মালদা, 13 নভেম্বর : নিখোঁজ মালদার কৃষি দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা প্রদীপকুমার বসাক ৷ সম্প্রতি বদলির অর্ডার এসেছিল তাঁর । বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার অফিসে চার্জ নেওয়ারও কথা ছিল । কিন্তু সোমবার থেকে হঠাৎই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ গতকাল ইংরেজবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি করেছেন সহকর্মীরা৷ খবর পেয়ে মালদায় পৌঁছেছেন পরিবারের লোকজন৷ নিখোঁজ কৃষি আধিকারিকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷
গত 16 বছর ধরে মালদায় কর্মরত প্রদীপবাবু ৷ তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ার হুড়ার কালীপুর গ্রামে৷ পরিবারে স্ত্রী নিরুপমা হাঁসদা ও ছেলেমেয়ে রয়েছে৷ গত মার্চ মাসে নিরুপমাদেবী পুরুলিয়ায় চলে যান৷ তারপর থেকে মালদায় সরকারি কোয়ার্টারে একাই থাকতেন প্রদীপবাবু৷ সম্প্রতি তাঁর বদলির অর্ডার হয়েছে৷ পুরুলিয়াতেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সেখানে তাঁর চার্জ নেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সোমবার থেকে আর কোনও সন্ধান নেই প্রদীপবাবুর ৷
এপ্রসঙ্গে প্রদীপবাবুর সহকর্মী, তাঁদের সংগঠনের জেলা সম্পাদক নবেন্দু বসাক বলেন, "প্রদীপ মালদার রাজ্য কৃষিফার্মে কর্মরত ছিলেন৷ সোমবার থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না৷ বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় তাঁর চার্জ নেওয়ার কথা ছিল৷ এনিয়ে রবিবার আমার সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়েছিল ৷ গোটা ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন৷ ইংরেজবাজার থানায় মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছে । তাঁকে উদ্ধারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি করেছি৷ আজ তাঁর স্ত্রী ও শ্যালকও মালদায় এসেছেন৷ তাঁরাও থানায় গেছিলেন৷ তাঁর ঘরের দরজায় কোনও তালা দেওয়া ছিল না৷ তিনি কোথায় রয়েছেন জানি না৷ তবে কোনও মানসিক সমস্যাও আমরা লক্ষ্য করিনি৷"
স্ত্রী নিরুপমাদেবী বলেন, "সোমবার সকাল 7টায় আমি তাঁকে ফোন করেছিলাম৷ কিন্তু একাধিকবার রিং হলেও ফোন ধরেননি৷ তখন আমার সন্দেহ হয়, হয়তো উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ আমি পাশের বাড়ির বউদিকে ফোন করে তাঁর খোঁজ নিতে বলি৷ বউদি ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে দেখতে পাননি৷ আমাদের দু'জনের আধার আর ভোটার কার্ডও ঘরে নেই ৷ ওই কার্ডগুলি নিয়েই কি তিনি কোথাও বেরিয়ে পড়লেন?"
এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি প্রদীপের৷ ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশে । নিখোঁজ কৃষি আধিকারিকের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷