ETV Bharat / state

নিউরোলজিক্যাল রোগে আক্রান্ত শিশু, স্বাস্থ্যসাথীতেও মিলছে না চিকিৎসা !

তাঁর অভিযোগ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেও, তাঁদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ এ নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক অমলকৃষ্ণ মণ্ডলের দাবি, ওই শিশুর নিউরোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করতে হবে। মাথায় সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড জমে রয়েছে। সেই চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো গ্রামীণ হাসপাতালে নেই। কলকাতায় পিজি বা মেডিকেল কলেজে গেলে চিকিৎসা হতে পারে।

13tj_month_child_effected_by_anurological_desis_hydrosefalas
নিউরোলজিক্যাল রোগে আক্রান্ত শিশু, স্বাস্থ্যসাথীতেও মিলছে না চিকিৎসা !
author img

By

Published : Oct 20, 2020, 1:24 PM IST

মালদা, 18 অক্টোবর: শরীরের তুলনায় মাথা অনেকটাই বড়ো৷ মাথার ভারে বিছানায় শুয়ে ছটপট করতে হচ্ছে ১৩ মাসের শিশুকে ৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও আর্থিক অভাবে মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না পরিবারের লোকজন ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের আশায় দিন কাটাচ্ছেন মালদার হরিশচন্দ্রপুর 1নং ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোয়ামারি গ্রামের বাসিন্দা উজির হোসেন ৷

পেশায় দিনমজুর উজির হোসেন হরুশচন্দ্রপুরের রাস্তায় ধারে এক চিলতে টালির ঘরে বাবা, মা, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন৷ তাঁর একমাত্র 13 মাসের মেয়ের মাথার আকার দিনের পর দিন বড় হচ্ছে ৷ উজির সাহেব মেয়েকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মেয়ে হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত৷ এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব হলেও আর্থিক অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না উজির হোসেন৷ স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড থাকলেও সেই কার্ড দিয়ে কীভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাবেন তাও বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে গোটা পরিবার ৷ চোখের জল ফেলতে ফেলতে উজির হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, জন্মের সময় তাঁদের মেয়ে সুস্থ ছিল ৷ কিন্তু ১০-১১ মাস ধরে দিনের পর দিন মেয়ের মাথা বড়ো হয়ে যাচ্ছে ৷ আর্থিক অভাবে তাঁরা মেয়ের চিকিৎসা করাতে বাইরে কোথাও নিয়ে যেতে পারছেন না ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অপারেশন করাতে হবে ৷ তাঁর অভিযোগ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেও, তাঁদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ এ নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক অমলকৃষ্ণ মণ্ডলের দাবি, ওই শিশুর নিউরোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করতে হবে। মাথায় সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড জমে রয়েছে। সেই চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো গ্রামীণ হাসপাতালে নেই। কলকাতায় পিজি বা মেডিকেল কলেজে গেলে চিকিৎসা হতে পারে।


মালদা জেলা পরিষদের শিশু, নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্য়ক্ষ মর্জিনা খাতুন বলেন, সংবাদমাধ্যমের থেকে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন ৷ এ নিয়ে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের পাশাপাশি জেলাশাসককেও জানাবেন তিনি ৷ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিজের সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দেন মর্জিনা ৷

মালদা, 18 অক্টোবর: শরীরের তুলনায় মাথা অনেকটাই বড়ো৷ মাথার ভারে বিছানায় শুয়ে ছটপট করতে হচ্ছে ১৩ মাসের শিশুকে ৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও আর্থিক অভাবে মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না পরিবারের লোকজন ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের আশায় দিন কাটাচ্ছেন মালদার হরিশচন্দ্রপুর 1নং ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোয়ামারি গ্রামের বাসিন্দা উজির হোসেন ৷

পেশায় দিনমজুর উজির হোসেন হরুশচন্দ্রপুরের রাস্তায় ধারে এক চিলতে টালির ঘরে বাবা, মা, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন৷ তাঁর একমাত্র 13 মাসের মেয়ের মাথার আকার দিনের পর দিন বড় হচ্ছে ৷ উজির সাহেব মেয়েকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মেয়ে হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত৷ এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব হলেও আর্থিক অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না উজির হোসেন৷ স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড থাকলেও সেই কার্ড দিয়ে কীভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাবেন তাও বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে গোটা পরিবার ৷ চোখের জল ফেলতে ফেলতে উজির হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, জন্মের সময় তাঁদের মেয়ে সুস্থ ছিল ৷ কিন্তু ১০-১১ মাস ধরে দিনের পর দিন মেয়ের মাথা বড়ো হয়ে যাচ্ছে ৷ আর্থিক অভাবে তাঁরা মেয়ের চিকিৎসা করাতে বাইরে কোথাও নিয়ে যেতে পারছেন না ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অপারেশন করাতে হবে ৷ তাঁর অভিযোগ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেও, তাঁদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ এ নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক অমলকৃষ্ণ মণ্ডলের দাবি, ওই শিশুর নিউরোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করতে হবে। মাথায় সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড জমে রয়েছে। সেই চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো গ্রামীণ হাসপাতালে নেই। কলকাতায় পিজি বা মেডিকেল কলেজে গেলে চিকিৎসা হতে পারে।


মালদা জেলা পরিষদের শিশু, নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্য়ক্ষ মর্জিনা খাতুন বলেন, সংবাদমাধ্যমের থেকে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন ৷ এ নিয়ে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের পাশাপাশি জেলাশাসককেও জানাবেন তিনি ৷ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিজের সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দেন মর্জিনা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.