ব্যারাকপুর, 5 জানুয়ারি : বর্ষবরণের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করছিলেন দমদমের পল্লব হাজারি ৷ ফাঁড়ির মাঠে পিকনিক হচ্ছিল ৷ কিন্তু, তারপর থেকেই নিখোঁজ ৷ ফোনও সুইচড অফ ৷ ছেলে না ফেরায় বাড়ি থেকে মিসিং ডায়েরি করা হয় থানায় ৷ শুরু হয় তদন্ত ৷ জানা যায়, বন্ধুরাই মাত্র 800 টাকার জন্য খুন করেছে তাঁকে ৷ তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ফেলে দেয় ভাগাড়ের সেপটিক ট্যাঙ্কে ৷
উনিশ বছর বয়সি পল্লবের মা বলেন, বর্ষবরণের রাতে পিকনিক করবে বলে বন্ধুরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ৷ তারপর থেকে নিখোঁজ ৷ চারদিন পর আজ ভোরে বাড়ির পাশেই প্রমোদনগরে ভাগাড়ের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় ছেলের দেহ ৷ 800 টাকার জন্য তার দুই বন্ধুই পল্লবকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ বলেন, "পল্লব আমাদের একমাত্র ছেলে ৷ 800 টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে ৷ ওই টাকার জন্যই পল্লবকে খুন করা হয়েছে ৷"
পুলিশ সূত্রে খবর, পল্লবের দুই বন্ধু বিশাল যাদব ও জিতু নায়েক সন্দেহ এড়াতে পল্লবের মায়ের সঙ্গে থানায় আসে ৷ যেহেতু, পল্লবকে শেষবার তাদের সঙ্গে দেখা গেছিল, তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ আর তাতেই পল্লবকে ইট দিয়ে বুকে আঘাত করে খুনের কথা স্বীকার করে তারা ৷ সঙ্গে জানায়, প্রমাণ লোপাটের জন্য পল্লবের দেহ ভাগাড়ের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয় ৷ পল্লবের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে ৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পল্লবের কাছে টাকা পেত বিশাল ও জিতু ৷ সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় বর্ষবরণের রাতে মদের আসরে তর্কাতর্কির জেরে খুন করা হয় তাঁকে ৷ আজ ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হয় তাদের ৷ বিচারপতি তাদের সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন ৷