মালদা, ১৯ ফেব্রুয়ারি : ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল এক যুবক। ধরা পড়ার পর শুনতে হয় কটূক্তি। সেই কটূক্তি সহ্য করতে না পেরে সে দলবল নিয়ে এক মহিলা ও পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত মহিলা বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়ার হরিজনপাড়ার গতরাতের ঘটনা।
আক্রান্ত মহিলার নাম গীতা হরিজন (৩৭)। স্বামী মনোজ হরিজন পেশায় টোটো চালক। অভিযোগ, মাস দুয়েকের মধ্যে গীতাদেবীর ৪টি ছাগল চুরি হয়েছে। গতকাল বিকেলে স্থানীয় বিকাশ হরিজন নামে এক যুবককে ছাগল চুরির সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন গীতাদেবী। রাগে গালিগালাজ করেন গীতাদেবী। সেই কটূক্তি সহ্য করতে না পেরে সন্ধেয় মদ্যপ অবস্থায় দলবল নিয়ে গীতাদেবীর বাড়িতে চড়াও হয় বিকাশ। বাঁশ দিয়ে গীতাদেবীর মাথায় মারে সে। গীতাদেবীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তাঁর ছেলে কুন্দন হরিজন ও বোনের ছেলে আনন্দ হরিজন। তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কুন্দন ও আনন্দকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গীতাদেবী এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।
গীতাদেবী জানান, তাঁরা হাতেনাতে ছাগল চুরি করার সময় ধরে ফেলেন বিকাশ হরিজনকে। প্রতিবাদ করায় বিকাশ হরিজন, বাপন হরিজন, সীতারাম হরিজন, পিঙ্কি হরিজন সহ ৬ জন মিলে তাঁদের মারধর করে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।