ETV Bharat / state

চাঁচলে নৌকাডুবি: মৃতদের পরিবারকে 2 লাখ করে ক্ষতিপূরণ রাজ্য সরকারের

চাঁচল সার্কিট হাউসে সরকারের পক্ষ থেকে মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে দু'লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল ৷

author img

By

Published : Oct 8, 2019, 10:17 PM IST

চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে

মালদা, 8 অক্টোবর : মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে দু'লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল ৷ আজ চাঁচল সার্কিট হাউসে সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি৷ এই ঘটনায় তিনি চাঁচল 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ জগন্নাথপুর ঘাটের ঘাটোয়াল ও অভিশপ্ত নৌকাটির মাঝিকে দোষী চিহ্নিত করেছেন ৷ নৌকাডুবির ঘটনায় মন্ত্রী উল্লিখিত তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে FIR করেছেন জেলা পরিবহন আধিকারিক ৷ এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম ৷ এর প্রতিবাদে তিনি আগামী 14 অক্টোবর চাঁচল থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ৷ সব মিলিয়ে পুজোর পর এই ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হতে চলেছে জেলার রাজনীতি ৷

উল্লেখ্য, গত 3 অক্টোবর সন্ধ্যায় চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাটের কাছে ভরা মহানন্দায় তলিয়ে যায় একটি যাত্রীবোঝাই নৌকা ৷ দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে প্রায় 100 জন যাত্রী ছিল বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷ যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নৌকাটিতে প্রায় 70 জন যাত্রী ছিল ৷ তার মধ্যে জগন্নাথপুর ঘাট থেকে ওই নৌকায় ওঠে 30-35 জন যাত্রী ৷ পরবর্তীতে জানা যায়, যে জায়গায় নৌকাটি ডুবেছিল, সেই জায়গাটি বিহারের কাটিহার জেলার আবাদপুর থানার অন্তর্গত ৷ নৌকাটি জগন্নাথপুর ঘাট থেকে রওনা দিয়ে প্রথমে আবাদপুর ঘাটে যায় ৷ সেখান থেকে আরও যাত্রী নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার মুকুন্দপুর ঘাটে যাচ্ছিল ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 9 জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ নিখোঁজ এক কিশোরী ৷

দুর্ঘটনার পরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে 2 লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয় ৷ আজ চাঁচল সার্কিট হাউসে এই জেলার 6 জনের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, জেলা শাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়, জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা ৷ রব্বানি বলেন, "জগন্নাথপুর ঘাট থেকে অভিশপ্ত নৌকাটি বেআইনিভাবে যাত্রী পারাপার করছিল ৷ সেই নৌকাটি মহাষষ্ঠীর রাতে ডুবে যায় ৷ এখনও পর্যন্ত 9 টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির ব্যর্থতাতেই এই দুর্ঘটনা ৷ "

এদিকে চাঁচল থানা সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরদিনই চাঁচল 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওবাইদুল্লা চৌধুরি, নৌকার মাঝি ও ঘাটের মালিকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছেন মালদা জেলা পরিবহন আধিকারিক ৷ এর বিরুদ্ধে আজ প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম ৷ তিনি বলেন, "এই ঘাটগুলি পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে ৷ ঘাটের ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তরের কোনও ভূমিকা নেই ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতে ছিল ৷ সেই সময়ই ঘাটটি লিজ় দেওয়া হয় ৷ আসলে মালদা জেলা প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এই মিথ্যে মামলা করেছে ৷ ওই ঘাটটি নতুন করে লিজ় করার দায়িত্ব BDO-র ৷ আমি শুনেছি, গত অগাস্ট মাসে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে ৷ আমার প্রশ্ন, সম্প্রতি অনেকগুলি ব্রিজ ভেঙে গেছে ৷ সেক্ষেত্রে কি পূর্তমন্ত্রীর বিরুদ্ধে FIR হয়েছে? এই নৌকাডুবির ক্ষেত্রে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে কী FIR হবে? তিনি তো জেলার প্রশাসনিক প্রধান ৷ নৌকাডুবির দায়িত্ব তিনিও এড়িয়ে যেতে পারেন না ৷"

মালদা, 8 অক্টোবর : মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে দু'লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল ৷ আজ চাঁচল সার্কিট হাউসে সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি৷ এই ঘটনায় তিনি চাঁচল 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ জগন্নাথপুর ঘাটের ঘাটোয়াল ও অভিশপ্ত নৌকাটির মাঝিকে দোষী চিহ্নিত করেছেন ৷ নৌকাডুবির ঘটনায় মন্ত্রী উল্লিখিত তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে FIR করেছেন জেলা পরিবহন আধিকারিক ৷ এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম ৷ এর প্রতিবাদে তিনি আগামী 14 অক্টোবর চাঁচল থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ৷ সব মিলিয়ে পুজোর পর এই ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হতে চলেছে জেলার রাজনীতি ৷

উল্লেখ্য, গত 3 অক্টোবর সন্ধ্যায় চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাটের কাছে ভরা মহানন্দায় তলিয়ে যায় একটি যাত্রীবোঝাই নৌকা ৷ দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে প্রায় 100 জন যাত্রী ছিল বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷ যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নৌকাটিতে প্রায় 70 জন যাত্রী ছিল ৷ তার মধ্যে জগন্নাথপুর ঘাট থেকে ওই নৌকায় ওঠে 30-35 জন যাত্রী ৷ পরবর্তীতে জানা যায়, যে জায়গায় নৌকাটি ডুবেছিল, সেই জায়গাটি বিহারের কাটিহার জেলার আবাদপুর থানার অন্তর্গত ৷ নৌকাটি জগন্নাথপুর ঘাট থেকে রওনা দিয়ে প্রথমে আবাদপুর ঘাটে যায় ৷ সেখান থেকে আরও যাত্রী নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার মুকুন্দপুর ঘাটে যাচ্ছিল ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 9 জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ নিখোঁজ এক কিশোরী ৷

দুর্ঘটনার পরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে 2 লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয় ৷ আজ চাঁচল সার্কিট হাউসে এই জেলার 6 জনের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, জেলা শাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়, জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা ৷ রব্বানি বলেন, "জগন্নাথপুর ঘাট থেকে অভিশপ্ত নৌকাটি বেআইনিভাবে যাত্রী পারাপার করছিল ৷ সেই নৌকাটি মহাষষ্ঠীর রাতে ডুবে যায় ৷ এখনও পর্যন্ত 9 টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির ব্যর্থতাতেই এই দুর্ঘটনা ৷ "

এদিকে চাঁচল থানা সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরদিনই চাঁচল 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওবাইদুল্লা চৌধুরি, নৌকার মাঝি ও ঘাটের মালিকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছেন মালদা জেলা পরিবহন আধিকারিক ৷ এর বিরুদ্ধে আজ প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম ৷ তিনি বলেন, "এই ঘাটগুলি পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে ৷ ঘাটের ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তরের কোনও ভূমিকা নেই ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতে ছিল ৷ সেই সময়ই ঘাটটি লিজ় দেওয়া হয় ৷ আসলে মালদা জেলা প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এই মিথ্যে মামলা করেছে ৷ ওই ঘাটটি নতুন করে লিজ় করার দায়িত্ব BDO-র ৷ আমি শুনেছি, গত অগাস্ট মাসে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে ৷ আমার প্রশ্ন, সম্প্রতি অনেকগুলি ব্রিজ ভেঙে গেছে ৷ সেক্ষেত্রে কি পূর্তমন্ত্রীর বিরুদ্ধে FIR হয়েছে? এই নৌকাডুবির ক্ষেত্রে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে কী FIR হবে? তিনি তো জেলার প্রশাসনিক প্রধান ৷ নৌকাডুবির দায়িত্ব তিনিও এড়িয়ে যেতে পারেন না ৷"

Intro:মালদা, ৮ অক্টোবর : মহানন্দায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল৷ আজ চাঁচল সার্কিট হাউসে সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি৷ এই ঘটনায় তিনি চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ জগন্নাথপুর ঘাটের ঘাটোয়াল ও অভিশপ্ত নৌকার মাঝিকে দোষী চিহ্নিত করেছেন৷ চাঁচল থানা সূত্রে জানা গেছে, নৌকাডুবির ঘটনায় ইতিমধ্যে মন্ত্রীর উল্লিখিত তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে FIR করেছেন জেলা পরিবহণ আধিকারিক৷ এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম৷ এর প্রতিবাদে তিনি আগামী ১৪ অক্টোবর চাঁচল থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন৷ সব মিলিয়ে পুজোর পর এই ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হতে চলেছে জেলার রাজনীতি৷Body:         উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সন্ধেয় চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাটের কাছে ভরা মহানন্দায় তলিয়ে যায় একটি যাত্রীবোঝাই নৌকো৷ দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিল বলে দাবি ওঠে৷ যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নৌকোটিতে প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিল৷ তার মধ্যে জগন্নাথপুর ঘাট থেকে ওই নৌকোয় ওঠে ৩০-৩৫ জন যাত্রী৷ পরবর্তীতে জানা যায়, যে জায়গায় নৌকোটি ডুবেছিল, সেই জায়গাটি বিহারের কাটিহার জেলার আবাদপুর থানার অন্তর্গত৷ নৌকোটি জগন্নাথপুর ঘাট থেকে রওনা দিয়ে প্রথমে আবাদপুর ঘাটে যায়৷ সেখান থেকে আরও যাত্রী নিয়ে নৌকোটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার মুকুন্দপুর ঘাটে যাচ্ছিল৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ এখনও নিখোঁজ এক কিশোরী৷
         দুর্ঘটনার পরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের প্রতিটি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়৷ আজ চাঁচল সার্কিট হাউসে এই জেলার ৬ জনের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি৷ উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়, জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা৷ রব্বানি সাহেব বলেন, “জগন্নাথপুর ঘাট থেকে অভিশপ্ত নৌকোটি বেআইনিভাবে যাত্রী পারাপার করছিল৷ সেই নৌকোটি মহাষষ্ঠীর রাতে ডুবে যায়৷ সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ এর মধ্যে ৬ জন মালদা জেলার, ২ জন বিহারের ও একজন উত্তর দিনাজপুরের৷ একটি দেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি৷ আজ এই জেলার মৃতদের পরিবারগুলির হাতে ২ লক্ষ টাকা করে চেক দেওয়া হয়েছে৷ তার সঙ্গে আরও কিছু সামগ্রী ওই পরিবারগুলিকে দেওয়া হয়েছে৷ তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির ব্যর্থতাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ কোনও টেন্ডার ছাড়াই পঞ্চায়েত সমিতি এই ঘাটটি একজনের কাছে বিক্রি করেছে৷ আজ আমি জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে বলেছি, অনুমতি ছাড়া কোনও নৌকোকে যাত্রী পারাপার করতে দেওয়া হবে না৷ নৌকোয় পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটও রাখতে হবে৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিশপ্ত নৌকোর মাঝি, ঘাটের মালিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে পুলিশে FIR করা প্রয়োজন৷ এখনও তা করা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না৷ জগন্নাথপুরে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য আমি জেলাশাসককে নকশা তৈরি করে জমা দিতে বলেছি৷ সেখানে যাতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা যায়, তা আমরা দেখব৷”Conclusion:         এদিকে চাঁচল থানা সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরদিনই চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওবাইদুল্লা চৌধুরি, নৌকার মাঝি ও ঘাটের মালিকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছেন মালদা জেলা পরিবহণ আধিকারিক৷ চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেস পরিচালিত৷ তাই এর বিরুদ্ধে আজ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম৷ তিনি বলেন, “এই ঘাটগুলি পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে৷ ঘাটের ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তরের কোনও ভূমিকা নেই৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতে ছিল৷ সেই সময়ই ঘাটটি লিজ দেওয়া হয়৷ আসলে মালদা জেলা প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এই মিথ্যে মামলা করেছে৷ ওই ঘাটটি নতুন করে লিজ করার দায়িত্ব বিডিও’র৷ আমি শুনেছি, গত অগাস্ট মাসে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে৷ আমার প্রশ্ন, সম্প্রতি অনেকগুলি ব্রিজ ভেঙে গেছে৷ সেক্ষেত্রে কি পূর্তমন্ত্রীর বিরুদ্ধে FIR হয়েছে? এই নৌকাডুবির ক্ষেত্রে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে কি FIR হবে? তিনি তো জেলার প্রশাসনিক প্রধান৷ নৌকাডুবির দায়িত্ব তিনিও এড়িয়ে যেতে পারেন না৷ আজ পরিবহণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে এই নৌকাডুবি নিয়ে মন্তব্য করেছেন৷ আসলে কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি এখন একটাই রয়েছে৷ তাই কীভাবে কংগ্রেসকে হেয় করা যাবে, এসব তারই ষড়যন্ত্র৷ আমরা আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব৷ তাই আগামী ১৪ অক্টোবর আমরা চাঁচলের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চাঁচল থানা ঘেরাও করব৷”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.