মালদা,22 নভেম্বর: ইটিভি ভারতে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অবশেষে ঘুম ভাঙল প্রশাসনের ৷ শাসকদলের মদতে আস্ত নদী ভরাটের অভিযোগ উঠেছিল হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খন্তা গ্রামে ৷ সেই জমি প্লট করে বিক্রিও করে দেওয়া হচ্ছিল (River sold in plots) ৷ শেষ পর্যন্ত ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ভরাট হওয়া নদী ফের আর্থ মুভার দিয়ে পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে (River Restoration) ৷ প্রশাসনের এই পদক্ষেপে খুশি এলাকার মানুষ ৷
হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লক দিয়ে বয়ে গিয়েছে কালকোষ নদী ৷ বিহার থেকে এ রাজ্যে ঢুকে এই নদী ফুলহরের সঙ্গে মিশেছে ৷ এই নদীই ভরাট করার পর প্লট করে বিক্রি করে দিচ্ছিল মাফিয়ারা ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, নদীর প্লট দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা কাঠা দরে বিক্রি হচ্ছে ৷ বাইরে থেকে ট্র্যাক্টরে মাটি এনে চলছে নদী ভরাট ৷ এই মাফিয়ারা সবাই তৃণমূলের (TMC Under Scanner) ৷ তাদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না ৷ মাত্র 250 মিটার দূরে বিডিও অফিস থাকলেও ব্লক প্রশাসনও নদী ভরাট বন্ধ করতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ এ নিয়ে গত 9 নভেম্বর ইটিভি ভারতে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ৷
এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷ নদীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি ৷ সঙ্গে ছিলেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাস, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের, সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিনিধি কাউসার আলম-সহ আরও অনেকে ৷ নদীর যেসব জায়গা ভরাট করা হয়েছিল, সেই জায়গা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নামানো হয় আর্থ মুভার ৷ যদিও এ নিয়ে বিডিও কিংবা কোনও সরকারি আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি (Administration starts work of river restoration) ৷
আরও পড়ুন: মাটি ফেলে ভরাট করে প্লটে বিক্রি হচ্ছে আস্ত নদী, অভিযুক্ত তৃণমূল
কাউসার আলম বলেন, "কয়েকদিন আগে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে, এখানে নদী ভরাট করে মানুষ চাষ করছে ৷ বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা পঞ্চায়েতের তরফে নদী বাঁচানোর উদ্যোগ নিই ৷ আজ বিডিও, বিএল অ্যান্ড এলআরও, থানার আইসি এখানে এসেছেন ৷ তাঁদের নেতৃত্বে নদীকে তার পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷"