ETV Bharat / state

Covid Caution in Bengal: দুয়ারে করোনা শঙ্কা, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার বার্তা প্রশাসনের - কোভিড সচেতনতা

করোনার সংক্রমণ (Covid Caution in Bengal) বৃদ্ধিতে উৎসবের আগেই ফের আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে ৷ তবে রাজ্য সরকার (Corona in West Bengal) এখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ করছে না ৷ বরং আতঙ্কিত না হয়ে মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন (Surge in Covid Cases)৷

mask awareness
মাস্ক নিয়ে সচেতনতা
author img

By

Published : Dec 23, 2022, 7:34 PM IST

করোনা শঙ্কায় সচেতনতার বার্তা প্রশাসনের

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: চাঁদ-চাঁদনি-চক্রধর । চন্দ্রকান্ত নাকেশ্বর । নিরাকার মোষের দল। ছল ছল খালের জল। ত্রিভূবন থর থর। চাঁদে চড়, চাঁদে চড়। টেনিদা সমগ্রে কম্বল নিরুদ্দেশ গল্পে লাইনগুলো লিখেছিলেন সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় । কম্বল চন্দ্র নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে এই সাংকেতিক ভাষায় তার দূরে - বহু দূরে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন ।

কাকতলীয় হলেও সাহিত্যিকের কল্পনার লাইনের সঙ্গে বাস্তবের কোভিড ভাইরাসের “নিরুদ্দেশ” হওয়া এবং “ফিরিয়া” আসার মিল রয়েছে । গত কয়েকদিন ধরে কোভিড শঙ্কা (Covid Awareness) ফের চেপে বসেছে । সরকারি স্তর থেকে সামাল সামাল রব উঠেছে । এ বার কোভিড নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে বলা হচ্ছে । নতুন ভাইরাসটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কী তার সঠিক ছবি পরিস্কার নয় ।

সময়টা শীতকাল । ঠান্ডার আমেজ মেখে উৎসব দুয়ারে (Covid Caution in Bengal)। উৎসব পাগল মানুষের জমায়েতে করোনাভাইরাসের (Surge in Covid Cases) উসেন বোল্টের গতিতে দৌড়নোর শঙ্কা রয়েছে । প্রথমবারের মত এ বারও করোনার এপিসেন্টার চিন । তার প্রভাব পড়েছে এই দেশেও । প্রভাব অল্প হলেও সতর্কতা জরুরি । তাই রাজধানী দিল্লি, গুজরাত, ওড়িশায় আক্রান্তের খবর মিলতেই বিধিনিষেধের কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে । কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসনিক স্তরে নির্দেশিকা জারি করেছেন । মাস্ক ব্যবহার এবং হাত ধোয়ার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে । লকডাউনের ভাবনা জোরালো ভাবে সামনে না এলেও শঙ্কা তো রয়েছেই । আগামী দশদিনজুড়ে বড়দিন, বর্ষবিদায়, বর্ষবরণের উৎসব রয়েছে এই রাজ্যেও । তার আগে বিভিন্ন মেলা-খেলা রয়েছে । রয়েছে গঙ্গাসাগর । এই অবস্থায় ফের কোভিড কাঁটায় ঈশান কোণে সিঁদুরে মেঘ । পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য বিধিনিষেধের কড়া নিয়ম এখনই চাপাতে নারাজ ।

করোনাভাইরাস (Corona in West Bengal) নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, বলছে রাজ্য সরকার । প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সরকারিভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য ভবনের কোভিড রিসার্চ উইংকে সক্রিয় করা হয়েছে । রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী গত দুদিনে দুবার স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের নিয়ে বসেছেন । সবকিছু আবার সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও এখনই নাগরিকদের উপর নতুন কোনও বিধি-নিষেধ জারি করছে না । তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শমতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ।

এ দিন যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে, আজই বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য । স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশিকা । জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দোলুই জানান, "এই মুহূর্তে আমাদের পাশ্ববর্তী যে দেশগুলি আছে, সেখানে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে । পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে যাচ্ছে । তবে এই নতুন যে স্ট্রেইন, তা যাতে ভারতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার নতুন নির্দেশিকা দিচ্ছে । তবে এই মুহূর্তে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে ভয় নেই । কারণ সংক্রমণের সংখ্যা যথেষ্ট কম । কিন্তু কোভিডের যে চরিত্র, তা কিন্তু অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবর্তন হতে পারে - ডেল্টা বা ওমিক্রনের মতো । তাই আমাদের এই উৎসব মরশুমে কোভিডবিধি আবারও একটু মেনে চলতে হবে । মাস্কের ব্যবহার আবারও শুরু করতে হবে । ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলাই ভালো । এছাড়াও বাড়ির বয়স্ক যাঁরা রয়েছেন, এমনকী কোমর্বিডিটি যাঁদের রয়েছে, তাঁরা যেন টিকা ও বুস্টার ডোজ নিয়ে নেন সেটা নজরে রাখতে হবে । পাশাপাশি বিদেশ থেকে আগত যাঁরা তাঁদের জিনোম সিকোয়েন্স করে যদি কোভিড আক্রান্তদের আইসোলেট করতে পারি তাহলেই পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতকে করোনার এই চতুর্থ ঢেউ থেকে বাঁচানো সম্ভব ।"

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি সামলানোর সক্ষমতা দেখতে 27 ডিসেম্বর দেশের সব হাসপাতালে মক ড্রিলের সিদ্ধান্ত

কোভিডের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পর্যটন শিল্প । বিষয়টি অনুমান করেই আগামী দুইদিনের মধ্যে রাজ্য সরকার কোভিড নিয়ে গাইডলাইন দেবে বলে জানালেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় । গণ পরিবহণ শহরের লাইফ লাইন । এবং তা কোভিডের মৃগয়াভূমি । তাই সতর্কতা সেখানেও । এই বিষয়ে ইতিমধ্যে পরিবহণ ক্ষেত্রেও আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে । মেট্রো রেলওয়ে মাইকিংয়ে জোর দিয়েছে । মাস্ক ব্যবহার এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা প্রচার করা হচ্ছে । দূরত্ব বিধির কথাও বলা হচ্ছে । সামনেই বড়দিন ৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই ভবানীপুর থেকে ধর্মতলা পৌঁছতে মেট্রো ব্যবহার করবেন বহু যাত্রী ।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি গণপরিবহণে করোনা বিধিনিষেধের সম্বন্ধে সচেতন করা হচ্ছে । ভিড় বাসে উঠলে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বেসরকারি বাস মালিকপক্ষ । জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বেসরকারি বাস পরিবহণের সমস্ত কর্মী বিশেষ করে চালক এবং কন্ডাক্টরদের আমরা আবার করোনাবিধি সম্বন্ধে সচেতন করছি ৷ তাঁদের মাস্ক পরে থাকতে বলা হয়েছে । আগের মতোই তাঁদেরকে আবার স্যানিটাইজার গাড়িতে রাখতে বলা হয়েছে এবং গাড়িগুলিকে ভালো করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি যাত্রীদের কাছে অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন মাস্ক পরে বাসে ওঠেন ।"

এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করোনা নিয়ে কোনও সতর্কতা এসে পৌঁছয়নি লালবাজারে । ফলে সতর্কতা নিয়ে এখনই বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । তবে ঘন বসতিপূর্ণ বিশেষ করে নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট এবং ধর্মতলা চত্বর - এই সব এলাকায় পুলিশ মাইকিং করতে পারে । যদিও সেটা উপর মহল থেকে আদেশ আশার পর ।

এ ছাড়াও আগের বার কলকাতা পুলিশের একাধিক থানার একাধিক পুলিশ আধিকারিক এবং লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন । ফলে থানা এবং লালবাজার চত্বরগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না । কিন্তু মাস্ক পড়লে ভালো । তাই দুয়ারে করোনা শঙ্কা, সতর্ক প্রশাসন ৷ আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনার বার্তা দিল প্রশাসন ।

করোনা শঙ্কায় সচেতনতার বার্তা প্রশাসনের

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: চাঁদ-চাঁদনি-চক্রধর । চন্দ্রকান্ত নাকেশ্বর । নিরাকার মোষের দল। ছল ছল খালের জল। ত্রিভূবন থর থর। চাঁদে চড়, চাঁদে চড়। টেনিদা সমগ্রে কম্বল নিরুদ্দেশ গল্পে লাইনগুলো লিখেছিলেন সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় । কম্বল চন্দ্র নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে এই সাংকেতিক ভাষায় তার দূরে - বহু দূরে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন ।

কাকতলীয় হলেও সাহিত্যিকের কল্পনার লাইনের সঙ্গে বাস্তবের কোভিড ভাইরাসের “নিরুদ্দেশ” হওয়া এবং “ফিরিয়া” আসার মিল রয়েছে । গত কয়েকদিন ধরে কোভিড শঙ্কা (Covid Awareness) ফের চেপে বসেছে । সরকারি স্তর থেকে সামাল সামাল রব উঠেছে । এ বার কোভিড নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে বলা হচ্ছে । নতুন ভাইরাসটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কী তার সঠিক ছবি পরিস্কার নয় ।

সময়টা শীতকাল । ঠান্ডার আমেজ মেখে উৎসব দুয়ারে (Covid Caution in Bengal)। উৎসব পাগল মানুষের জমায়েতে করোনাভাইরাসের (Surge in Covid Cases) উসেন বোল্টের গতিতে দৌড়নোর শঙ্কা রয়েছে । প্রথমবারের মত এ বারও করোনার এপিসেন্টার চিন । তার প্রভাব পড়েছে এই দেশেও । প্রভাব অল্প হলেও সতর্কতা জরুরি । তাই রাজধানী দিল্লি, গুজরাত, ওড়িশায় আক্রান্তের খবর মিলতেই বিধিনিষেধের কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে । কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসনিক স্তরে নির্দেশিকা জারি করেছেন । মাস্ক ব্যবহার এবং হাত ধোয়ার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে । লকডাউনের ভাবনা জোরালো ভাবে সামনে না এলেও শঙ্কা তো রয়েছেই । আগামী দশদিনজুড়ে বড়দিন, বর্ষবিদায়, বর্ষবরণের উৎসব রয়েছে এই রাজ্যেও । তার আগে বিভিন্ন মেলা-খেলা রয়েছে । রয়েছে গঙ্গাসাগর । এই অবস্থায় ফের কোভিড কাঁটায় ঈশান কোণে সিঁদুরে মেঘ । পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য বিধিনিষেধের কড়া নিয়ম এখনই চাপাতে নারাজ ।

করোনাভাইরাস (Corona in West Bengal) নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, বলছে রাজ্য সরকার । প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা । ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সরকারিভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য ভবনের কোভিড রিসার্চ উইংকে সক্রিয় করা হয়েছে । রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী গত দুদিনে দুবার স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের নিয়ে বসেছেন । সবকিছু আবার সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও এখনই নাগরিকদের উপর নতুন কোনও বিধি-নিষেধ জারি করছে না । তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শমতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ।

এ দিন যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে, আজই বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য । স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশিকা । জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দোলুই জানান, "এই মুহূর্তে আমাদের পাশ্ববর্তী যে দেশগুলি আছে, সেখানে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে । পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে যাচ্ছে । তবে এই নতুন যে স্ট্রেইন, তা যাতে ভারতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার নতুন নির্দেশিকা দিচ্ছে । তবে এই মুহূর্তে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে ভয় নেই । কারণ সংক্রমণের সংখ্যা যথেষ্ট কম । কিন্তু কোভিডের যে চরিত্র, তা কিন্তু অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবর্তন হতে পারে - ডেল্টা বা ওমিক্রনের মতো । তাই আমাদের এই উৎসব মরশুমে কোভিডবিধি আবারও একটু মেনে চলতে হবে । মাস্কের ব্যবহার আবারও শুরু করতে হবে । ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলাই ভালো । এছাড়াও বাড়ির বয়স্ক যাঁরা রয়েছেন, এমনকী কোমর্বিডিটি যাঁদের রয়েছে, তাঁরা যেন টিকা ও বুস্টার ডোজ নিয়ে নেন সেটা নজরে রাখতে হবে । পাশাপাশি বিদেশ থেকে আগত যাঁরা তাঁদের জিনোম সিকোয়েন্স করে যদি কোভিড আক্রান্তদের আইসোলেট করতে পারি তাহলেই পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতকে করোনার এই চতুর্থ ঢেউ থেকে বাঁচানো সম্ভব ।"

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি সামলানোর সক্ষমতা দেখতে 27 ডিসেম্বর দেশের সব হাসপাতালে মক ড্রিলের সিদ্ধান্ত

কোভিডের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পর্যটন শিল্প । বিষয়টি অনুমান করেই আগামী দুইদিনের মধ্যে রাজ্য সরকার কোভিড নিয়ে গাইডলাইন দেবে বলে জানালেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় । গণ পরিবহণ শহরের লাইফ লাইন । এবং তা কোভিডের মৃগয়াভূমি । তাই সতর্কতা সেখানেও । এই বিষয়ে ইতিমধ্যে পরিবহণ ক্ষেত্রেও আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে । মেট্রো রেলওয়ে মাইকিংয়ে জোর দিয়েছে । মাস্ক ব্যবহার এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা প্রচার করা হচ্ছে । দূরত্ব বিধির কথাও বলা হচ্ছে । সামনেই বড়দিন ৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই ভবানীপুর থেকে ধর্মতলা পৌঁছতে মেট্রো ব্যবহার করবেন বহু যাত্রী ।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি গণপরিবহণে করোনা বিধিনিষেধের সম্বন্ধে সচেতন করা হচ্ছে । ভিড় বাসে উঠলে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বেসরকারি বাস মালিকপক্ষ । জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বেসরকারি বাস পরিবহণের সমস্ত কর্মী বিশেষ করে চালক এবং কন্ডাক্টরদের আমরা আবার করোনাবিধি সম্বন্ধে সচেতন করছি ৷ তাঁদের মাস্ক পরে থাকতে বলা হয়েছে । আগের মতোই তাঁদেরকে আবার স্যানিটাইজার গাড়িতে রাখতে বলা হয়েছে এবং গাড়িগুলিকে ভালো করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি যাত্রীদের কাছে অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন মাস্ক পরে বাসে ওঠেন ।"

এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করোনা নিয়ে কোনও সতর্কতা এসে পৌঁছয়নি লালবাজারে । ফলে সতর্কতা নিয়ে এখনই বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । তবে ঘন বসতিপূর্ণ বিশেষ করে নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট এবং ধর্মতলা চত্বর - এই সব এলাকায় পুলিশ মাইকিং করতে পারে । যদিও সেটা উপর মহল থেকে আদেশ আশার পর ।

এ ছাড়াও আগের বার কলকাতা পুলিশের একাধিক থানার একাধিক পুলিশ আধিকারিক এবং লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন । ফলে থানা এবং লালবাজার চত্বরগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক না । কিন্তু মাস্ক পড়লে ভালো । তাই দুয়ারে করোনা শঙ্কা, সতর্ক প্রশাসন ৷ আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনার বার্তা দিল প্রশাসন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.