মালদা, 20 জুন : পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন ৷ পরে পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সিভিক ভলান্টিয়ারের । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ মৃত গৃহবধূর নাম মিনু রবিদাস(25) ৷ বাপের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের কাহালা লস্করপুরে ৷ মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দুবছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা জগজীবন রবিদাসের সঙ্গে বিয়ে হয় মিনুর । জগজীবন ভালুকা পুলিশ ফাঁড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত ।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পরিবারে চরম অশান্তি লেগে থাকত । অশান্তির জেরেই শনিবার সকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রীর গলা কেটে খুন করে সে । এরপর নিজেই পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জগজীবন । এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ।
মিনুর দিদি কাজল রবিদাস বলেন,"বিয়ে হওয়ার দুমাস পরে বোনের শ্বশুর বোনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করত ৷ আমি জগজীবনকে বলি তোমার বাবা এধরণের কাজ করছে তুমি কিছু বলছ না কেন ৷ তখন বোনের শ্বশুর জানায়, তার যা ইচ্ছে হবে সে করবে ৷ আমি তখন জগজীবনকে বলি তোমার বাবা কি তাহলে আমার বোনকে রেপ করবে ? পরিবারের লোকেদের নিয়ে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছিল ৷ বোনকে বাড়িতে এনে চারমাস রেখেছিলাম ৷ এর আগেও বোনের উপর নির্যাতন চালিয়েছে ওর শ্বশুর ৷ আমরা বোনের স্বামী ও শ্বশুরের ফাঁসি চাই ৷"
আরও পড়ুন : Malda Murder : 16 টি সিসিটিভির ঘেরাটোপ ! কীসের এত গোপনীয়তা কালিয়াচকের বাড়িতে ?
জগজীবনের কাকা শিবা রবিদাস বলেন,"প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হত ৷ আজ সকালে কী হয়েছে তা জানা নেই ৷ আমি দোকানে ছিলাম ৷ আমার মেয়ে ওদের বাড়িতে ছিল ৷ মেয়ের চিৎকারে আমি ওদের বাড়িতে ছুটে যাই ৷ দেখি, জগজীবন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেল ৷ ঘরে গিয়ে দেখি জগজীবনের বউ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ আমি চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে বিষয়টা জানাই ৷ এর পর থেকে ভাইপো এলাকায় নেই ৷"