কলকাতা 19 জুন: কেষ্টপুরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল মা ও মেয়ের ৷ সোমবার সকালে প্রফুল্ল কাননের ঐকতান অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মা ও মেয়ের জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷
কেষ্টপুরে প্রফুল্ল কাননের কাছে ঐকতান অ্যাপার্টমেন্টের তিন তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন মা গোপা রায় এবং তাঁর মেয়ে সুদেষ্ণা রায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ 14 বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল গোপা রায়ের ৷ এরপর থেকেই তাঁর দাদা গৌতম দে-র সঙ্গে এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি ৷ কর্মসূত্রে বাইরে যেতে হত গৌতম দে-কে ৷ এ দিনও তিনি বাড়িতে ছিলেন না ৷ জানা গিয়েছে, বারবার তিনি বোনকে ফোন করছিলেন ৷ কিন্তু তাঁকে ফোনে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে তালা ভেঙে দেখেন মা ও মেয়ের জোড়া মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে ৷ এরপরই তিনি বাগুইআটি থানার পুলিশকে খবর দেন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে মা ও মেয়ের ৷ বিষ জাতীয় কোনও জিনিস তাঁরা কোনও ভাবে খেয়ে ফেলেছিলেন, বা তাঁদের খাওয়ানো হয়েছিল বলে সন্দেহ করছে পুলিশ ৷ তবে প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে ৷ কী কারণে মৃত্যু হতে পারে তা জানতে, সব দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: মোবাইলে সেলফি মোডে রেখে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী
পাশাপাশি ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে বাগুইআটি থানার পুলিশ ৷ গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সেই ফ্ল্যাটে কেউ ঢুকেছে বা বেরিয়েছে কি না, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে ৷ এ জন্য নিরাপত্তা রক্ষী যে রেজিস্টারে বহিরাগতদের নাম নথিভুক্ত করেন, তা ভালো করে ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ৷ গত চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এই অ্যাপার্টমেন্টে কারা এসেছে, কার কাছে গিয়েছে, তারও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ ৷