মালদা, 13 মার্চ: তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে তবেই মিলবে একশো দিনের কাজের জবকার্ড, মিলবে ঘর ৷ শাসকদলে যোগ দেওয়ার জন্য এভাবেই বিরোধী দলের কর্মীদের চাপ দিচ্ছেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দাস (allegation against TMC leader of Chanchol) বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
মালদার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথের তৃণমূল সদস্য রাখি কর্মকার দাস । তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ দাস এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত । সম্প্রতি বিশ্বজিৎ দাসের একটি অডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । সেই অডিয়ো ক্লিপে তাঁকে মনোজ সাহা নামে এক বিজেপি কর্মীকে বলতে শোনা গিয়েছে, "টিএমসিতে যোগদান কর । ঝান্ডা ধর। সঙ্গে সঙ্গে জবকার্ড পেয়ে যাবে । ঘরও পাইয়ে দেব ।” যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ।
আরও পড়ুন : একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে কারচুপি হয়েছে, অভিযোগ জয়প্রকাশ-রাজীবের
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মনোজ সাহা নামে ওই বিজেপি কর্মী বলেন, “আমি দেশের নাগরিক । বিজেপি করি । আমার জবকার্ড নেই । বহুবার চাঁচল পঞ্চায়েতে গিয়েছি । কিন্তু চার বছর ধরে আমাকে ঘোরানো হচ্ছে । গতকাল আমি পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী বিশ্বজিৎদা'কে ফোন করি । তিনি আমাকে বলেন, তৃণমূলে যোগদান করতে হবে । তাহলেই আমাকে জবকার্ড দেওয়া হবে । ইন্দিরা আবাস যোজনার ঘর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উনি বলেন, তৃণমূলে যোগদান না করা পর্যন্ত হবে না ।” যদিও সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দাস । তিনি বলেন, “আমি এরকম কোনও কথা কাউকে বলিনি । এসব মিথ্যে।” বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। তৃণমূলে কাটমানি, দুর্নীতি ছাড়া কিছু নেই। তা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। একজন সাধারণ মানুষকে সরকারি সুবিধে পেতে হলে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে হবে । বিজেপি করার অপরাধে সাধারণ মানুষকে সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে ।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, “যদি কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প পাওয়ার জন্য তৃণমূলে যোগদান করতে বলে, তবে তার বিরুদ্ধে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।” বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও ।