মালদা, 18 ডিসেম্বর: জোড়া খুন ইংরেজবাজারে ৷ এক জায়গায় বস্তাবন্দি দেহ, অন্য জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার ৷ মৃতদেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ একইদিনে জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইংরেজবাজারে ৷
সোমবার সকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা মহদিপুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ মৃত ব্যক্তির এখনও নাম পরিচয় জানা যায়নি ৷ অন্যদিকে, ইংরেজবাজার ব্লকেরই কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশবাড়ি এলাকায় একটি জলাশয়ের পাশ থেকে ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় আরেক ব্যক্তির ৷ ওই ব্যক্তির নাম রিঙ্কু পাহাড়ি ৷ বয়স 38 বছর ৷ রিঙ্কু স্থানীয় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ মহদিপুর এলাকার এক বাসিন্দা প্রেমচাঁদ মণ্ডল বলেন, "সকালে মোটরবাইকে করে পুকুরের দিকে যাচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ বস্তাবন্দি একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখি ৷ তড়িঘড়ি বিষয়টি পুলিশে জানানো হয় ৷ ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷"
ওই এলাকারই আরেক বাসিন্দা ফিরোজ শেখ বলেন, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি ৷ ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ সকলেই ঘটনাস্থলে চলে এসেছিল ৷ এখনও ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি ৷ আমরা অনুমান করছি, ওই ব্যক্তির বাড়ি কালিয়াচকের দিকে হতে পারে ৷ প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করে এই এলাকায় বস্তা বন্দি করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে ৷"
রিঙ্কুর কাকা পরেশ পাহাড়ি বলেন, "ছেলেকে স্কুলে ভরতি করার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল ৷ তাই ভাটা থেকে তুলে রিঙ্কুকে 1 হাজার টাকা দিয়েছিলাম ৷ তারপর থেকে আর রিঙ্কুর খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারলাম রিঙ্কুকে খুন করা হয়েছে ৷ এসে দেখি গলা কাটা অবস্থায় জলাশয়ে রিঙ্কুর দেহ পড়ে রয়েছে ৷ কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা নেই ৷ একইদিনে জোড়া খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ মৃতদেহ দু'টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: