ETV Bharat / state

Primary Recruitment : প্রাথমিকে থমকে নিয়োগ, মালদায় বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের - প্রাথমিকে নিয়োগ

হাইকোর্টের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশিত হলেও নিয়োগ থমকে মালদার প্রাথমিক বিদ্য়ালয়গুলিতে ৷ তারই প্রতিবাদে শুক্রবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা ৷

agitation at Malda District Primary School Council in demand of Recruitment
Primary Recruitment : হাইকোর্টের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশিত হলেও প্রাথমিকে থমকে নিয়োগ, মালদায় বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের
author img

By

Published : Aug 6, 2021, 8:37 PM IST

মালদা, 6 অগস্ট : নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল বাম আমলে ৷ পরীক্ষাও হয়েছিল সেই সময়েই ৷ কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর বাম আমলের সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ বলে ঘোষণা করে তৃণমূল সরকার ৷ এ নিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ আদালতের নির্দেশে 2014 সালে ফের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের ৷ গত ফেব্রুয়ারিতে তার প্যানেলও প্রকাশিত হয়েছে ৷ কিন্তু এখনও নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ এভাবে পেরিয়ে গিয়েছে পাক্কা 12টা বছর ! কবে নিয়োগ হবে, জানাতে পারছেন না জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকও ৷ তিনিই এখন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ৷ বারবার তাঁর দফতর থেকে খালি হাতে ফিরে যেতে যেতে ধৈর্য্যচ্যুতি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের ৷ তারই প্রতিবাদে শুক্রবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ বিক্ষোভ সামাল দিতে আসতে হয় পুলিশকেও। তবে এ নিয়ে প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক সুনীতি সাঁপুইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ প্রতিবারের মতো এবারও তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ৷

আরও পড়ুন : যখনই শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা হচ্ছে, তখনই মামলা; চটলেন মুখ্যমন্ত্রী

2009-10 সালে মালদা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে 1 হাজার 331টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর ৷ এরপরই রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে ৷ নতুন সরকার এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ ঘোষণা করে ৷ এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা হয় ৷ একই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয় ! শেষবার পরীক্ষা নেওয়া হয় 2014 সালের মার্চ মাসে ৷ 2015 সালের ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয় ৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গত 10 ফেব্রুয়ারি এই বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয় ৷ প্রকাশিত সেই তালিকায় অবশ্য 1 হাজার 320 জনের নাম রয়েছে ৷

বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা

এদিকে, প্যানেল প্রকাশের পর থেকেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে যোগাযোগ করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের নিয়োগ হয়নি ৷ এদিন শিক্ষা দফতরের সামনে বিক্ষোভে সামিল দীনবন্ধু সরকার বলেন, “বাম আমলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় বর্তমান সরকার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে 2014 সালে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে ৷ কিন্তু পরীক্ষার পর প্যানেল তৈরি হলেও তা প্রকাশ করা হচ্ছিল না ৷ এ নিয়ে আমরা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই ৷ পরবর্তীতে আমরা সুপ্রিম কোর্টেও যাই ৷ পরে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেয় ৷ সেই নির্দেশের ভিত্তিতে গত 10 ফেব্রুয়ারি মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্যানেল প্রকাশ করে ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৷ কিন্তু এই জেলায় এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়নি ৷ আমরা বারবার জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকের কাছে আসছি ৷ তিনি শুধু বলছেন, দ্রুত গতিতে কাজ চলছে ৷ কিন্তু নিয়োগ কবে হবে, তা তিনি বলতে পারছেন না ৷ এঁরা আদালতকেও মানছেন না ৷ মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বারবার বলছেন, মামলার জন্যই তাঁর সরকার নিয়োগ করতে পারছেন না ৷ কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সেটা ব্যতিক্রম ৷ আমাদের জীবন থেকে 12টা বছর নষ্ট হয়ে গেল ৷ এই 12 বছর কি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আমাদের ফিরিয়ে দিতে পারবে ?”

আরও পড়ুন : Upper Primary Recruitment : উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্ত করুক সিবিআই, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

আরও এক চাকরিপ্রার্থী সুনন্দিতা সরকার বলেন, “10 ফেব্রুয়ারি প্যানেল প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা প্রতিদিন এখানে আসছি ৷ জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চাইছি, কবে আমরা নিয়োগপত্র হাতে পাব ৷ কিন্তু তিনি ছ’মাস ধরে একই কথা বলে যাচ্ছেন, কাজ দ্রুতগতিতে চলছে ৷ আপনারা সামনের সপ্তাহে আসুন ৷ ভাল খবর দিতে পারব ৷ এভাবেই এত দিন কেটে গিয়েছে ৷ কিন্তু আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷ 12 বছর ধরে আমরা একই বঞ্চনার শিকার হয়ে যাচ্ছি ৷ আজ আমরা নিয়োগের খবর জানতে ফের ডিআইয়ের কাছে এসেছিলাম ৷ কিন্তু আজও তিনি একই উত্তর দিয়েছেন ৷ আমরা এবার বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভাবছি। তাতেও কাজ না হলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাব ৷’’

মালদা, 6 অগস্ট : নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল বাম আমলে ৷ পরীক্ষাও হয়েছিল সেই সময়েই ৷ কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর বাম আমলের সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ বলে ঘোষণা করে তৃণমূল সরকার ৷ এ নিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ আদালতের নির্দেশে 2014 সালে ফের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের ৷ গত ফেব্রুয়ারিতে তার প্যানেলও প্রকাশিত হয়েছে ৷ কিন্তু এখনও নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ এভাবে পেরিয়ে গিয়েছে পাক্কা 12টা বছর ! কবে নিয়োগ হবে, জানাতে পারছেন না জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকও ৷ তিনিই এখন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ৷ বারবার তাঁর দফতর থেকে খালি হাতে ফিরে যেতে যেতে ধৈর্য্যচ্যুতি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের ৷ তারই প্রতিবাদে শুক্রবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ বিক্ষোভ সামাল দিতে আসতে হয় পুলিশকেও। তবে এ নিয়ে প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক সুনীতি সাঁপুইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ প্রতিবারের মতো এবারও তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি ৷

আরও পড়ুন : যখনই শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা হচ্ছে, তখনই মামলা; চটলেন মুখ্যমন্ত্রী

2009-10 সালে মালদা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে 1 হাজার 331টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর ৷ এরপরই রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে ৷ নতুন সরকার এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ ঘোষণা করে ৷ এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা হয় ৷ একই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয় ! শেষবার পরীক্ষা নেওয়া হয় 2014 সালের মার্চ মাসে ৷ 2015 সালের ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয় ৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গত 10 ফেব্রুয়ারি এই বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয় ৷ প্রকাশিত সেই তালিকায় অবশ্য 1 হাজার 320 জনের নাম রয়েছে ৷

বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা

এদিকে, প্যানেল প্রকাশের পর থেকেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে যোগাযোগ করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের নিয়োগ হয়নি ৷ এদিন শিক্ষা দফতরের সামনে বিক্ষোভে সামিল দীনবন্ধু সরকার বলেন, “বাম আমলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় বর্তমান সরকার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে 2014 সালে আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে ৷ কিন্তু পরীক্ষার পর প্যানেল তৈরি হলেও তা প্রকাশ করা হচ্ছিল না ৷ এ নিয়ে আমরা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই ৷ পরবর্তীতে আমরা সুপ্রিম কোর্টেও যাই ৷ পরে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেয় ৷ সেই নির্দেশের ভিত্তিতে গত 10 ফেব্রুয়ারি মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্যানেল প্রকাশ করে ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৷ কিন্তু এই জেলায় এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়নি ৷ আমরা বারবার জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকের কাছে আসছি ৷ তিনি শুধু বলছেন, দ্রুত গতিতে কাজ চলছে ৷ কিন্তু নিয়োগ কবে হবে, তা তিনি বলতে পারছেন না ৷ এঁরা আদালতকেও মানছেন না ৷ মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বারবার বলছেন, মামলার জন্যই তাঁর সরকার নিয়োগ করতে পারছেন না ৷ কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে সেটা ব্যতিক্রম ৷ আমাদের জীবন থেকে 12টা বছর নষ্ট হয়ে গেল ৷ এই 12 বছর কি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আমাদের ফিরিয়ে দিতে পারবে ?”

আরও পড়ুন : Upper Primary Recruitment : উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্ত করুক সিবিআই, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

আরও এক চাকরিপ্রার্থী সুনন্দিতা সরকার বলেন, “10 ফেব্রুয়ারি প্যানেল প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা প্রতিদিন এখানে আসছি ৷ জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চাইছি, কবে আমরা নিয়োগপত্র হাতে পাব ৷ কিন্তু তিনি ছ’মাস ধরে একই কথা বলে যাচ্ছেন, কাজ দ্রুতগতিতে চলছে ৷ আপনারা সামনের সপ্তাহে আসুন ৷ ভাল খবর দিতে পারব ৷ এভাবেই এত দিন কেটে গিয়েছে ৷ কিন্তু আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷ 12 বছর ধরে আমরা একই বঞ্চনার শিকার হয়ে যাচ্ছি ৷ আজ আমরা নিয়োগের খবর জানতে ফের ডিআইয়ের কাছে এসেছিলাম ৷ কিন্তু আজও তিনি একই উত্তর দিয়েছেন ৷ আমরা এবার বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ভাবছি। তাতেও কাজ না হলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাব ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.