মালদা, 25 অগস্ট: মিজোরামে রেল ব্রিজ ভেঙে মৃত্য়ু হয়েছিল মালদার একাধিক শ্রমিকের ৷ সেই ঘটনার 57 ঘণ্টা পর মালদায় এসে পৌঁছল দুর্ঘটনায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ । মৃতদেহের অবস্থা দেখে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শাসকদলের লোকজন । বুধবার মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেলসেতু দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মালদার 23 জন শ্রমিকের। সেখানেই মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হয়।
ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি মালদার উদ্দেশ্যে পাঠানোর কাজ শুরু হয় । অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ মালদার 18 জন শ্রমিকের দেহ মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এসে পৌঁছয় । এদিকে মৃতদেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন শাসক দলের নেতৃত্বরা । জেলা প্রশাসনের তরফে মৃতদেহগুলি মর্গের ভেতরে নিয়ে গিয়ে পুনরায় কফিন বন্দি করে বাড়িতে পাঠানো হয় । 13টি মৃতদেহ বিভিন্ন নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷
রাজ্যসভার সাংসদ তথা মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, "মৃতদেহগুলি যে নিয়ম অনুযায়ী তত্ত্বাবধান করে পাঠানোর ব্যবস্থা করার কথা ছিল সেসব কিছুই করা হয়নি । দেহগুলি কফিনের মধ্যে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় ছিল ৷ দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে ৷ এভাবে তো এক প্রকার শ্রমজীবী মানুষদের অপমান করা হচ্ছে । বিজেপির লোকজনের মধ্যে মানবিকতা নেই । স্থানীয় কোনও জনপ্রতিনিধি এখানে আসেননি । মৃতদেহগুলির যে অবস্থা হয়েছিল, তাতে প্রশাসনের তরফ থেকে পুনরায় দেহগুলিকে কোনও রকমে ঠিকঠাক করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: মালদায় গেলেন রাজ্যপাল, দেখা করবেন মিজোরামে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি বলেন, "এর আগে বিভিন্ন জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে । আমি মন্ত্রী থাকাকালীন মহারাষ্ট্রে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল । সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী কমিশনারকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে প্লেনে করে কলকাতায় মৃতদেহ এনেছিলেন । সেখান থেকে আমরা অ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহ বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম ।"