মালদা, 13 অক্টোবর: স্কুল চলাকালীনই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে চাঞ্চল্য মালদা শহরে (Allegation of student molestation) ৷ বৃহস্পতিবার স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলল অভিভাবকদের (Agitation at Malda school) ৷ মালদা শহরের 3 নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনি এলাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল জিএসএফপি বিদ্যালয় (GSFP School)। স্কুলের পাশেই রয়েছে একটি ক্লাবের মাঠ। গতকাল অর্থাৎ বুধবার স্কুলের টিফিনের সময় বাচ্চারা ওই মাঠে খেলা করছিল। স্থানীয় ও অভিভাবকদের অভিযোগ, সেই সময় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি 3 ছাত্রীকে লক্ষ্মী প্রতিমা দেখানোর অছিলায় মাঠে নিয়ে যায়। দুই ছাত্রী পালিয়ে চলে এলেও এক ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে ওই ব্যক্তি।
এরপরে কোনওরকমে পালিয়ে আসে তৃতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়াও। প্রথমে ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি সে। অন্যদিকে, বাকি দুই পড়ুয়া সমস্ত বিষয়টি অভিভাবকদের গিয়ে জানায়। এদিন স্কুলে এসে ওই দুই পড়ুয়ার অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে বিষয়টি জানান। অভিযোগ, সমস্ত কিছু শোনার পরেও অভিভাবকদের সহায়তা করতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষিকা।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এদিন ফের দুই পড়ুয়াকে স্কুলের পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেই সময় পড়ুয়ারা ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে। এরপরেই অভিভাবকরা ওই ব্যক্তিকে আটক করে স্কুলের গেটে বেঁধে। খবর দেয় ইংরেজবাজার থানায়। খবর পেয়ে স্কুল চত্বরে যান স্থানীয় কাউন্সিলরও। এরপরেই স্কুলের শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
এক অভিভাবক গৌতম ঘোষ বলেন, "এক যুবক স্কুলের তিন ছাত্রীকে টানতে টানতে পিছনে নিয়ে গিয়েছে। দুই ছাত্রী পালিয়ে এলেও একজনকে জড়িয়ে ধরে সে। কোনওরকমে ওই ছাত্রী পালিয়ে আসে। শিক্ষকদের বিষয়টি জানালে শিক্ষকরা জানান, 'এটা আমাদের দায়িত্ব না। আমরা বাচ্চাদের স্কুলে রাখি শিক্ষকদের হেফাজতে।' কিন্তু তারা যদি পড়ুয়াদের দায়িত্ব নিতে রাজি না থাকেন তাহলে কীভাবে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাব?"
আরও পড়ুন: ভরা বাজারে ছাত্রের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ! শিলিগুড়িতে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক
পরবর্তীতে নিজেদের গাফিলতি স্বীকার করে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী রায় বলেন, "গতকাল টিফিনের সময় বাচ্চারা মাঠে খেলা করছিল। এক যুবক সেই সময় তিনছাত্রীকে লক্ষ্মী ঠাকুর দেখানোর নামে পিছনদিকে নিয়ে যায়। ওই যুবক এক পড়ুয়াকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। ছাত্রীরা পালিয়ে এলে ওই যুবক পালিয়ে যায়। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, পুলিশ এসে ওই যুবককে নিয়ে গিয়েছে।" স্থানীয় কাউন্সিলর শিপ্রা রায় বলেন, "এক যুবক স্কুলের এক বাচ্চাকে পিছন দিকে নিয়ে যায়, ওই শিশুর সঙ্গে কিছু ঘটেছে কি না, তা অভিভাবকরা বলতে পারবেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।"