কলকাতা, 23 অগস্ট: কলকাতা পুলিশের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে যুবককে অপহরণের অভিযোগ ৷ 1 লক্ষ টাকা না দিলে মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় যুবককে ৷ পরে তার এটিএম কার্ড দিয়ে 41 হাজার টাকা চুরি করে, মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ গত রবিবারের ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার ঘটনায় কলকাতা পুলিশের হোমগার্ড শুভঙ্কর দাস-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ আরও অনেকে এই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, গত রবিবার ঠাকুরপুকুর থানায় অরিত্র দাস এক যুবক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, মাসখানেক আগে সোশাল মিডিয়ায় এক মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ৷ পরে তাঁদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয় ৷ ওই যুবকের দাবি, ফোন নম্বর বিনিময়ের পর দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা চলছিল ৷ সম্প্রতি ওই মহিলা তাঁকে দেখা করতে বলেন ৷ সেই মতো তিনি মহিলার সঙ্গে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায় একটি জায়গায় দেখা করতে যান ৷ অভিযোগ সেই সময় পাঁচজন যুবক তাঁকে একটি বড় গাড়িতে জোর করে তুলে চোখ বেঁধে দেওয়া হয় ৷ তাঁকে অপহরণের পর গাড়ি চলতে শুরু করে ৷
অপহরণকারীরা নিজেদের কলকাতা পুলিশের আধিকারিক বলে দাবি করেন ৷ তাঁকে গাঁজা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ৷ আর বাঁচতে চাইলে এক লক্ষ টাকা তাদের দিতে বলা হয় ৷ ওই যুবক জানান তাঁর কাছে এক লক্ষ টাকা নেই ৷ অভিযোগ, তাঁর মানিব্যাগ থেকে এটিএম কার্ড বার করে 41 হাজার টাকা তুলে নেয় ওই পাঁচজন ৷ পরে তাঁকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা ৷
আরও পড়ুন: অয়েল ট্যাঙ্কারে গাঁজা! উনাকোটি থেকে বাজেয়াপ্ত 3 হাজার কেজি; বাজারদর 6 কোটি
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে পুলিশ ৷ যেখানে ওই যুবককে অপহরণ করা হয়েছিল, সেখানকার এবং আশেপাশের রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা ৷ ভিডিয়ো ফুটেজ ও ছবি দেখে শনাক্ত করা হয় শুভঙ্কর দাস নামে কলকাতা পুলিশের এক হোমগার্ডকে ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছেন ৷ তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে ৷ অভিযোগকারীর সঙ্গে যে মহিলার সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল, তাঁরও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ৷