ETV Bharat / state

পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ - পরিযায়ী শ্রমিক

দেড় মাস আগে মতিহারপুর সংলগ্ন কুশমায় গ্রামের শ্রমিক সরবরাহকারী অর্জুন দাস এলাকার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে হায়দরাবাদে পাঠায়৷ সেখানে সবাইকে বাড়ি নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়৷ হায়দরাবাদ নিয়ে যাওয়ার আগে অর্জুন শ্রমিকদের অগ্রিম বাবদ কিছু টাকা দিয়েছিল ৷ কিছুদিন কাজ করার পর হায়দরাবাদের ঠিকাদারদের কাছে পারিশ্রমিক চায় আমার স্বামী৷ কারণ, বাড়িতে কোনও টাকা পয়সা ছিল না ৷ টাকা চাইতেই তাকে বেধড়ক মারধর করে ঠিকাদাররা ৷

মৃতের পরিবার
মৃতের পরিবার
author img

By

Published : Mar 18, 2021, 5:47 PM IST

মালদা, 18 মার্চ : ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে পারিশ্রমিক চাওয়ায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ৷ একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক৷ তাঁদের একজন কলকাতা, আরেকজন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ এই ঘটনায় এলাকার এক শ্রমিক সরবরাহকারী সহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত শ্রমিকের স্ত্রী ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ ৷

মৃত শ্রমিকের নাম মাবুদ আলি৷ বয়স 46 বছর৷ বাড়ি চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিহারপুর গ্রামে৷ চাঁচলে চিকিৎসাধীন শ্রমিকের নাম তরুণ দাস৷ কলকাতায় চিকিৎসাধীন শ্রমিকের নাম অনুকূল দাস৷ তবে তিনি কোথায় ভর্তি রয়েছেন, তা এখনও জানতে পারেনি পরিবারের লোকজন৷

আরও পড়ুন : মোস্তাক আলম কি পারলেন হরিশচন্দ্রপুরের পাশে থাকতে ?

মাবুদ আলির স্ত্রী জোবেদা বিবি বলেন, “দেড় মাস আগে মতিহারপুর সংলগ্ন কুশমায় গ্রামের শ্রমিক সরবরাহকারী অর্জুন দাস এলাকার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে হায়দরাবাদে পাঠায়৷ সেখানে সবাইকে বাড়ি নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়৷ হায়দরাবাদ নিয়ে যাওয়ার আগে অর্জুন শ্রমিকদের অগ্রিম বাবদ কিছু টাকা দিয়েছিল৷ কিছুদিন কাজ করার পর হায়দরাবাদের ঠিকাদারদের কাছে পারিশ্রমিক চায় আমার স্বামী৷ কারণ, বাড়িতে কোনও টাকাপয়সা ছিল না৷ টাকা চাইতেই তাকে বেধড়ক মারধর করে ঠিকাদাররা৷ একই পরিস্থিতি হয় এলাকার আরও দু’জনের৷ এদিকে ঠিকাদাররা ওদের ঠিকমতো খেতেও দিত না৷ তাই এই তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে কলকাতার ট্রেনে চাপে ৷ শুনতে পাচ্ছি, ট্রেনের মধ্যেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়৷ রেলপুলিশ তার দেহ উদ্ধার করেছে ৷ রেলপুলিশ ঘটনাটি চাঁচল থানায় জানায় ৷ সেখান থেকে আমাদের এই খবর দেওয়া হয় ৷ আমি এর জন্য চাঁচল থানায় অর্জুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ৷ ওর শাস্তি চাই৷”

পিটিয়ে মেরে ফেলা হল এক পরিযায়ী শ্রমিককে

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণবাবু বলেন, “হায়দরাবাদে 45 দিন কাজ করার পর ঠিকমতো খাবার ও পারিশ্রমিক না পেয়ে আমরা তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই৷ টাকা চাইতে গিয়ে আমাদের মার খেতে হয়েছে৷ তাই 46 দিনের মাথায় তিনজন ট্রেনে চেপে বসি৷ কিন্তু ট্রেনেই মারা যায় মাবুদ৷ কলকাতায় আসার পর ওদের লোক আমাদের দু’জনকে ধরে ফেলে৷ তারা আমাদের পালিয়ে আসার কারণ জিজ্ঞেস করতে থাকে৷ আমরা ওদের কাছে এখনও টাকা পাব৷ তবে মাবুদকে কে বা কারা মেরেছে, তা বলতে পারব না৷ তখন মার খেয়ে আমার জ্ঞানই ছিল না৷”

আরও পড়ুন : হরিশ্চন্দ্রপুর আসন নিয়ে বামফ্রন্টে জট অব্যাহত, লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু ফরওয়ার্ড ব্লকের

মতিহারপুরের বাসিন্দা মোস্তাফা বলেন, “গ্রামের বেশ কিছু শ্রমিক 45 দিন আগে দাদনে হায়দরাবাদ খাটতে গিয়েছিল ৷ মৃত শ্রমিকের পরিবার আমাদের জানিয়েছে, টাকা চাইতে গিয়ে ঠিকাদাররা ওকে বেধড়ক মারধর করেছে৷ ওর সঙ্গে আরও দু’জনকেও মারধর করা হয়েছে৷ এরপর ওরা তিনজন পালিয়ে কলকাতা চলে আসে৷ কিন্তু কলকাতায় রেল পুলিশের উপস্থিতিতেই মাবুদ মারা যায়৷ এখান থেকে ওই শ্রমিকদের হায়দরাবাদ নিয়ে যায় কুশমায় গ্রামের শ্রমিক সরবরাহকারী অর্জুন দাস৷ অর্জুনের কাছেই এই শ্রমিকরা টাকা পেত৷ টাকা চাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ গ্রামবাসীদের তরফে আমরা এই ঘটনার যথাযথ বিচার চাই৷”

মালদা, 18 মার্চ : ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে পারিশ্রমিক চাওয়ায় এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ৷ একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক৷ তাঁদের একজন কলকাতা, আরেকজন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ এই ঘটনায় এলাকার এক শ্রমিক সরবরাহকারী সহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত শ্রমিকের স্ত্রী ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ ৷

মৃত শ্রমিকের নাম মাবুদ আলি৷ বয়স 46 বছর৷ বাড়ি চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিহারপুর গ্রামে৷ চাঁচলে চিকিৎসাধীন শ্রমিকের নাম তরুণ দাস৷ কলকাতায় চিকিৎসাধীন শ্রমিকের নাম অনুকূল দাস৷ তবে তিনি কোথায় ভর্তি রয়েছেন, তা এখনও জানতে পারেনি পরিবারের লোকজন৷

আরও পড়ুন : মোস্তাক আলম কি পারলেন হরিশচন্দ্রপুরের পাশে থাকতে ?

মাবুদ আলির স্ত্রী জোবেদা বিবি বলেন, “দেড় মাস আগে মতিহারপুর সংলগ্ন কুশমায় গ্রামের শ্রমিক সরবরাহকারী অর্জুন দাস এলাকার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে হায়দরাবাদে পাঠায়৷ সেখানে সবাইকে বাড়ি নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়৷ হায়দরাবাদ নিয়ে যাওয়ার আগে অর্জুন শ্রমিকদের অগ্রিম বাবদ কিছু টাকা দিয়েছিল৷ কিছুদিন কাজ করার পর হায়দরাবাদের ঠিকাদারদের কাছে পারিশ্রমিক চায় আমার স্বামী৷ কারণ, বাড়িতে কোনও টাকাপয়সা ছিল না৷ টাকা চাইতেই তাকে বেধড়ক মারধর করে ঠিকাদাররা৷ একই পরিস্থিতি হয় এলাকার আরও দু’জনের৷ এদিকে ঠিকাদাররা ওদের ঠিকমতো খেতেও দিত না৷ তাই এই তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে কলকাতার ট্রেনে চাপে ৷ শুনতে পাচ্ছি, ট্রেনের মধ্যেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়৷ রেলপুলিশ তার দেহ উদ্ধার করেছে ৷ রেলপুলিশ ঘটনাটি চাঁচল থানায় জানায় ৷ সেখান থেকে আমাদের এই খবর দেওয়া হয় ৷ আমি এর জন্য চাঁচল থানায় অর্জুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ৷ ওর শাস্তি চাই৷”

পিটিয়ে মেরে ফেলা হল এক পরিযায়ী শ্রমিককে

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণবাবু বলেন, “হায়দরাবাদে 45 দিন কাজ করার পর ঠিকমতো খাবার ও পারিশ্রমিক না পেয়ে আমরা তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই৷ টাকা চাইতে গিয়ে আমাদের মার খেতে হয়েছে৷ তাই 46 দিনের মাথায় তিনজন ট্রেনে চেপে বসি৷ কিন্তু ট্রেনেই মারা যায় মাবুদ৷ কলকাতায় আসার পর ওদের লোক আমাদের দু’জনকে ধরে ফেলে৷ তারা আমাদের পালিয়ে আসার কারণ জিজ্ঞেস করতে থাকে৷ আমরা ওদের কাছে এখনও টাকা পাব৷ তবে মাবুদকে কে বা কারা মেরেছে, তা বলতে পারব না৷ তখন মার খেয়ে আমার জ্ঞানই ছিল না৷”

আরও পড়ুন : হরিশ্চন্দ্রপুর আসন নিয়ে বামফ্রন্টে জট অব্যাহত, লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু ফরওয়ার্ড ব্লকের

মতিহারপুরের বাসিন্দা মোস্তাফা বলেন, “গ্রামের বেশ কিছু শ্রমিক 45 দিন আগে দাদনে হায়দরাবাদ খাটতে গিয়েছিল ৷ মৃত শ্রমিকের পরিবার আমাদের জানিয়েছে, টাকা চাইতে গিয়ে ঠিকাদাররা ওকে বেধড়ক মারধর করেছে৷ ওর সঙ্গে আরও দু’জনকেও মারধর করা হয়েছে৷ এরপর ওরা তিনজন পালিয়ে কলকাতা চলে আসে৷ কিন্তু কলকাতায় রেল পুলিশের উপস্থিতিতেই মাবুদ মারা যায়৷ এখান থেকে ওই শ্রমিকদের হায়দরাবাদ নিয়ে যায় কুশমায় গ্রামের শ্রমিক সরবরাহকারী অর্জুন দাস৷ অর্জুনের কাছেই এই শ্রমিকরা টাকা পেত৷ টাকা চাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ গ্রামবাসীদের তরফে আমরা এই ঘটনার যথাযথ বিচার চাই৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.