ETV Bharat / state

নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, বিপন্ন মহানন্দা বাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা - ইটিভি ভারতের জেরে মহানন্দা বাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসন

মহানন্দা নদীবাঁধের অবস্থা বেহাল ৷ বাঁধ থেকে খসে পড়ছে বোল্ডার ৷ এমন অবস্থার ছবি ইটিভি ভারতে প্রকাশ পায় ৷ তারপরেই মহানন্দা বাঁধ পরিদর্শন করল প্রশাসন ৷

নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, বিপন্ন মহানন্দা বাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা
নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, বিপন্ন মহানন্দা বাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা
author img

By

Published : Jun 24, 2021, 3:21 PM IST

মালদা, 24 জুন : ইটিভি ভারতে প্রকাশিত খবরের জেরে টনক নড়ল প্রশাসনের ৷ শেষ পর্যন্ত চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মহানন্দার বিপন্ন নদীবাঁধ পরিদর্শনে গেলেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ও জেলাপরিষদ সদস্যও ৷ বাঁধ বাঁচাতে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সেচকর্তা ৷

উল্লেখ্য, মহানন্দার রোষ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে 2012 সালে চাঁচলের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদীর পাড়ে বোল্ডার পিচিংয়ের কাজ হয়েছিল ৷ তৎকালীন জেলাপরিষদের সভাধিপতি সাবিনা ইয়াসমিন বাঁধ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত বাঁধের কোনও সংস্কার হয়নি ৷ এবছর বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে নদী ৷ বাঁধ থেকে খসে পড়ছে বোল্ডার ৷ বিপন্ন হয়ে পড়েছে বাঁধ লাগোয়া অন্তত 50টি বাড়ি ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকালই রাজ্য সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা ৷ প্রশাসন ও বিধায়কের কাছেও তাঁরা সেই আবেদন রাখেন ৷ অবশেষে আজ ওই বাঁধ পরিদর্শনে যান জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তারা ৷ ছিলেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল, বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য, সেচ দপ্তরের মহানন্দা এমব্যাংকমেন্ট বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বদিরুদ্দিন শেখ, বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, জেলাপরিষদের সেচ কর্মাধ্যক্ষ এটিএম রফিকুল হাসান প্রমুখ ৷

নদীবাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা, দেখুন ভিডিয়ো...

আরও পড়ুন : বাঁধ কাটছে মহানন্দা, দুশ্চিন্তায় নদীপাড়ের মানুষ

বদিরুদ্দিন সাহেব বলেন, “2012 সালে এই বাঁধের শেষ কাজ হয়েছে ৷ প্রথম ফেজে 600 মিটার ও দ্বিতীয় ফেজে 1200 মিটার এলাকায় বোল্ডার পিচিং করা হয়েছিল ৷ 1800 মিটার কাজের মধ্যে কিছু জায়গায় ক্ষতি দেখতে পাচ্ছি ৷ বিশেষ করে গালিমপুর এলাকায় নদীর বাঁক থাকায় সেখানেই ক্ষতি বেশি হয়েছে ৷ এনিয়ে সার্ভে করা হচ্ছে ৷ এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাঁধ সংস্কারের কাজ করা হবে ৷ তবে সেই কাজ কবে শুরু হবে তা এখনই বলতে পারব না ৷”

মহকুমাশাসক বলেন, “আজ আমরা মহানন্দার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করলাম ৷ সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারও এখানে রয়েছেন ৷ বাঁধ রক্ষা করতে যা করা প্রয়োজন, তা নিশ্চয়ই তিনি করবেন ৷ তাঁর কাছে আমাদের একটাই দাবি, বর্ষায় বাঁধ বাঁচাতে যে কাজগুলি দ্রুত করা প্রয়োজন, সেসবের ব্যবস্থা যেন তিনি করেন ৷ কবে সেই কাজ শুরু হবে, সেটা সেচ দপ্তরের বিষয় ৷ বাঁধের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ তাই কিছু কাজ আশু করা প্রয়োজন ৷”

প্রশাসনের বাঁধ পরিদর্শনে খুশি গালিমপুরের বাসিন্দা হারুন আল রশিদ ৷ এর জন্য সংবাদ মাধ্যমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের জন্যই প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা বিপন্ন বাঁধ রক্ষা করতে তৎপরতা দেখিয়েছেন ৷

মালদা, 24 জুন : ইটিভি ভারতে প্রকাশিত খবরের জেরে টনক নড়ল প্রশাসনের ৷ শেষ পর্যন্ত চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মহানন্দার বিপন্ন নদীবাঁধ পরিদর্শনে গেলেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ও জেলাপরিষদ সদস্যও ৷ বাঁধ বাঁচাতে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সেচকর্তা ৷

উল্লেখ্য, মহানন্দার রোষ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে 2012 সালে চাঁচলের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদীর পাড়ে বোল্ডার পিচিংয়ের কাজ হয়েছিল ৷ তৎকালীন জেলাপরিষদের সভাধিপতি সাবিনা ইয়াসমিন বাঁধ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত বাঁধের কোনও সংস্কার হয়নি ৷ এবছর বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে নদী ৷ বাঁধ থেকে খসে পড়ছে বোল্ডার ৷ বিপন্ন হয়ে পড়েছে বাঁধ লাগোয়া অন্তত 50টি বাড়ি ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকালই রাজ্য সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা ৷ প্রশাসন ও বিধায়কের কাছেও তাঁরা সেই আবেদন রাখেন ৷ অবশেষে আজ ওই বাঁধ পরিদর্শনে যান জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তারা ৷ ছিলেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল, বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য, সেচ দপ্তরের মহানন্দা এমব্যাংকমেন্ট বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বদিরুদ্দিন শেখ, বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, জেলাপরিষদের সেচ কর্মাধ্যক্ষ এটিএম রফিকুল হাসান প্রমুখ ৷

নদীবাঁধ পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা, দেখুন ভিডিয়ো...

আরও পড়ুন : বাঁধ কাটছে মহানন্দা, দুশ্চিন্তায় নদীপাড়ের মানুষ

বদিরুদ্দিন সাহেব বলেন, “2012 সালে এই বাঁধের শেষ কাজ হয়েছে ৷ প্রথম ফেজে 600 মিটার ও দ্বিতীয় ফেজে 1200 মিটার এলাকায় বোল্ডার পিচিং করা হয়েছিল ৷ 1800 মিটার কাজের মধ্যে কিছু জায়গায় ক্ষতি দেখতে পাচ্ছি ৷ বিশেষ করে গালিমপুর এলাকায় নদীর বাঁক থাকায় সেখানেই ক্ষতি বেশি হয়েছে ৷ এনিয়ে সার্ভে করা হচ্ছে ৷ এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাঁধ সংস্কারের কাজ করা হবে ৷ তবে সেই কাজ কবে শুরু হবে তা এখনই বলতে পারব না ৷”

মহকুমাশাসক বলেন, “আজ আমরা মহানন্দার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করলাম ৷ সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারও এখানে রয়েছেন ৷ বাঁধ রক্ষা করতে যা করা প্রয়োজন, তা নিশ্চয়ই তিনি করবেন ৷ তাঁর কাছে আমাদের একটাই দাবি, বর্ষায় বাঁধ বাঁচাতে যে কাজগুলি দ্রুত করা প্রয়োজন, সেসবের ব্যবস্থা যেন তিনি করেন ৷ কবে সেই কাজ শুরু হবে, সেটা সেচ দপ্তরের বিষয় ৷ বাঁধের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ তাই কিছু কাজ আশু করা প্রয়োজন ৷”

প্রশাসনের বাঁধ পরিদর্শনে খুশি গালিমপুরের বাসিন্দা হারুন আল রশিদ ৷ এর জন্য সংবাদ মাধ্যমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের জন্যই প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা বিপন্ন বাঁধ রক্ষা করতে তৎপরতা দেখিয়েছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.