ETV Bharat / state

পুজোর আগে বন্যা মানিকচকে, জলবন্দী প্রায় দেড় হাজার পরিবার - মানিকচকে বন্যা

গঙ্গা ও ফুলহর নদীতে বেড়েছে জলস্তর । যার জেরে জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে । ইতিমধ্যে জলে আটকে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার ।

বন্য়া
author img

By

Published : Sep 22, 2019, 3:39 PM IST

Updated : Sep 23, 2019, 7:03 PM IST

মালদা, 22 সেপ্টেম্বর : পুজোর আগে বন্যায় ভ্রূকুটি মানিকচকের বাসিন্দাদের ৷ গত কয়েকদিন ধরে বাড়তে বাড়তে চরম বিপদসীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গা ৷ বাড়তে শুরু করেছে ফুলহরের জলস্তরও ৷ ইতিমধ্যেই মানিকচকের ভূতনি চরের কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকেছে ৷ জলবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার । কিন্তু অভিযোগ, সরকারিভাবে এখনও কোনও সাহায্য এসে পৌঁছায়নি । তাই সরকারি ত্রাণের দিকেই চেয়ে রয়েছে মানিকচকের ভুতনি গদাই চরের বাসিন্দারা ৷ যদিও মানিকচকের BDO সুরজিৎ পণ্ডিত জানিয়েছেন, গতকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ জলবন্দীদের যোগাযোগের জন্য সাতটি নৌকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷ আজ সকাল থেকে গদাই চর এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ বহাল রয়েছে ৷

গত কয়েকদিন ধরেই ফুঁসতে শুরু করেছে গঙ্গা ও ফুলহর ৷ আজ গঙ্গার জলস্তর চরম বিপদসীমা (বিপদসীমা 24.69 মিটার, চরম বিপদসীমা 25.30 মিটার) ছাড়িয়ে গেছে ৷ সেচ দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দুপুর 1 টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 25.31 মিটার ৷ এখনও বেড়ে চলেছে জলস্তর ৷ ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গেছে বহু বাড়ি । এমন কী, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও জলের নিচে ৷ জলবন্দী মানুষ অবশ্য এখনও বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে যায়নি ৷ জলের উপর মাচা বেঁধেই বসবাস শুরু করেছেন তাঁরা ৷ যোগাযোগের জন্য যানবাহন বলতে টিনের তৈরি ছোটো ডোঙা ৷

অন্যদিকে গঙ্গার জলের চাপ পড়ছে ফুলহরেও ৷ আজ দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.09 মিটার ৷ এই মুহূর্তে বিপদসীমার (27.43 মিটার) সামান্য নিচে দিয়ে বইছে এই নদী ৷ ফুলহরের জল উঠতে শুরু করেছে নদীতীরের অসংরক্ষিত এলাকায় ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রতুয়া 1 ব্লকের রুহিমারি, জঞ্জালিটোলা, বাজিতপুর, নাককাট্টি, সম্বলপুর, রাজকিশোরটোলা, বোধনটোলা সহ একাধিক গ্রামে ঢুকে পড়েছে ফুলহরের জল ৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের মীরপাড়া, রশিদপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল সহ আরও কিছু গ্রামেও ৷ যার জেরে জলবন্দীয় হয়ে পড়েছে প্রায় 40 হাজার মানুষ ৷

দেখুন ভিডিয়ো

ভূতনি চরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল বলেন, "গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে ৷ প্রতিদিন প্রায় 6-7 ইঞ্চি করে জল বাড়ছে ৷ ইতিমধ্যেই শিবানটোলা, বারওয়ারিটোলা ও রামনগরে জল ঢুকেছে ৷ কোথাও এক হাঁটু জল, কোথাও আবার এক কোমর ৷ জলের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে ৷ মানিকচকের BDO কিংবা স্থানীয় সদস্য কেউ এখনও পর্যন্ত এলাকায় আসেনি ৷" একই বক্তব্য স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় মণ্ডলেরও ৷ তিনি বলেন, "গত দু'দিনে যে হারে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সকলেই সমস্যায় পড়েছে ৷ এই হারে জল বাড়তে থাকলে গ্রামে থাকা আর সম্ভব হবে না ৷ সামনে পুজো, তার আগে বন্যা হলে দুর্দশার শেষ থাকবে না ৷ এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কেউ এলাকা পরিদর্শন করতে আসেনি ৷ প্রায় দেড় হাজার পরিবার জলের তলায় দিন কাটাচ্ছেন ৷ আপাতত মানুষজন আশেপাশের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে ৷"

মানিকচকের BDO সুরজিৎ পণ্ডিত জানান, ভুতনি চরের প্রায় 300 পরিবার জলবন্দী হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে ৷ বাকি এলাকাগুলিতেও ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ চলছে ৷ বানভাসীদের যোগযোগের জন্য সাতটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ রতুয়া 1 ব্লকের জয়েন্ট BDO শুভঙ্কর আচার্য জানান, বন্যা পরিস্থিতির পুরো রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে ৷

জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানান, পাঁচটি অঞ্চলের প্রায় 15 হাজার পরিবার জলবন্দী হয়েছেন ৷ বানভাসিদের জন্য ত্রাণ ও ত্রিপল নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ প্রশাসনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্য করা হবে ৷

মালদা, 22 সেপ্টেম্বর : পুজোর আগে বন্যায় ভ্রূকুটি মানিকচকের বাসিন্দাদের ৷ গত কয়েকদিন ধরে বাড়তে বাড়তে চরম বিপদসীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গা ৷ বাড়তে শুরু করেছে ফুলহরের জলস্তরও ৷ ইতিমধ্যেই মানিকচকের ভূতনি চরের কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকেছে ৷ জলবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার । কিন্তু অভিযোগ, সরকারিভাবে এখনও কোনও সাহায্য এসে পৌঁছায়নি । তাই সরকারি ত্রাণের দিকেই চেয়ে রয়েছে মানিকচকের ভুতনি গদাই চরের বাসিন্দারা ৷ যদিও মানিকচকের BDO সুরজিৎ পণ্ডিত জানিয়েছেন, গতকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ জলবন্দীদের যোগাযোগের জন্য সাতটি নৌকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷ আজ সকাল থেকে গদাই চর এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ বহাল রয়েছে ৷

গত কয়েকদিন ধরেই ফুঁসতে শুরু করেছে গঙ্গা ও ফুলহর ৷ আজ গঙ্গার জলস্তর চরম বিপদসীমা (বিপদসীমা 24.69 মিটার, চরম বিপদসীমা 25.30 মিটার) ছাড়িয়ে গেছে ৷ সেচ দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দুপুর 1 টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 25.31 মিটার ৷ এখনও বেড়ে চলেছে জলস্তর ৷ ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গেছে বহু বাড়ি । এমন কী, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও জলের নিচে ৷ জলবন্দী মানুষ অবশ্য এখনও বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে যায়নি ৷ জলের উপর মাচা বেঁধেই বসবাস শুরু করেছেন তাঁরা ৷ যোগাযোগের জন্য যানবাহন বলতে টিনের তৈরি ছোটো ডোঙা ৷

অন্যদিকে গঙ্গার জলের চাপ পড়ছে ফুলহরেও ৷ আজ দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.09 মিটার ৷ এই মুহূর্তে বিপদসীমার (27.43 মিটার) সামান্য নিচে দিয়ে বইছে এই নদী ৷ ফুলহরের জল উঠতে শুরু করেছে নদীতীরের অসংরক্ষিত এলাকায় ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রতুয়া 1 ব্লকের রুহিমারি, জঞ্জালিটোলা, বাজিতপুর, নাককাট্টি, সম্বলপুর, রাজকিশোরটোলা, বোধনটোলা সহ একাধিক গ্রামে ঢুকে পড়েছে ফুলহরের জল ৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের মীরপাড়া, রশিদপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল সহ আরও কিছু গ্রামেও ৷ যার জেরে জলবন্দীয় হয়ে পড়েছে প্রায় 40 হাজার মানুষ ৷

দেখুন ভিডিয়ো

ভূতনি চরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল বলেন, "গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে ৷ প্রতিদিন প্রায় 6-7 ইঞ্চি করে জল বাড়ছে ৷ ইতিমধ্যেই শিবানটোলা, বারওয়ারিটোলা ও রামনগরে জল ঢুকেছে ৷ কোথাও এক হাঁটু জল, কোথাও আবার এক কোমর ৷ জলের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে ৷ মানিকচকের BDO কিংবা স্থানীয় সদস্য কেউ এখনও পর্যন্ত এলাকায় আসেনি ৷" একই বক্তব্য স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় মণ্ডলেরও ৷ তিনি বলেন, "গত দু'দিনে যে হারে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সকলেই সমস্যায় পড়েছে ৷ এই হারে জল বাড়তে থাকলে গ্রামে থাকা আর সম্ভব হবে না ৷ সামনে পুজো, তার আগে বন্যা হলে দুর্দশার শেষ থাকবে না ৷ এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কেউ এলাকা পরিদর্শন করতে আসেনি ৷ প্রায় দেড় হাজার পরিবার জলের তলায় দিন কাটাচ্ছেন ৷ আপাতত মানুষজন আশেপাশের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে ৷"

মানিকচকের BDO সুরজিৎ পণ্ডিত জানান, ভুতনি চরের প্রায় 300 পরিবার জলবন্দী হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে ৷ বাকি এলাকাগুলিতেও ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ চলছে ৷ বানভাসীদের যোগযোগের জন্য সাতটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ রতুয়া 1 ব্লকের জয়েন্ট BDO শুভঙ্কর আচার্য জানান, বন্যা পরিস্থিতির পুরো রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে ৷

জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানান, পাঁচটি অঞ্চলের প্রায় 15 হাজার পরিবার জলবন্দী হয়েছেন ৷ বানভাসিদের জন্য ত্রাণ ও ত্রিপল নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ প্রশাসনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্য করা হবে ৷

Intro:মালদা, ২২ সেপ্টেম্বরঃ পুজোর আগে বন্যার ভ্রূকুটি মানিকচকে৷ গত কয়েকদিন ধরে বাড়তে বাড়তে আজ চরম বিপদসীমা পেরিয়ে গেছে গঙ্গা৷ বাড়তে শুরু করেছে ফুলহরের জলস্তরও৷ ইতিমধ্যেই মানিকচকের ভূতনি চরের বেশ কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকেছে৷ ওই এলাকার প্রায় দেড় হাজার পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে৷ সরকারিভাবে তাদের এখনও কোনও সাহায্য করা হয়নি বলে অভিযোগ৷ এই অবস্থায় সরকারি ত্রাণের দিকে চেয়ে রয়েছে মানিকচকের ভূতনি গদাইচরের বাসিন্দারা৷ যদিও মানিকচকের বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত জানিয়েছেন, গতকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে৷ জলবন্দিদের যোগাযোগের জন্য ৭টি নৌকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ আজ সকাল থেকে গদাই চর এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ বহাল রয়েছে৷Body:গত কয়েকদিন ধরেই ফুঁসতে শুরু করেছে গঙ্গা ও ফুলহর৷ আজ গঙ্গার জলস্তর চরম বিপদসীমা (বিপদসীমা ২৪.৬৯ মিটার, চরম বিপদসীমা ২৫.৩০ মিটার) ছাড়িয়ে গেছে৷ সেচ দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দুপুর ১টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৫.৩১ মিটার৷ এখনও বেড়ে চলেছে জলস্তর৷ জলের তলায় চলে গেছে বহু বাড়ি, এমনকি একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও৷ জলবন্দি মানুষ অবশ্য এখনও বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে যায়নি৷ জলের উপর মাচা বেঁধেই বসবাস শুরু হয়েছে এলাকায়৷ যোগাযোগ চলছে টিনের তৈরি ছোটো ডোঙায়৷ এদিকে গঙ্গার জলের চাপ পড়ছে ফুলহরেও৷ জল বাড়ছে এই নদীরও৷ আজ দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল ২৭.০৯ মিটার৷ এই মুহূর্তে বিপদসীমার (২৭.৪৩ মিটার) সামান্য নীচ দিয়ে বইছে নদী৷ ফুলহরের জল উঠতে শুরু করেছে নদীতীরের অসংরক্ষিত এলাকায়৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রতুয়া ১ ব্লকের রুহিমারি, জঞ্জালিটোলা, বাজিতপুর, নাককাট্টি, সম্বলপুর, রাজকিশোরটোলা, বোধনটোলা সহ একাধিক গ্রামে ঢুকে পড়েছে ফুলহরের জল৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের মীরপাড়া, রশিদপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল প্রভৃতি গ্রামেও৷ সেই সব এলাকাতেও জলবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ৷
ভূতনি চরের বাসিন্দা, মিলন মণ্ডল জানান, "দিনরাতে গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে৷ প্রতিদিন প্রায় ৬-৭ ইঞ্চি করে জল বাড়ছে৷ ইতিমধ্যেই শিবানটোলা, বারওয়ারিটোলা রামনগরে জল ঢুকেছে৷ কোথাও এক হাঁটু জল, কোথাও আবার এক কোমর৷ জলের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে৷ মানিকচকের বিডিও কিংবা স্থানীয় মেম্বার কেউ এখনও পর্যন্ত এলাকায় আসেনি৷" একই বক্তব্য স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় মণ্ডলের৷ তিনি বলেন, "গত দুদিনে যেহারে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সকলেই সমস্যায় পড়েছে৷ এই হারে জল বাড়তে থাকলে গ্রামে থাকা আর সম্ভব হবে না৷ সামনে পুজো, তার আগে বন্যা হলে দুর্দশার শেষ থাকবে না৷ এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে কেউ এলাকা পরিদর্শন করতে আসেনি৷ প্রায় দেড় হাজার পরিবার জলের তলায় দিন কাটাচ্ছেন৷ আপাতত মানুষজন আশেপাশের কোনও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে৷"
মানিকচকের বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত জানান, ভূতনি চরের প্রায় ৩০০ পরিবার জলবন্দি হয়েছে৷ ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে৷ বাকি এলাকাগুলিতেও ত্রাণ পৌঁছনোর কাজ চলছে৷ বানভাসিদের যোগযোগের জন্য ৭টি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ রতুয়া ১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও শুভঙ্ক আচার্য জানান, বন্যা পরিস্থিতির পুরো রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে৷Conclusion:জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল জানান, পাঁচটি অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার জলবন্দি হয়েছেন৷ বানভাসি মানুষদের জন্য ত্রাণ ও ত্রিপল নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে৷ প্রশাসনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্য করা হবে৷
Last Updated : Sep 23, 2019, 7:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.