামলার অভিযোগ উঠল মালদায়। আজ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ওরফে ডালুবাবু ও মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম নঘরিয়ায় কর্মীসভায় অংশ নিতে যান। ফেরার পথে তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীরা ওই এলাকা থেকে বিধায়ক ও সাংসদকে ওই বের করে নিয়ে আসেন। ঘটনার পরে আক্রান্ত সাংসদ ও বিধায়ক ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস কর্মীর নূরপুর, মথুরাপুর, মানিকচক ও নিয়ামতপুরে খানিকক্ষণ পথ অবরোধ করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।
আরও পড়ুন- তিনদিন আটকাতে পারবে, চতুর্থদিন আমি কোচবিহার যাব : মমতা
মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম বলেন, “আজ দুপুরে আমি ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি ডালুবাবু ফুলবাড়িয়া এলাকায় কর্মীসভায় গিয়েছিলাম। ফেরার পথে ফুলবাড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল প্রধান জাইদুল শেখের নেতৃত্বে গুন্ডা বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। ওরা আমাদের প্রাণে মারার ছক কষেছিল। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। আগে মালদা জেলার রাজনীতি এরকম ছিল না। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট লুঠের ঘটনা থেকে এই রাজনৈতিক হিংসা শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে।”