মালদা, 25 এপ্রিল : "করোনাকে শিখণ্ডি করে কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করছেন ৷ করোনা নিয়ে তিনি চিন্তিত হলে আগেই সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন ", এবার করোনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এই ভাষায় সমালোচনা করলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ মানিকচকের সভার পর এদিন সাংবিকদের সামনে তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বানানোর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল ৷ অন্যান্য রাজ্যে তা বানানো হয়েছে ৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই টাকা কী করলেন? এই প্ল্যান্ট বানানোর জন্য তিনি কোনও টাকা খরচ করেননি ৷" কেন্দ্রের টাকা আসা সত্ত্বেও কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷
মানিকচক শিক্ষা নিকেতন মাঠে বিজেপির এই নির্বাচনি সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ সভাস্থলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বক্তব্য ভার্চুয়ালি শোনানো হয় ৷ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে লকেট, প্রথমেই তৃণমূল সরকারের 10 বছরের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন ৷ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তিনি বলেন, "আগামীকাল মুর্শিদাবাদে ভোট ৷ অথচ তিনি সেখানে বসে আছেন ৷ তাঁর থাকার কথা বাড়িতে ৷ কিন্তু মালদা-মুর্শিদাবাদ থেকে তাঁকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে ৷ তৃণমূলের সরকার ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে ৷ 2020 সালেও কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মোকাবিলা করেছে ৷ এবারও করবে ৷ " এরপর তিনি সকলকে করোনা সতর্কতা মেনে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার আহ্বান জানান ৷
বৈষ্ণবনগরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন গেরুয়া তারকা মিঠুন চক্রবর্তী ৷ করোনা আবহে সেই সভায় বেশ কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে টনক নড়েছিল নির্বাচন কমিশনের ৷ বিজেপির কাছে তার ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছিল ৷ পরে কমিশনের নির্দেশে এনিয়ে বৈষ্ণবনগর থানায় এফআইআর দায়ের করে জেলা নির্বাচন দফতর ৷ কিন্তু তাতেও হুঁশ ফেরেনি জেলা বিজেপির ৷ আজ যখন জেলার ছ’টি কেন্দ্রের দিকে রওনা দিচ্ছেন ভোটকর্মীরা, তখন মানিকচক কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী গৌরচন্দ্র মণ্ডলের সমর্থনে প্রচার করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসুরা ৷ কমিশনের নির্দেশিকা মেনে সভায় 500 জনের উপস্থিতির কথা বলা হলেও বাস্তবে লোক হয়েছিল তার অনেক বেশি ৷ তবে এনিয়ে আজ বিজেপির কোনও নেতা-নেত্রীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷
আরও পড়ুন : কবে পায়ের প্লাস্টার কাটবেন, ভার্চুয়াল সভায় নিজেই জানালেন মমতা
সভা শেষে লকেট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “নির্বাচন কমিশন যখন এই রাজ্যে আট দফার নির্বাচন ঘোষণা করেছিল, তখনই তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর হয়তো অসুবিধে হয়েগিয়েছিল ৷ " তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যথেষ্ট ভালভাবে ভোট করাচ্ছে ৷ মানুষ নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন ৷ ছ’দফার ভোট খুব ভালো হয়েছে ৷ বাকি দু’দফার ভোটও ভালো হবে বলে আশাবাদী তিনি ৷