মালদা, 25 মে: মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতার ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷ মালদা মেডিক্যালে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের একটি গ্রামে ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে ৷ আইন নিজের পথেই চলবে বলে জানিয়েছেন এলাকার শাসকদলের বিধায়ক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালের ৷
নাবালিকার বাবা বছর দশেক আগেই মারা গিয়েছেন ৷ তার মা জানান, সেদিন সকালে আমার পাগল মেয়ে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে কাকার বাড়িতে গিয়েছিল ৷ বেলা তিনটে নাগাদ মেয়ে কাদামাখা অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে ৷ অনেক জিজ্ঞাসা করার পর মেয়ে জানায়, আমবাগানের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করা হয় ৷ ওই পরিত্যক্ত বাড়িটি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ৷ রাতে মেয়ে দুই ধর্ষককে চিহ্নিত করে ৷ একটি ছেলেকে সবাই ধরেও ফেলে ৷ তার নাম মাসুম ৷ ওর দাদা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য ৷ তৃণমূল নেতা ৷ আরেকটি ছেলে অবশ্য পালিয়ে গিয়েছে ৷ আমি এই দু'জনের কঠোর শাস্তি চাই ৷ পুলিশ যেন পলাতক অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে ৷"
মোথাবাড়ি থানার ওসি হারাধন দেব বলেন, "এক নাবালিকাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার বিরুদ্ধে প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্টের 6 নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে ৷ তবে এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত পলাতক ৷ তার নাম অভিযোগপত্রে নেই ৷ তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ৷ পুরো ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: এবার রায়গঞ্জ, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, অপরাধীদের কোনও রাজনৈতিক রং হয় না ৷ যে বা যারা এমন ঘৃণ্য কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ আইন নিজের পথে চলবে ৷ নির্যাতিতা নাবালিকা যাতে বিচার পায়, সেটাই তিনি চান ৷