মালদা, 29 জানুয়ারি : পুরাতন মালদার পর বামনগোলা ৷ সরকারি শিবিরে ধান নিয়ে এসে বিক্রি করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ল কৃষকরা ৷ সকাল থেকে শুরু হওয়া কৃষক বিক্ষোভ চলছে এখনও ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বামনগোলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত কিষান মান্ডি কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনও কর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি ৷ এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় ৷
বুলেন রাজবংশী নামে এক কৃষক বলেন, "আমরা আগেই ধান বিক্রির জন্য এখান থেকে স্লিপ সংগ্রহ করি ৷ সেই স্লিপে 30 কুইন্টাল ধান বিক্রির উল্লেখ রয়েছে ৷ আজ আমাদের ধান বিক্রির ডেট রয়েছে ৷ এখন বলছে, প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে 10 কুইন্টালের বেশি ধান কেনা হবে না ৷ তাহলে বাকি ধান নিয়ে আমরা কোথায় যাব ? গতকাল সন্ধেয় আমাদের এই নয়া নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু গতকাল সকালেই পাইকাররা আমাদের জানিয়ে দেয়, আজ থেকে কারও কাছ থেকে 10 কুইন্টালের বেশি ধান কেনা হবে না ৷ যে খবর আমরা রাতে পাচ্ছি, সেই খবর ওরা আগে কীভাবে পেল ? অর্থাৎ ওদের সঙ্গে অফিসারদের যোগ রয়েছে ৷ আজ আমরা যে ধান নিয়ে এসেছি, সব ধান সরকারকে কিনতে হবে ৷"
আরও পড়ুন : আন্দোলনে অনড় কৃষকরা, গাজিপুর সীমান্তে মোতায়েন আরও পুলিশকর্মী
ভবতোষ রায় নামে আরেক চাষি বলেন, "গতকাল বিকেল পাঁচটার সময় নালাগোলা থেকে 10-12টি ভ্যান বোঝাই ধান এই বাজারে এসেছে ৷ সেই ধান কেনা হয়েছে ৷ তাহলে আমাদের ধান কিনবে না কেন ? প্রত্যেকের কাছ থেকে 30 কুইন্টাল ধান কেনার জন্য আমাদের ডেট দিয়েছে ৷ ডেট দেওয়ার পর ধান কেনার মধ্যে অনেক সময় চলে গিয়েছে ৷ এখন বলা হচ্ছে, 10 কুইন্টালের বেশি ধান কেনা হবে না ৷ আমাদের দাবি, আজ আমরা যে ধান নিয়ে এসেছি, তার সবটাই কিনতে হবে ৷"