মালদা, 5 নভেম্বর: দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গার ছোবলে বিধ্বস্ত মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা (Adhir Ranjan Chowdhury Raise a question For River Erosion)৷ প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে দুই জেলার মানচিত্র ৷ আয়তন অনেকটাই কমে গিয়েছে মালদা-মুর্শিদাবাদের ৷ বিপন্ন কয়েক লাখ বাসিন্দা ৷ তার বিরুদ্ধে সরব হলেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ ভাঙন রোধের ব্যবস্থার দাবিতে আগামী 15 নভেম্বর থেকে তিনি ভাঙন প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে পদ যাত্রার ডাক ৷
এই প্রসঙ্গেই অধীররঞ্জয় বলেন, “সামশেরগঞ্জে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন হয়েছে ৷ ওই এলাকা দক্ষিণ মালদার সাংসদ ডালুবাবুর কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে ৷ আজ আমি সেখানে গিয়েছিলাম ৷ মালদাতেও গঙ্গা ভাঙনের পরিস্থিতি মারাত্মক ৷ দুই জেলার কাছেই এটা একটা অভিশাপ ৷ মালদায় আপ স্ট্রিমে ভাঙন হয় ৷ মুর্শিদাবাদে হয় ডাউন স্ট্রিমে ৷ গ্রামের পর গ্রাম গঙ্গা-পদ্মার গর্ভে চলে যাচ্ছে ৷ এনিয়ে রাজ্য আর কেন্দ্রে একে অন্যের দিকে আঙুল তুলে চলেছে৷ আমরা সংসদে বিষয়গুলি তুললেও, তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি ৷ আমি আজই কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি ৷ তাঁকে ভাঙন পরিস্থিতির কথা বলেছি ৷ তাঁকে পরিস্থিতি দেখতে আসতে বলেছি ৷ তিনি সাফ জানাচ্ছেন, তিনি যদি আমার কথায় পরিদর্শনে আসেন, তাহলেই কথা উঠবে, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বিঘ্নিত হচ্ছে ৷ কারণ, রাজ্য তাঁকে ডাকছে না ৷ বারবার বলা হলেও রাজ্য ভাঙন রোধে কোনও স্কিম পাঠাচ্ছে না ৷”
আরও পড়ুন: ঠাকুর জলে পড়তেই ফের ভাঙন শুরু, কালিয়াচকে মন্দির গিলে খেল গঙ্গা
সম্প্রতি ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রতুয়ায় ভাঙন দুর্গতদের প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ দুর্গতদের প্রশ্নবানে কার্যত এলাকা ছাড়তে হয় তাঁকে ৷ নদীর ছোবলে মারাত্মক পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ৷ সেখানে স্কুল-মন্দির-মসজিদ, সবই গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে ৷ এনিয়ে তিনি কেন্দ্র আর রাজ্য, দুই সরকারকেই দুষেছেন ৷