ETV Bharat / state

Salim Slams on Abhishek: আগামী ছ’মাসের মধ্যে বিজেপিতে যাবেন অভিষেক, ভবিষ্যদ্বাণী সেলিমের - অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি

তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয় সেলিমের কাছে ৷ বিষয়টি শুনেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি নিয়েও ভবিষ্যৎবাণী করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ৷

Etv Bharat
মহম্মদ সেলিম
author img

By

Published : Jul 5, 2023, 7:16 PM IST

মহম্মদ সেলিম

মালদা, 5 জুলাই: 'রেগে আগুন, তেলে বেগুন ৷' মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে সিপিএম বড্ড বেড়েছে ৷ সংগঠনে নয়, বেড়েছে দৃশ্য দূষণে, শব্দ দূষণে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাইতেই যেন জ্বলে ওঠেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ পালটা তিনি জানিয়ে দেন, মমতা নিজেই দৃশ্য দূষণ ৷ তাঁর দল শব্দ দূষণ করে ৷ একই সঙ্গে, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, আগামী ছ'মাসের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে বুধবার মালদায় আসেন সিপিএমের এই পলিটব্যুরো সদস্য ৷ সকাল 11টায় দলের জেলা সদর দফতর মিহির দাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি ৷ বৈঠকে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপির উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন সেলিম ৷ তিনি বলেন, "এরাজ্যে দুর্নীতি আর দুষ্কৃতীর একটি চক্র রয়েছে ৷ দুর্জন ছাড়া মহাজনি কারবার চলে না ৷ দুষ্কৃতী যোগ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা লুঠ কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ আমাদের এই চক্রকে ভাঙতে হবে ৷ এই চক্র গত 10 বছরে আরও জাঁকিয়ে বসেছে ৷" কারণ হিসাবে তাঁর ব্যাখ্য়া, এর মধ্যে বিজেপি এবং আরএসএস ঢুকে হিন্দু আর মুসলিমকে আলাদা করার চেষ্টা করেছে ৷ এসব করে ওরা সবাইকে গুলিয়ে দিয়েছে ৷ এর ফলেই এখন উত্তরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে ৷ মণিপুরে বিজেপি যেমনটা করেছে বলেও অভিযোগ করেন সেলিম ৷ সেলিম বলেন, "ওখানে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার ! ওখানে বিজেপির নেতা, মন্ত্রী কিংবা কোনও বড় পদাধিকারি সেনার নিরাপত্তা ছাড়া বেরোতে পারছে না ৷ ঠিক যেমন এখানে পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া কোনও তৃণমূল নেতা বাজারে যাওয়ারও সাহস পাচ্ছেন না ৷ আর এখানে যখন কোনও ঘটনা ঘটছে, তৃণমূল-তৃণমূলকে খুন করছে, তখনও বিরোধী সিপিএম, কংগ্রেস বা আইএসএফের নামে মামলা করা হচ্ছে ৷ গত এক মাসে সিপিএমের হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে ৷ আসলে বিজেপি বলছে, বিরোধীশূন্য ভারত, আর তৃণমূল বলছে বিরোধীশূন্য বাংলা ৷ এসবের জন্যই খুনোখুনি হচ্ছে ৷ মানুষের রায় নিতে এত ভয় কেন? এত উন্নয়ন আর বিকাশ তো করেছে ৷"

এরপরই তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয় সেলিমের কাছে ৷ বিষয়টি শুনেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি ৷ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো লুকিয়ে ছিলেন ৷ শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তৃণমূলের ঝান্ডার মাঝখানে মমতার ছবি লাগানো থাকত ৷ যখন বুঝেছে, তৃণমূল ওই ঝান্ডা থেকে মমতার মুখ সরিয়ে দিয়েছে ৷ আগে যিনি ছিলেন দলের অ্যাসেট, এখন তিনি দলের লায়াবিলিটি ৷ টাকা লুঠ হচ্ছে ৷ তখন তাঁর মেজাজ গরম হয় না? এখানে ঘরের টাকা, অঙ্গনওয়াড়ির টাকা, মিড-ডে মিলের টাকা লুট হচ্ছে ৷ তখন তাঁর রাগ হয় না? আমরা চোর তাড়াতে বলায় তাঁর লাল ঝান্ডা দেখে রাগ হচ্ছে ৷ আমরা পিসি-ভাইপো-সহ সব চোরকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছি ৷ প্রথম তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে তিনি দৃশ্য দূষণ বন্ধ করার কথা বলেছিলেন ৷"

তিনি আরও বলেন, "সেদিন রাস্তায় 84টি হোর্ডিং দেখেছিলাম৷ সবেতেই মমতার মুখ ৷ সবচেয়ে বড় দৃষ্য দূষণ তো উনিই ৷ এখনও ভোটের মুখে বিভিন্ন অফিসে মমতার মুখ লাগানো রয়েছে ৷ নির্বাচন কমিশন সরায়নি ৷ আর তৃণমূলের তরফে যে ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, বোমাবাজির যে শব্দ হচ্ছে, তাতে শব্দ দূষণ হচ্ছে না? মানুষ মিছিলে স্লোগান তুললে তাঁর শব্দ দূষণ মনে হয় ! এরাই রাজ্যের সংস্কৃতি, ভাষা নষ্ট করেছে ৷ এর থেকে বেশি সময় ওই মহিলার জন্য খরচ করলে ক্ষতি হবে ৷"

সেলিমের দাবি, বর্তমানে যারা তৃণমূলে আছেন, তাদের অনেকেই হয় কংগ্রেস বা বামফ্রন্টে পাড়ি দেবেন আগামীতে ৷ তিনি বলেন, "যাঁরা চোর নন, তাঁদের আমরা সবসময় স্বাগত জানিয়েছি ৷ ইতিমধ্যে তৃণমূলের সাত বিধায়ক বলেছেন, তৃণমূলে আর থাকা যাচ্ছে না৷ মন্ত্রী এবং প্রাক্তন মন্ত্রীরা বলেছেন, এবার প্রচারে তাঁরা থাকবেন না ৷" এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ৷

আরও পড়ুন: নওশাদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ

তাঁর মন্তব্য, “সব ভাইপো রাজনীতিতে কিসের জন্য আসে? শরদ পাওয়ারের ভাইপো কেন রাজনীতিতে এসেছে? কিন্তু যারা দুর্নীতিবাজ, তারা হয় জেলে অথবা বিজেপিতে যাবে৷ অভিষেকের কাছে দুটো রাস্তা খোলা৷ ছ’মাসের মধ্যে তাকে হয় জেলে অথবা বিজেপিতে যেতে হবে ৷ তিন দশক পার্লামেন্টে ছিলাম ৷ দিল্লির খবর রাখি ৷ মুকুল-শুভেন্দুর বিষয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম, ওরা বিজেপিতে যাবে ৷ এখন বলছি, অভিষেককে বিজেপিতে যেতেই হবে ৷ কারণ, এত টাকা লুট করেছে, বিদেশে এত টাকা পাচার করেছে, সুন্দরী বউ জোগাড় করেছে, স্ত্রীকে দিয়ে সোনা পাচার করিয়েছে, এসব ছেড়ে সে কি জেলে যাবে? তার থেকে বিজেপিতে যাওয়া ভালো ৷” এদিন রাজ্যপালকেও একহাত নেন সেলিম ৷ তাঁর বক্তব্য, এখন যাদের নেতা হওয়ার শখ হচ্ছে, তাদেরই রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু রাজভবন কখনোই গণতন্ত্রের প্রহরী হতে পারে না ৷

মহম্মদ সেলিম

মালদা, 5 জুলাই: 'রেগে আগুন, তেলে বেগুন ৷' মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে সিপিএম বড্ড বেড়েছে ৷ সংগঠনে নয়, বেড়েছে দৃশ্য দূষণে, শব্দ দূষণে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাইতেই যেন জ্বলে ওঠেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ পালটা তিনি জানিয়ে দেন, মমতা নিজেই দৃশ্য দূষণ ৷ তাঁর দল শব্দ দূষণ করে ৷ একই সঙ্গে, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, আগামী ছ'মাসের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে বুধবার মালদায় আসেন সিপিএমের এই পলিটব্যুরো সদস্য ৷ সকাল 11টায় দলের জেলা সদর দফতর মিহির দাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি ৷ বৈঠকে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপির উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন সেলিম ৷ তিনি বলেন, "এরাজ্যে দুর্নীতি আর দুষ্কৃতীর একটি চক্র রয়েছে ৷ দুর্জন ছাড়া মহাজনি কারবার চলে না ৷ দুষ্কৃতী যোগ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা লুঠ কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ আমাদের এই চক্রকে ভাঙতে হবে ৷ এই চক্র গত 10 বছরে আরও জাঁকিয়ে বসেছে ৷" কারণ হিসাবে তাঁর ব্যাখ্য়া, এর মধ্যে বিজেপি এবং আরএসএস ঢুকে হিন্দু আর মুসলিমকে আলাদা করার চেষ্টা করেছে ৷ এসব করে ওরা সবাইকে গুলিয়ে দিয়েছে ৷ এর ফলেই এখন উত্তরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে ৷ মণিপুরে বিজেপি যেমনটা করেছে বলেও অভিযোগ করেন সেলিম ৷ সেলিম বলেন, "ওখানে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার ! ওখানে বিজেপির নেতা, মন্ত্রী কিংবা কোনও বড় পদাধিকারি সেনার নিরাপত্তা ছাড়া বেরোতে পারছে না ৷ ঠিক যেমন এখানে পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া কোনও তৃণমূল নেতা বাজারে যাওয়ারও সাহস পাচ্ছেন না ৷ আর এখানে যখন কোনও ঘটনা ঘটছে, তৃণমূল-তৃণমূলকে খুন করছে, তখনও বিরোধী সিপিএম, কংগ্রেস বা আইএসএফের নামে মামলা করা হচ্ছে ৷ গত এক মাসে সিপিএমের হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে ৷ আসলে বিজেপি বলছে, বিরোধীশূন্য ভারত, আর তৃণমূল বলছে বিরোধীশূন্য বাংলা ৷ এসবের জন্যই খুনোখুনি হচ্ছে ৷ মানুষের রায় নিতে এত ভয় কেন? এত উন্নয়ন আর বিকাশ তো করেছে ৷"

এরপরই তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয় সেলিমের কাছে ৷ বিষয়টি শুনেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি ৷ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো লুকিয়ে ছিলেন ৷ শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তৃণমূলের ঝান্ডার মাঝখানে মমতার ছবি লাগানো থাকত ৷ যখন বুঝেছে, তৃণমূল ওই ঝান্ডা থেকে মমতার মুখ সরিয়ে দিয়েছে ৷ আগে যিনি ছিলেন দলের অ্যাসেট, এখন তিনি দলের লায়াবিলিটি ৷ টাকা লুঠ হচ্ছে ৷ তখন তাঁর মেজাজ গরম হয় না? এখানে ঘরের টাকা, অঙ্গনওয়াড়ির টাকা, মিড-ডে মিলের টাকা লুট হচ্ছে ৷ তখন তাঁর রাগ হয় না? আমরা চোর তাড়াতে বলায় তাঁর লাল ঝান্ডা দেখে রাগ হচ্ছে ৷ আমরা পিসি-ভাইপো-সহ সব চোরকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছি ৷ প্রথম তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে তিনি দৃশ্য দূষণ বন্ধ করার কথা বলেছিলেন ৷"

তিনি আরও বলেন, "সেদিন রাস্তায় 84টি হোর্ডিং দেখেছিলাম৷ সবেতেই মমতার মুখ ৷ সবচেয়ে বড় দৃষ্য দূষণ তো উনিই ৷ এখনও ভোটের মুখে বিভিন্ন অফিসে মমতার মুখ লাগানো রয়েছে ৷ নির্বাচন কমিশন সরায়নি ৷ আর তৃণমূলের তরফে যে ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, বোমাবাজির যে শব্দ হচ্ছে, তাতে শব্দ দূষণ হচ্ছে না? মানুষ মিছিলে স্লোগান তুললে তাঁর শব্দ দূষণ মনে হয় ! এরাই রাজ্যের সংস্কৃতি, ভাষা নষ্ট করেছে ৷ এর থেকে বেশি সময় ওই মহিলার জন্য খরচ করলে ক্ষতি হবে ৷"

সেলিমের দাবি, বর্তমানে যারা তৃণমূলে আছেন, তাদের অনেকেই হয় কংগ্রেস বা বামফ্রন্টে পাড়ি দেবেন আগামীতে ৷ তিনি বলেন, "যাঁরা চোর নন, তাঁদের আমরা সবসময় স্বাগত জানিয়েছি ৷ ইতিমধ্যে তৃণমূলের সাত বিধায়ক বলেছেন, তৃণমূলে আর থাকা যাচ্ছে না৷ মন্ত্রী এবং প্রাক্তন মন্ত্রীরা বলেছেন, এবার প্রচারে তাঁরা থাকবেন না ৷" এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ৷

আরও পড়ুন: নওশাদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ

তাঁর মন্তব্য, “সব ভাইপো রাজনীতিতে কিসের জন্য আসে? শরদ পাওয়ারের ভাইপো কেন রাজনীতিতে এসেছে? কিন্তু যারা দুর্নীতিবাজ, তারা হয় জেলে অথবা বিজেপিতে যাবে৷ অভিষেকের কাছে দুটো রাস্তা খোলা৷ ছ’মাসের মধ্যে তাকে হয় জেলে অথবা বিজেপিতে যেতে হবে ৷ তিন দশক পার্লামেন্টে ছিলাম ৷ দিল্লির খবর রাখি ৷ মুকুল-শুভেন্দুর বিষয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম, ওরা বিজেপিতে যাবে ৷ এখন বলছি, অভিষেককে বিজেপিতে যেতেই হবে ৷ কারণ, এত টাকা লুট করেছে, বিদেশে এত টাকা পাচার করেছে, সুন্দরী বউ জোগাড় করেছে, স্ত্রীকে দিয়ে সোনা পাচার করিয়েছে, এসব ছেড়ে সে কি জেলে যাবে? তার থেকে বিজেপিতে যাওয়া ভালো ৷” এদিন রাজ্যপালকেও একহাত নেন সেলিম ৷ তাঁর বক্তব্য, এখন যাদের নেতা হওয়ার শখ হচ্ছে, তাদেরই রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু রাজভবন কখনোই গণতন্ত্রের প্রহরী হতে পারে না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.