মালদা, 15 জানুয়ারি : চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন, সেই সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই বোনের । আজ ভোরে মারা গিয়েছেন তাঁদের দাদাও (3 persons died in road accident in Ratua Malda) । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রতুয়া স্টেডিয়ামের কাছে । পুলিশ ঘাতক লরিটিকে আটক করলেও পলাতক চালক-খালাসি ।
নিহত দুই বোনের নাম সাবিনা খাতুন (18) ও রোশনারা খাতুন (12) । তাদের বাড়ি রতুয়া থানার কাঞ্চননগর গ্রামে । দুই বোনের বাবা নইমুদ্দিন শেখ পেশায় শ্রমিক । তিনি বলেন, "দুই মেয়ের মুখে কিছু দাগ দেখা দিয়েছিল । স্থানীয় কোরিয়ালি গ্রামের এক মহিলা কবিরাজের ওষুধে তারা খানিকটা সুস্থও হয়েছিল । ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় কবিরাজ মেয়েদের ওষুধ নিতে ডেকেছিল ।"
তিনি জানান, দুই মেয়েকে টোটো ধরে কবিরাজের কাছে যেতে বলেছিলেন । কিন্তু রাস্তায় ভাইকে দেখতে পেয়ে বোনেরা তার বাইকে উঠে পড়ে । তারপরে এই দুর্ঘটনা ঘটে ৷ নইমুদ্দিন শেখ বলেন, "স্টেডিয়ামের কাছে একটি গাড়ি নাকি ওদের বাইকের পিছনে ধাক্কা মেরেছে । তবে কোন গাড়ি ধাক্কা মেরেছে, তা আমার জানা নেই ।"
আরও পড়ুন : Accident Death in Farakka : লরির ধাক্কায় মৃত্যু কর্তব্যরত হোমগার্ডের
রতুয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে । দুই বোনকে বাইকে চাপিয়ে কবিরাজের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওদের খুড়তুতো দাদা মোজাফ্ফর হোসেন (24) । রতুয়া স্টেডিয়ামের কাছে একটি ছোট লরি বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে । সঙ্গে সঙ্গে তিনজনে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাবিনার ।
স্থানীয়রা তড়িঘড়ি রোশনারাকে স্থানীয় রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকেও মৃত ঘোষণা করেন । গুরুতর আহত মোজাফ্ফরকে রতুয়া থেকে মালদা মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয় । আজ ভোরে মারা যান তিনিও ।
থানার আইসি সুবীর কর্মকার বলেন, "দুই বোনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে । তাদের দাদার মৃতদেহেরও আজ ময়নাতদন্ত হবে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ঘাতক ছোট লরিটি আটক করেছি । তবে তার চালক ও খালাসি পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।"
আরও পড়ুন : Kharagpur Pickup van Accident : পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু তিন বালকের, গুরুতর আহত এক
এদিকে এই ঘটনায় গরিব দুই পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । স্থানীয় মহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, "দুর্ঘটনায় দুই বোন সঙ্গে সঙ্গে মারা গিয়েছে । দেহ দু'টি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আহত যুবককে মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে । এই দুই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। এই দুই পরিবারকে সরকারি তরফে কিছু সাহায্য করা হলে ভাল হয় ।"