ETV Bharat / state

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মালদায় 300 বছরের কালীদৌড় - মালদায় কোরোনা সংক্রমণে প্রভাব

আবেগের কাছে হার মানল কোরোনা আতঙ্ক ৷ প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মালতীপুরে আয়োজিত হল 300 বছরের পুরোনো কালীদৌড় ৷ এই কালীদৌড় দেখতে উপচে পড়া ভিড় নজরে এল ।

৩০০ বছরের পুরোনো কালীদৌড়
৩০০ বছরের পুরোনো কালীদৌড়
author img

By

Published : Nov 16, 2020, 5:43 PM IST

মালদা, 16 নভেম্বর : শেষ পর্যন্ত ঐতিহ্যের কাছে থমকে গেল ভাইরাসের আতঙ্ক ৷ কোরোনা আবহেও অনুষ্ঠিত হল উত্তর মালদার বিখ্যাত কালীদৌড় ৷ প্রশাসন এবার এই দৌড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও গতকাল রাতে মানুষের আবেগের কাছে হার মানতে হয়েছে পুলিশকে ৷ এবার মাত্র 11 টি প্রতিমা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৷ তবে দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷

কোরোনা সংক্রমণের জেরে এবার যে কোনও ধরনের সামাজিক উৎসবে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ সেই সূত্রে এবার কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে চাঁচল মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনও পুজো মণ্ডপেই ভক্তদের ভিড় জমতে দেওয়া যাবে না ৷ যেসব পুজোয় বলিপ্রথা চালু রয়েছে, সেই পুজোগুলিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে পশু নিয়ে ভক্তদের বলির জায়গায় নিয়ে যেতে হবে ৷ কেউ হাড়িকাঠের কাছে যেতে পারবে না ৷ পুজো কমিটির লোকজনই পশুবলির ব্যবস্থা করবে ৷ যেসব জায়গায় বেশি সংখ্যক বলি হয়, সেখানে একাধিক হাড়িকাঠ ব্যবহার করতে হবে ৷ পুজো উপলক্ষে কোথাও কোনও মেলার আয়োজন করা যাবে না ৷ মালতীপুরের বিখ্যাত কালীদৌড়েও এবার রাশ টানে প্রশাসন ৷ দু’দিন আগেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, এবার কালীদৌড়ে মানুষকে জমায়েত হতে দেওয়া যাবে না ৷ শুধু পুরোনো প্রথা মেনে প্রতিমা নিয়ে দৌড়ের অনুমতি দেওয়া হবে ৷ মাত্র চারজন দৌড়ে অংশ নিতে পারবে ৷ দৌড়ের পরেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে ৷ এককথায়, এবার কালীদৌড় বন্ধ রাখতে সবরকম চেষ্টা করেছিল পুলিশ ও প্রশাসন ৷

যদিও গতরাত গভীর হলে প্রশাসনের সমস্ত বিধিনিষেধ উড়ে যেতে দেখা গিয়েছে মালতীপুর দুর্গামন্দির সংলগ্ন ময়দানে ৷ মানুষের মুহুর্মুহু আবেদনে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছোতে কার্যত বাধ্য হয়েছে পুলিশও ৷ যদিও পুলিশের পক্ষে শর্ত দেওয়া হয়, এবার প্রতিযোগিতার স্থানাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা যাবে না ৷ কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না ৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুজো কমিটিগুলিকেই ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ পুলিশের সব শর্ত মেনে শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে কালীদৌড়ের আয়োজন করা হয় ৷ প্রথম দুটি শর্ত পুরোপুরি মানা হলেও পুলিশের শেষ শর্ত মানুষের আবেগে ভেসে যায় ৷ প্রচুর মানুষ প্রতিযোগিতা দেখতে অত রাতেও উপস্থিত ছিল ৷

প্রায় 300 বছরের পুরানো এই কালীদৌড় প্রতিযোগিতা চালু হয়েছিল চাঁচলরাজ শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরির উদ্যোগে ৷ প্রথমে বুড়িকালী ও বাজারকালীকে নিয়েই এই দৌড় শুরু করা হয়েছিল ৷ পরবর্তীতে আরও অনেক পুজো উদ্যোক্তা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করে ৷ ভক্তদের বক্তব্য, "এভাবে মায়েরা বোনেদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ প্রথা অনুযায়ী, গতকাল রাতেও প্রথমে আমকালীর বিসর্জনের পর প্রতিযোগিতা শুরু হয় ৷ প্রথমে হাটকালী, তারপর একে একে আসে শ্যামাকালী, হ্যান্টাকালী, বুড়িকালী, বাজারকালী, চনকাকালী সহ মোট 11 টি প্রতিমা ৷ মাঝরাত পর্যন্ত চলে দৌড় প্রতিযোগিতা ৷ তারপর সব প্রতিমা এলাকার একটি পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ তবে প্রতিযোগিতা নিয়ে আজ পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷"

মালদা, 16 নভেম্বর : শেষ পর্যন্ত ঐতিহ্যের কাছে থমকে গেল ভাইরাসের আতঙ্ক ৷ কোরোনা আবহেও অনুষ্ঠিত হল উত্তর মালদার বিখ্যাত কালীদৌড় ৷ প্রশাসন এবার এই দৌড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও গতকাল রাতে মানুষের আবেগের কাছে হার মানতে হয়েছে পুলিশকে ৷ এবার মাত্র 11 টি প্রতিমা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৷ তবে দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷

কোরোনা সংক্রমণের জেরে এবার যে কোনও ধরনের সামাজিক উৎসবে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ সেই সূত্রে এবার কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে চাঁচল মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনও পুজো মণ্ডপেই ভক্তদের ভিড় জমতে দেওয়া যাবে না ৷ যেসব পুজোয় বলিপ্রথা চালু রয়েছে, সেই পুজোগুলিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে পশু নিয়ে ভক্তদের বলির জায়গায় নিয়ে যেতে হবে ৷ কেউ হাড়িকাঠের কাছে যেতে পারবে না ৷ পুজো কমিটির লোকজনই পশুবলির ব্যবস্থা করবে ৷ যেসব জায়গায় বেশি সংখ্যক বলি হয়, সেখানে একাধিক হাড়িকাঠ ব্যবহার করতে হবে ৷ পুজো উপলক্ষে কোথাও কোনও মেলার আয়োজন করা যাবে না ৷ মালতীপুরের বিখ্যাত কালীদৌড়েও এবার রাশ টানে প্রশাসন ৷ দু’দিন আগেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, এবার কালীদৌড়ে মানুষকে জমায়েত হতে দেওয়া যাবে না ৷ শুধু পুরোনো প্রথা মেনে প্রতিমা নিয়ে দৌড়ের অনুমতি দেওয়া হবে ৷ মাত্র চারজন দৌড়ে অংশ নিতে পারবে ৷ দৌড়ের পরেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে ৷ এককথায়, এবার কালীদৌড় বন্ধ রাখতে সবরকম চেষ্টা করেছিল পুলিশ ও প্রশাসন ৷

যদিও গতরাত গভীর হলে প্রশাসনের সমস্ত বিধিনিষেধ উড়ে যেতে দেখা গিয়েছে মালতীপুর দুর্গামন্দির সংলগ্ন ময়দানে ৷ মানুষের মুহুর্মুহু আবেদনে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছোতে কার্যত বাধ্য হয়েছে পুলিশও ৷ যদিও পুলিশের পক্ষে শর্ত দেওয়া হয়, এবার প্রতিযোগিতার স্থানাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা যাবে না ৷ কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না ৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুজো কমিটিগুলিকেই ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ পুলিশের সব শর্ত মেনে শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে কালীদৌড়ের আয়োজন করা হয় ৷ প্রথম দুটি শর্ত পুরোপুরি মানা হলেও পুলিশের শেষ শর্ত মানুষের আবেগে ভেসে যায় ৷ প্রচুর মানুষ প্রতিযোগিতা দেখতে অত রাতেও উপস্থিত ছিল ৷

প্রায় 300 বছরের পুরানো এই কালীদৌড় প্রতিযোগিতা চালু হয়েছিল চাঁচলরাজ শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরির উদ্যোগে ৷ প্রথমে বুড়িকালী ও বাজারকালীকে নিয়েই এই দৌড় শুরু করা হয়েছিল ৷ পরবর্তীতে আরও অনেক পুজো উদ্যোক্তা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করে ৷ ভক্তদের বক্তব্য, "এভাবে মায়েরা বোনেদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ প্রথা অনুযায়ী, গতকাল রাতেও প্রথমে আমকালীর বিসর্জনের পর প্রতিযোগিতা শুরু হয় ৷ প্রথমে হাটকালী, তারপর একে একে আসে শ্যামাকালী, হ্যান্টাকালী, বুড়িকালী, বাজারকালী, চনকাকালী সহ মোট 11 টি প্রতিমা ৷ মাঝরাত পর্যন্ত চলে দৌড় প্রতিযোগিতা ৷ তারপর সব প্রতিমা এলাকার একটি পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ তবে প্রতিযোগিতা নিয়ে আজ পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.