কলকাতা, 14 নভেম্বর: ভালোবাসার দিন বললেই চট করে মনে পড়ে যায় 14 ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস-ডে'র কথা। আর 14 নভেম্বর হল রসগোল্লাপ্রেমীদের কাছে 'ভ্যালেন্টাইনস ডে'। এই দিনটিকে এখন রসগোল্লা দিবস হিসেবে পালন করেন রসগোল্লাপ্রেমী থেকে মিষ্টান্ন বিক্রেতারা। অনেকেই রসগোল্লার জন্মদিনও বলে থাকেন দিনটিকে। তবে মিষ্টি প্রেমে যখন হাবুডুবু তখন এই দিনেই পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস-ডে। যে রোগ মিষ্টি থেকে দূরত্ব বাড়ায়। অন্য মিষ্টি থেকে দূরত্ব বাড়ালেও রসগোল্লা ছাড় থাকে অনেক ক্ষেত্রে। তবে সেটা নির্ভেজাল এক্কেবারে ছানার রসগোল্লা হতে হবে।
এই প্রসঙ্গে, রসগোল্লার উদ্ভাবক নবীন চন্দ্র দাসের উত্তরসূরি কেসি দাসের কর্ণধার ধীমান দাস জানান, বহু লড়াইয়ের ফল রসগোল্লার জিআই ট্যাগ পাওয়া। ফলে আজকের দিনটা পালন করতেই হয়। যিনি এই রসগোল্লার উদ্ভাবক তাঁর মূর্তিতে আজকের দিনে আমরা মাল্যদান করে থাকি। পাশাপশি প্রতিবার একটু উৎসবের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবছরে ভাইফোঁটা পড়ে যাওয়াতে সেই উৎসব হচ্ছে। যে যার নিজের মতো পালন করছেন। আর ডায়াবেটিস নিয়ে রসগোল্লাপ্রেমীদের ভয় নেই।
অনেকক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা জানান, রসগোল্লা খেতে। কারণ নামমাত্র চিনির পরিমাণ থাকে রসগোল্লায়। তার থেকে অনেক বেশি আলু ক্ষতি করে। আবার গরম রসগোল্লা পেটের ক্ষেত্রে ভালো। তাই দু'টো বিষয়ে একইদিনে যদি কোনও দ্বন্দ্ব থাকে সেটা মধুর দ্বন্দ্ব।
এই বিষয়ে চিকিৎসক হিমাংশু চৌধুরী বলেন, "রসগোল্লা গোটা দেশের একটি ট্র্যাডিশনাল খাবার। জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রসগোল্লা খেলেই ডায়াবেটিস রোগ হবে তেমন নয়। যারা ডায়াবেটিস আক্রান্ত তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি রসগোল্লা খেলে কিছুটা সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। এক-আধটা খেলে কোনও অসুবিধা নেই। তাই দু'টোর বিষয় তাঁদের নিজেদের জায়গায় থাকবে। এমন পরস্পরবিরোধী বহু বিষয় যেমন সহাবস্থান করে এটাও চলবে এভাবেই।"
আরও পড়ুন: