ETV Bharat / state

ইয়াবা সাপ্লাই করতে কলকাতায় বাংলাদেশি, উদ্ধার প্রচুর মাদক

কলকাতা থেকে প্রচুর মাদকসহ আটক তিনজন । তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে ।

উদ্ধার প্রচুর মাদক
author img

By

Published : Aug 3, 2019, 11:49 PM IST

Updated : Aug 4, 2019, 12:39 AM IST

কলকাতা, ৩ অগাস্ট : বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলকাতায় আনা হয়েছিল ইয়াবা । কথা ছিল, গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে । সূত্র মারফত খবর পায় কলকাতা পুলিশ । পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তদন্তকারীরা দুই পাচারকারীকে কলকাতার কারবারিদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করে । তবে দলে তারা শুধু দু'জন ছিল না । ছিল আরও এক কীর্তিমান । ধৃত দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার খোঁজ পায় পুলিশ । পরে তাকে স্ট্র্যান্ড রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইয়াবা । উৎপত্তি থাইল্যান্ডে । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্ব খুইয়েছে । সেদিক থেকে কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রনে । ইদানিং না কি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশে।

গতকাল সন্ধেয় স্পেশাল টাস্কফোর্সের কাছে খবর আসে প্রচুর ইয়াবা ঢুকছে কলকাতায় । তৎপর হয় পুলিশ । মাঝেরহাট- গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভারের পাশে দুর্গাপুর সাইডিং রোড থেকে আটক করা হয় দু'জনকে । তাদের কাছে পাওয়া যায় ১৪ হাজার পিস ইয়াবা । তখনই গ্রেপ্তার করা হয় ইসমাইল হোসেন ও কারিফুল শেখকে । ইসমাইলের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে । আর কারিফুল মালদার ইংলিশ বাজারের কমলাবাড়ির বাসিন্দা । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এই দলে আছে আরও একজন । তার নাম কমল হোসেন । সে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা । আজ দুপুর বারোটা নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে । তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২২০ গ্রাম ইয়াবা । পুলিশের ধারণা, ইসমাইল ওই ইয়াবা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসে মালদায় । বেআইনিভাবে পার হয় সীমান্ত । তারপর নিজেই চলে আসে কলকাতায় ।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ইয়াবা পাচারচক্রে এই তিনজন মূলত মিডলম্যান হিসেবে কাজ করে । কলকাতায় এই চক্রের মাথার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ । এদিকে ধৃতদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।

কলকাতা, ৩ অগাস্ট : বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলকাতায় আনা হয়েছিল ইয়াবা । কথা ছিল, গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে । সূত্র মারফত খবর পায় কলকাতা পুলিশ । পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তদন্তকারীরা দুই পাচারকারীকে কলকাতার কারবারিদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করে । তবে দলে তারা শুধু দু'জন ছিল না । ছিল আরও এক কীর্তিমান । ধৃত দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার খোঁজ পায় পুলিশ । পরে তাকে স্ট্র্যান্ড রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইয়াবা । উৎপত্তি থাইল্যান্ডে । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্ব খুইয়েছে । সেদিক থেকে কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রনে । ইদানিং না কি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশে।

গতকাল সন্ধেয় স্পেশাল টাস্কফোর্সের কাছে খবর আসে প্রচুর ইয়াবা ঢুকছে কলকাতায় । তৎপর হয় পুলিশ । মাঝেরহাট- গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভারের পাশে দুর্গাপুর সাইডিং রোড থেকে আটক করা হয় দু'জনকে । তাদের কাছে পাওয়া যায় ১৪ হাজার পিস ইয়াবা । তখনই গ্রেপ্তার করা হয় ইসমাইল হোসেন ও কারিফুল শেখকে । ইসমাইলের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে । আর কারিফুল মালদার ইংলিশ বাজারের কমলাবাড়ির বাসিন্দা । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এই দলে আছে আরও একজন । তার নাম কমল হোসেন । সে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা । আজ দুপুর বারোটা নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে । তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২২০ গ্রাম ইয়াবা । পুলিশের ধারণা, ইসমাইল ওই ইয়াবা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসে মালদায় । বেআইনিভাবে পার হয় সীমান্ত । তারপর নিজেই চলে আসে কলকাতায় ।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ইয়াবা পাচারচক্রে এই তিনজন মূলত মিডলম্যান হিসেবে কাজ করে । কলকাতায় এই চক্রের মাথার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ । এদিকে ধৃতদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।

Intro:কলকাতা, ৩ অগাস্ট: বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কলকাতায় আনা হয়েছিল ইয়াবা। কথা ছিল, গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সোর্স মারফত খবর পায় কলকাতা পুলিশ। পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স তদন্তকারীরা ওই পাচারকারীরা কলকাতার কারবারীদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার করল দুজনকে। তবে দলে তারা শুধু দুজন ছিলেন না। ছিলেন আরও এক কীর্তিমান। ধৃত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার খোঁজ পায় পুলিশ। পরে তাকে স্ট্র্যান্ড রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Body:ইয়াবা। উৎপত্তিস্থল থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেট এর নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত। সে দিক থেকে কলকাতাতেও আসছে এই মাদক। ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রনে। ইদানিং নাকি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন। মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কখনো আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের ইনহেল করা হয়। থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে। সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশ। Conclusion:গত সন্ধ্যায় স্পেশাল টাস্কফোর্সের কাছে খবর আসে প্রচুর ইয়াবা ঢুকছে কলকাতায়। তৎপর হয় পুলিশ। মাঝেরহাট- গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভার এর পাশে দুর্গাপুর সাইডং রোডে আটক করা হয় দু'জনকে। তাদের কাছে পাওয়া যায় ১৪ হাজার পিস ইয়াবা। তখনই গ্রেপ্তার করা হয় ইসমাইল হোসেন এবং কারিফুল সেখকে। ইসমাইলের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আর কারিফুল মালদার ইংলিশ বাজারের কমলাবাড়ির বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এই দলে আছে আরও একজন। তার নাম কমল হোসেন। তিনি মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। আজ দুপুর বারোটা নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার কাছে উদ্ধার হয় ২২০ গ্রাম ইয়াবা। পুলিশের ধারণা, ইসমাইল ওই ইয়াবা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসে মালদায়। বেআইনিভাবে পার হয় সীমান্ত। তারপর নিজেই চলে আসে কলকাতায়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে ইয়াবা পাচার চক্রে এই তিনজন মূলত মিডল ম্যান হিসেবে কাজ করে। কলকাতায় এই চক্রের মাথার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ধৃতদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Last Updated : Aug 4, 2019, 12:39 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.