মালদা, 10 এপ্রিল : ভোটে জিতল ইংরেজবাজারের নাম পরিবর্তনের দিকে এগোবেন এখানকার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী । আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন । তাঁর দাবি, এবারের ভোটে এই কেন্দ্রে তাঁর জয় নিশ্চিত । একইভাবে বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত।
একুশের ভোটে ইংরেজবাজার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের কিষান মোর্চার রাজ্য সহ সভানেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে । গত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী ছিলেন । যদিও সেই নির্বাচনে তিনি হাজার সাতেক ভোটে হেরে যান । এবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে আজ প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি ।
তিনি বলেন, "ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের 294টি আসনের মধ্যে এই কেন্দ্রে আমাদের ফল সবচেয়ে ভালো হয়েছিল । সেই ভোটে ইংলিশবাজার ও নকশালবাড়ি কেন্দ্রে দলের ফল সবচেয়ে ভালো হয় । আমাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অনেক আগেই বলেছেন, ঊনিশে হাফ, একুশে সাফ । তাই আমরা এই নির্বাচনে রাজ্যের সঙ্গে মালদায় বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা দিতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি । গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এখন আমাদের সংগঠনও হাজার গুণ শক্তিশালী । মানুষের মধ্যে আমরা অসম্ভব উৎসাহ, উদ্দীপনা লক্ষ্য করছি । যেন সুযোগ পেলে আজই তাঁরা বিজেপিকে জিতিয়ে আনবেন । মেয়েদের সুরক্ষা, শান্তি, বেকারদের চাকরি, রাজ্যের উন্নয়ন, আধুনিকীকরণ ও প্রযুক্তির জন্য মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানাচ্ছেন ।"
আরও পড়ুন : বিজেপি হেরে গিয়েছে বলে ভোটারদের গুলি করে মারছে : মমতা
একুশের ভোটে বিজেপির ইস্তাহার কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন শ্রীরূপাদেবী। ভোটে জিতলে এই কেন্দ্রের জন্য কী করবেন? তিনি বলেন, "মালদা শহরের নাম ইংলিশবাজার কেন হল ? সেই নাম এতদিন কেনই বা থাকল ? এনিয়ে আমি আগেও আন্দোলন করেছি । আমি চেয়েছিলাম ইংলিশবাজারের নাম নিয়ে জনমত করা হোক । c এই শহরে জঞ্জাল ফেলার কোনও জায়গা নেই, আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই । মালদা শহরকে স্মার্ট সিটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও কিছু হয়নি । শুধু টাকাপয়সা লুটপাট হয়েছে । এসব কাজের ব্যবস্থা করা আমার লক্ষ্য। মালদায় উড়ান চালু করাও আমার নজরে রয়েছে। শুধু শহর নয়, এই কেন্দ্রের গ্রামাঞ্চলেও এসব নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে এবং সেই কাজ করবই। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হলে এই জেলার ছবিটাই আমরা বদলে দেব। গঙ্গার ভাঙন রোধ ও মহানন্দার নাব্যতা বাড়ানোর কাজও করব আমরা। ইংরেজবাজার পৌরসভার হাতে গোনা কয়েকজন বিজেপি কাউন্সিলর থাকলেও তাঁরা কাজ করার কোনও সুযোগ পাননি। এবার মানুষ চাইলে আমরা তাঁদের জন্য কাজ করতে চাই।"