ETV Bharat / state

চাকরি দেওয়ার নামে দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে - তৃণমূল

অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে, গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি করে দেওয়ার নামে বছর দুয়েক আগে ওই তৃণমূল নেতা অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন ৷ সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ৩০ লাখের উপর ৷

অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী
অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী
author img

By

Published : Jan 13, 2021, 8:48 AM IST

Updated : Jan 13, 2021, 8:56 AM IST

মালদা, 13 জানুয়ারি : চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল রতুয়ার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দলেরই এক কর্মী ৷ ওই নেতা আবার জেলা পরিষদের সদস্য ৷ টাকা ফেরতের দাবিতে গতকাল রতুয়ার ভাদো এলাকায় ওই নেতাকে ঘিরে ধরে কয়েকজন বাসিন্দা ৷ সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মীরাও ৷ অভিযোগ, টাকা ফেরত চাওয়ায় নেতার লোকজন এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন ৷ এদিকে রাস্তায় তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে দাবি করে ওই নেতাও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি ৷

অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে, গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি করে দেওয়ার নামে বছর দুয়েক আগে ওই তৃণমূল নেতা অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন ৷ সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ৩০ লাখের উপর ৷ চাকরিপ্রার্থীরা সবাই দলের কর্মী কিংবা তাঁদের আত্মীয় ৷ কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও চাকরি না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানাতে থাকেন ৷ কিন্তু হুমায়ুন কবীর তাঁদের দিনের পর দিন ঘোরাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ৷ আজ তাঁর বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে যান জুবাইর আহমেদ নামে দলেরই এক কর্মী ৷ সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন ৷ অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইতেই ওই নেতা ও তাঁর ছেলে জুবাইরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ৷ এমনকী বন্দুক দেখিয়ে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ ।

অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর বক্তব্য ও পালটা বক্তব্য

আরও পড়ুন : 85 হাজার টাকার জালনোট ও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চাঁচলে গ্রেপ্তার 3

জুবাইর বলেন, “দু’বছর আগে হুমায়ুন কবীরকে চাকরির নামে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু তিনি কাউকে চাকরি করে দিতে পারেননি ৷ গত দু’তিন মাস ধরে আমরা টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁর কাছে ঘুরছি ৷ আজ তিনি টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন ৷ আমরা কয়েকজন তাঁর বাড়িতে টাকা চাইতে যাই ৷ টাকা চাইতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালানো হয় ৷ অস্ত্রের আঘাত আটকাতে গিয়ে আমার হাত কেটে যায় ৷ আমাদের চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে হুমায়ুনের ছেলে নাসিম আখতার আমাদের পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয় ৷ স্থানীয়দের তৎপরতায় আমরা বেঁচে গিয়েছি৷”

আবদুল হালিম নামে একজন বলেন, প্রাথমিকে চাকরির জন্য তিনি হুমায়ুন কবীরকে 10 লাখ টাকা ও অরিজিনাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন ৷ এখনও ফেরত পাননি ৷ মহম্মদ শাহজাহান নামে আর একজন বলেন, “স্ত্রীর আশাকর্মীর চাকরির জন্য 2019 সালের 1 জানুয়ারি হুমায়ুন কবীরকে 2 লাখ টাকা দিয়েছি ৷ 10 দিনে চাকরি হয়ে যাবে বলেছিল ৷ কিন্তু চাকরি হয়নি ৷ এখন টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে হুমকি দিচ্ছে৷”

আরও পড়ুন : বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা পরাবেন কে ? শাসকদলের দুই নেতা "সম্মুখসমরে"

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে হুমায়ুন কবীর বলেন, “চাকরি দেওয়ার নামে আমি কোনওদিন কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি ৷ এটা আমার নীতি নয় ৷ তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী জোটের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে৷ ৭-৮ দিন ধরে আমাকে হেনস্থা ও মারার চেষ্টা করছে ৷ আজ এলাকার একটি রাস্তা উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় ওরা আমাকে হেনস্থা করে৷ চাকরির নামে টাকা নেওয়ার কথা কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ও জেলা পরিষদের সদস্যপদ ছেড়ে দেব৷"

ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, এনিয়ে দু’পক্ষই রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ করা হবে৷

মালদা, 13 জানুয়ারি : চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল রতুয়ার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দলেরই এক কর্মী ৷ ওই নেতা আবার জেলা পরিষদের সদস্য ৷ টাকা ফেরতের দাবিতে গতকাল রতুয়ার ভাদো এলাকায় ওই নেতাকে ঘিরে ধরে কয়েকজন বাসিন্দা ৷ সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মীরাও ৷ অভিযোগ, টাকা ফেরত চাওয়ায় নেতার লোকজন এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন ৷ এদিকে রাস্তায় তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে দাবি করে ওই নেতাও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি ৷

অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে, গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি করে দেওয়ার নামে বছর দুয়েক আগে ওই তৃণমূল নেতা অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন ৷ সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ৩০ লাখের উপর ৷ চাকরিপ্রার্থীরা সবাই দলের কর্মী কিংবা তাঁদের আত্মীয় ৷ কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও চাকরি না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানাতে থাকেন ৷ কিন্তু হুমায়ুন কবীর তাঁদের দিনের পর দিন ঘোরাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ৷ আজ তাঁর বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে যান জুবাইর আহমেদ নামে দলেরই এক কর্মী ৷ সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন ৷ অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইতেই ওই নেতা ও তাঁর ছেলে জুবাইরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ৷ এমনকী বন্দুক দেখিয়ে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ ।

অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর বক্তব্য ও পালটা বক্তব্য

আরও পড়ুন : 85 হাজার টাকার জালনোট ও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চাঁচলে গ্রেপ্তার 3

জুবাইর বলেন, “দু’বছর আগে হুমায়ুন কবীরকে চাকরির নামে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু তিনি কাউকে চাকরি করে দিতে পারেননি ৷ গত দু’তিন মাস ধরে আমরা টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁর কাছে ঘুরছি ৷ আজ তিনি টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন ৷ আমরা কয়েকজন তাঁর বাড়িতে টাকা চাইতে যাই ৷ টাকা চাইতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালানো হয় ৷ অস্ত্রের আঘাত আটকাতে গিয়ে আমার হাত কেটে যায় ৷ আমাদের চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে হুমায়ুনের ছেলে নাসিম আখতার আমাদের পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয় ৷ স্থানীয়দের তৎপরতায় আমরা বেঁচে গিয়েছি৷”

আবদুল হালিম নামে একজন বলেন, প্রাথমিকে চাকরির জন্য তিনি হুমায়ুন কবীরকে 10 লাখ টাকা ও অরিজিনাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন ৷ এখনও ফেরত পাননি ৷ মহম্মদ শাহজাহান নামে আর একজন বলেন, “স্ত্রীর আশাকর্মীর চাকরির জন্য 2019 সালের 1 জানুয়ারি হুমায়ুন কবীরকে 2 লাখ টাকা দিয়েছি ৷ 10 দিনে চাকরি হয়ে যাবে বলেছিল ৷ কিন্তু চাকরি হয়নি ৷ এখন টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে হুমকি দিচ্ছে৷”

আরও পড়ুন : বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা পরাবেন কে ? শাসকদলের দুই নেতা "সম্মুখসমরে"

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে হুমায়ুন কবীর বলেন, “চাকরি দেওয়ার নামে আমি কোনওদিন কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি ৷ এটা আমার নীতি নয় ৷ তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী জোটের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে৷ ৭-৮ দিন ধরে আমাকে হেনস্থা ও মারার চেষ্টা করছে ৷ আজ এলাকার একটি রাস্তা উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় ওরা আমাকে হেনস্থা করে৷ চাকরির নামে টাকা নেওয়ার কথা কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ও জেলা পরিষদের সদস্যপদ ছেড়ে দেব৷"

ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, এনিয়ে দু’পক্ষই রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ করা হবে৷

Last Updated : Jan 13, 2021, 8:56 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.