কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: বারাণসীর আদলে কলকাতায় হুগলি নদীর তীরে গঙ্গা আরতি হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ছোট একটা মন্দির তৈরির কথাও জানিয়েছিলেন ৷ সেইমতো আরতির জন্য 3-4টি ঘাটের নাম কলকাতা পৌরনিগমের তরফে নবান্নের কাছে পাঠানো হয়েছিল ৷ সেই নামগুলির মধ্যে বাজা কদমতলা ঘাটকে গঙ্গা আরতির জন্য নিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার (Work Starts at Baja Kadamtala Ghat for Ganga Arati) ৷ মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সবুজ সংকেত পেয়ে সেখানে মন্দির তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে কলকাতা পৌরনিগম ৷
গঙ্গা আরতির চাতাল এবং সেখানে মন্দির দু’টোই তৈরি হবে বাজা কদমতলা ঘাটে ৷ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘাটটিকেই বেছে নিয়েছেন ৷ তারপর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ কিন্তু সমস্যা একটাই ৷ সেনার তরফে বাজা কদমতলা ঘাটে মন্দির তৈরি-সহ অন্যান্য নির্মাণের অনুমতি এখনও পাওয়া যায়নি ৷ এমনটাই কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর ৷ উল্লেখ্য, গঙ্গাপাড়-সহ ধর্মতলা এবং ময়দান চত্বরের পুরোটাই সেনার অধীনে ৷ সেখানে কিছু নির্মাণ করতে হলে সেনার অনুমতি সবার আগে প্রয়োজন ৷
সেনার অনুমতি না-পাওয়া পর্যন্ত তাই স্থায়ী কোনও নির্মাণ এখনই পৌরনিগম করছে না ৷ কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করা হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে রাস্তাঘাটের সৌন্দর্যায়ন এবং আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে ৷ এমনটাই জানিয়েছেন গঙ্গা আরতির ঘাট ও মন্দির তৈরির দায়িত্বে থাকা নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং ৷ আপাতত ওই অস্থায়ী ঘাটেই হবে গঙ্গা আরতি এবং পুজো ৷ মন্দিরও হচ্ছে অস্থায়ীভাবে ৷
আরও পড়ুন: দিদির ধমক! গঙ্গা আরতির জন্য জায়গার খোঁজ শুরু কলকাতা পৌরনিগমের
বাজা কদমতলা ঘাটের পাশে থাকা বাগানে এই অস্থায়ী মন্দির তৈরি করা হচ্ছে ৷ কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, ‘‘মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই কাজ শেষ হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি পেলে, তাঁর হাতেই এই মন্দিরের শুভ উদ্বোধন হবে ৷’’ এই মুহূর্তে মন্দিরের কোনও ছাদ থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ সেখানে আলোর যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝে-শুনে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এমনটাই জানিয়েছেন তারক সিং ৷