মালদা, 17 জুলাই: দলীয় কর্মীকে খুনের অভিযোগে বামনগোলা থানার নালাগোলা ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ঝাঁটা হাতে পুলিশকর্মীদের তাড়া করতে দেখা গেল স্থানীয় মহিলাদের। ভাঙচুর চালানো হল পুলিশ ফাঁড়ির একাংশেও। এদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেফতার করে মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।
রবিবার সকালে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত বুরান মুর্মুর। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বুরানবাবুর পুত্রবধূ শর্মিলা মাড্ডি শাসকদলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপির কাছে হেরে যায়। সেই আক্রোশ থেকে বুরানবাবুর ছেলে বিপ্লব মুর্মু ও তার স্ত্রী শর্মিলা মাড্ডি পরিকল্পনা মাফিক মারধর করে বুরানবাবুকে খুন করে। পরে পুলিশি তদন্ত থেকে বাঁচতে বুরানবাবুর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিপ্লব মুর্মু ও শর্মিলা মাড্ডিকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের আজ পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত দু'জনের তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ আদালতে যাওয়ার পথে বিপ্লব জানায়, জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে তারা বুরানবাবুকে মারধর করেছিল। তাই বুরানবাবু নিজেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বামনগোলা থানার নালাগোলা ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিজেপি। উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, হবিবপুরের বিধায়ক জয়েল মুর্মু ও উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের নেতৃত্বে চলে বিজেপির বিক্ষোভ।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় মহিলারা ঝাঁটা হাতে পুলিশকর্মীদের তাড়া করেন। এমনকী নালাগোলা ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। খগেন মুর্মু বলেন, "গতকাল আমাদের বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বাকিরা কোথায় গেল? শাসকদলের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আর আইসি বলছেন, খুন নয়। আইসির উচিৎ উর্দি খুলে শাসকদলের মিছিলে হাঁটা। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।"
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন, এবার দক্ষিণ 24 পরগনার বিষ্ণুপুরে