মালদা, 29 এপ্রিল: স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য খাদ্যসামগ্রী বিলিতে দ্বিচারিতা করছেন ৷ এই অভিযোগে আজ মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের সোনাতলা গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা বিক্ষোভে সামিল হন ৷ সামাজিক দূরত্ব না মেনেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ এ নিয়ে BDO ও এলাকার বিধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতল্লি সোনাতলা গ্রামে 175টি পরিবারের বাস ৷ গ্রামের পুরুষরা বেশিরভাগই আমবাগানের শ্রমিক ৷ মহিলারা বিড়ি বাঁধেন ৷ এখন আমের মরশুম ৷ অন্য বছর এই সময় শ্রমিকদের প্রচুর কাজ থাকে ৷ কিন্তু লকডাউনে আমবাগানগুলিতে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ মহিলাদের বিড়ি বাঁধার কাজও বন্ধ ৷ ঘরে খাবার নেই বললেই চলে ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দিন পনেরো আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সাবিউল ইসলাম দেড় কিলো পিঁয়াজ, দুই কিলো আলু আর 800 গ্রাম চিনি দিয়েছিলেন ৷ তারপর থেকে তাঁর আর দেখা নেই ৷ অথচ বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পাঠানো ত্রাণসামগ্রী তিনি অন্য জায়গায় বিলি করেছেন ৷ এই অভিযোগেই আজ গ্রামের বাসিন্দারা এলাকায় বিক্ষোভ দেখান ৷
গ্রামের এক বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, "আমার পরিবারে সাতজন সদস্য ৷ রেশন থেকে শুধু চাল আর আটা পাই ৷ কিন্তু শুধু ভাত আর রুটি খেয়ে কি থাকা যায় ? বাড়ির কেউ কাজে যেতে পারছে না ৷ ঘরে তেল-নুন কিছুই নেই ৷ পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বিধায়ক ও মন্ত্রীর পাঠানো খাদ্যসামগ্রী এসেছিল ৷ কিন্তু তিনি সেই সামগ্রী অন্য এলাকায় দিয়েছেন ৷ কেন আমাদের সঙ্গে এই বঞ্চনা করা হবে ? আমরা খাদ্যসামগ্রী চাই ৷ এনিয়ে BDO ও বিধায়কের কাছে আমরা লিখিত আবেদন জানাচ্ছি ৷" একই বক্তব্য গ্রামের কামরুন বিবি, নুরফা বেওয়া, আনসারুল শেখদেরও ৷ প্রত্যেকেই সাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ৷ যদিও সাবিউল ইসলামের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তাঁর মোবাইল ফোনও অফ ৷
ওই গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই মানুষ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে ৷ সব জায়গায় চাহিদামতো খাদ্যসামগ্রী বিলি করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ তবু সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য কী করা যায় তা দেখছি ৷ এই বিপদের সময় তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করব ৷"
খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন না, বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মালদার গ্রামে
ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতল্লি সোনাতলা গ্রামে 175টি পরিবারের বাস ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দিন পনেরো আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সাবিউল ইসলাম দেড় কিলো পিঁয়াজ, দুই কিলো আলু আর 800 গ্রাম চিনি দিয়েছিলেন ৷ তারপর থেকে তাঁর আর দেখা নেই ৷ অথচ তিনি অন্য জায়গায় খাদ্যসামগ্রী বিলি করছেন ।
মালদা, 29 এপ্রিল: স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য খাদ্যসামগ্রী বিলিতে দ্বিচারিতা করছেন ৷ এই অভিযোগে আজ মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের সোনাতলা গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা বিক্ষোভে সামিল হন ৷ সামাজিক দূরত্ব না মেনেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ এ নিয়ে BDO ও এলাকার বিধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতল্লি সোনাতলা গ্রামে 175টি পরিবারের বাস ৷ গ্রামের পুরুষরা বেশিরভাগই আমবাগানের শ্রমিক ৷ মহিলারা বিড়ি বাঁধেন ৷ এখন আমের মরশুম ৷ অন্য বছর এই সময় শ্রমিকদের প্রচুর কাজ থাকে ৷ কিন্তু লকডাউনে আমবাগানগুলিতে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ মহিলাদের বিড়ি বাঁধার কাজও বন্ধ ৷ ঘরে খাবার নেই বললেই চলে ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দিন পনেরো আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সাবিউল ইসলাম দেড় কিলো পিঁয়াজ, দুই কিলো আলু আর 800 গ্রাম চিনি দিয়েছিলেন ৷ তারপর থেকে তাঁর আর দেখা নেই ৷ অথচ বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পাঠানো ত্রাণসামগ্রী তিনি অন্য জায়গায় বিলি করেছেন ৷ এই অভিযোগেই আজ গ্রামের বাসিন্দারা এলাকায় বিক্ষোভ দেখান ৷
গ্রামের এক বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, "আমার পরিবারে সাতজন সদস্য ৷ রেশন থেকে শুধু চাল আর আটা পাই ৷ কিন্তু শুধু ভাত আর রুটি খেয়ে কি থাকা যায় ? বাড়ির কেউ কাজে যেতে পারছে না ৷ ঘরে তেল-নুন কিছুই নেই ৷ পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বিধায়ক ও মন্ত্রীর পাঠানো খাদ্যসামগ্রী এসেছিল ৷ কিন্তু তিনি সেই সামগ্রী অন্য এলাকায় দিয়েছেন ৷ কেন আমাদের সঙ্গে এই বঞ্চনা করা হবে ? আমরা খাদ্যসামগ্রী চাই ৷ এনিয়ে BDO ও বিধায়কের কাছে আমরা লিখিত আবেদন জানাচ্ছি ৷" একই বক্তব্য গ্রামের কামরুন বিবি, নুরফা বেওয়া, আনসারুল শেখদেরও ৷ প্রত্যেকেই সাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ৷ যদিও সাবিউল ইসলামের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ তাঁর মোবাইল ফোনও অফ ৷
ওই গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই মানুষ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে ৷ সব জায়গায় চাহিদামতো খাদ্যসামগ্রী বিলি করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ তবু সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য কী করা যায় তা দেখছি ৷ এই বিপদের সময় তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করব ৷"