ETV Bharat / state

Delay to reopen the iconic tram route: আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহ্যবাহী রুট অবশেষে খুলছে, এত কেন দেরি ? প্রশ্ন ট্রামপ্রেমীদের

36 নম্বরের মতো রুটটি শহরের ব্র্যান্ডিং ও বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করা হলেও আমফানে (Cyclone Amphan) ক্ষতিগ্রস্ত এই ট্রাম রুট চালু করতে কেন এত দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রামপ্রমীরা (Delay to reopen the iconic tram route)৷

why-such-delay-to-reopen-the-iconic-tram-route-which-was-affected-by-cyclone-amphan
ট্রামের ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার অভাবকেই দুষছে শহরবাসী
author img

By

Published : Apr 26, 2022, 7:51 PM IST

কলকাতা, 26 এপ্রিল: পুজোর আগেই আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ট্রাম রুট পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর (Delay to reopen the iconic tram route)। আমফানের পর কেটে গেছে দু'বছর । তবুও 36 নম্বরের মতো ঐতিহ্যশালী ও অতি জনপ্রিয় রুটটি চালু করতে কেন এত দেরি ? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

পুজোর আগেই শুরু হতে চলেছে খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড, বিধাননগর-রাজাবাজার ট্রাম রুট । 2020 সালে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Amphan) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শহরের সবকটি রুটের ট্রামের তারগুলি । সেগুলি আবার মেরামত করে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে কয়েকটি রুট । এবার পালা এই দুটি রুটের । আপাতত শহরে দুটি রুটে গড়িয়াহাট-এসপ্ল্যানেড ও টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটে চলছে ট্রাম । পরিবহণ দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, যে দুটি রুট চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেই দুটি রুটে এখনও অনেক কাজ বাকি । দুটি রুটকে আবার চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে । এই দুটি রুট মেরামত করতে খরচ পড়বে প্রায় 1 কোটি 30 লক্ষ টাকা । তাই সব কাজ শেষ করে ট্রাম পরিষেবা ফের চালু করতে আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন ।

তবে ট্রাম প্রেমীদের মতে, 36 নম্বর রুটটি একেবারে প্রস্তুত । আর যেটুকু কাজ বাকি রয়েছে তা বড় একটা সময়সাপেক্ষ নয় । তবুও কেন এত দেরি ? ট্রাম গবেষক ও ট্রামপ্রেমী ড. দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, "আমফান ঘূর্ণিঝড়ে সারা রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত । শহর কলকাতাও বাদ পড়েনি তার থেকে । তবে বর্তমানে সেই ক্ষতির চিহ্ন ট্রাম রুট ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না । অর্থাৎ ট্রাম রুটগুলিকে পুনরায় মেরামত করার সদিচ্ছা রাজ্য পরিবহণ দফতরের নেই ।"

আরও পড়ুন: পথ হারিয়ে থেমে যাচ্ছে কলকাতার ট্রাম !

ট্রামপ্রেমীদের (Kolkata tramways) কথায়, সব উপায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (WBTC)-এর হাতেই রয়েছে । শুধু অভাব সদিচ্ছার । যেই কাজ আজ দু'বছরের মধ্যেও হল না, হঠাৎ করেই দুর্গা পুজোর আগে দু'টি রুট চালানোর কথা বলা হলেও তা আদপে কতখানি বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে রয়েছে বড় প্রশ্ন চিহ্ন ।

আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহ্যবাহী রুট অবশেষে খুলছে, এত কেন দেরি ? প্রশ্ন ট্রামপ্রেমীদের

সারা বিশ্বে 400-রও বেশি শহরে ট্রাম পরিষেবা রয়েছে ৷ কিন্তু আমাদের দেশের ঐতিহ্য কলকাতার ট্রাম পুরোদমে চালাবার ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে অনীহার অভিযোগে বারে বারে উঠেছে বিতর্কের ঝড় । আরেক ট্রামপ্রেমী সাগ্নিক গুপ্ত বলেন, "এই বিশ্ব-উষ্ণায়নের সময় কলকাতা কেন তার 150 বছরের ঐতিহ্য ট্রাম পরিষেবার প্রতি এত অনীহা দেখাচ্ছে ? জ্বালানি তেলের বিকল্প খুঁজতে রাজ্য পরিবহণ দফতর ই-ভেহিকেলের উপরে জোর দিচ্ছে । অথচ ই-ভেহিকেলের হিসেবে ট্রামের চেয়ে বড় উদাহরণ আর কিছুই হতে পারে না।"

1875 সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিন ট্রাম আবিষ্কার করেছিলেন ফিয়োডোর পিরোতস্কি ৷ তবে 1881 সালে জার্মানিতে সফলভাবে চালু হয় প্রথম বাণিজ্যিক বৈদ্যুতিন ট্রাম ৷ বর্তমানে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বড় ছোট শহর, দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় পুরোদমে চলছে ট্রাম । যখন বিশ্বের এই প্রথম সারির দেশগুলি ট্রামের প্রয়োজনীয়তার উপর আরও বেশি করে জোর দিচ্ছে, তখন শহর কলকাতায় ধুঁকছে ঐতিহ্যবাহী এই পরিবহণযান ।

কলকাতা, 26 এপ্রিল: পুজোর আগেই আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ট্রাম রুট পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর (Delay to reopen the iconic tram route)। আমফানের পর কেটে গেছে দু'বছর । তবুও 36 নম্বরের মতো ঐতিহ্যশালী ও অতি জনপ্রিয় রুটটি চালু করতে কেন এত দেরি ? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

পুজোর আগেই শুরু হতে চলেছে খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড, বিধাননগর-রাজাবাজার ট্রাম রুট । 2020 সালে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Amphan) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শহরের সবকটি রুটের ট্রামের তারগুলি । সেগুলি আবার মেরামত করে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে কয়েকটি রুট । এবার পালা এই দুটি রুটের । আপাতত শহরে দুটি রুটে গড়িয়াহাট-এসপ্ল্যানেড ও টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটে চলছে ট্রাম । পরিবহণ দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, যে দুটি রুট চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেই দুটি রুটে এখনও অনেক কাজ বাকি । দুটি রুটকে আবার চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে । এই দুটি রুট মেরামত করতে খরচ পড়বে প্রায় 1 কোটি 30 লক্ষ টাকা । তাই সব কাজ শেষ করে ট্রাম পরিষেবা ফের চালু করতে আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন ।

তবে ট্রাম প্রেমীদের মতে, 36 নম্বর রুটটি একেবারে প্রস্তুত । আর যেটুকু কাজ বাকি রয়েছে তা বড় একটা সময়সাপেক্ষ নয় । তবুও কেন এত দেরি ? ট্রাম গবেষক ও ট্রামপ্রেমী ড. দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, "আমফান ঘূর্ণিঝড়ে সারা রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত । শহর কলকাতাও বাদ পড়েনি তার থেকে । তবে বর্তমানে সেই ক্ষতির চিহ্ন ট্রাম রুট ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না । অর্থাৎ ট্রাম রুটগুলিকে পুনরায় মেরামত করার সদিচ্ছা রাজ্য পরিবহণ দফতরের নেই ।"

আরও পড়ুন: পথ হারিয়ে থেমে যাচ্ছে কলকাতার ট্রাম !

ট্রামপ্রেমীদের (Kolkata tramways) কথায়, সব উপায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (WBTC)-এর হাতেই রয়েছে । শুধু অভাব সদিচ্ছার । যেই কাজ আজ দু'বছরের মধ্যেও হল না, হঠাৎ করেই দুর্গা পুজোর আগে দু'টি রুট চালানোর কথা বলা হলেও তা আদপে কতখানি বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে রয়েছে বড় প্রশ্ন চিহ্ন ।

আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহ্যবাহী রুট অবশেষে খুলছে, এত কেন দেরি ? প্রশ্ন ট্রামপ্রেমীদের

সারা বিশ্বে 400-রও বেশি শহরে ট্রাম পরিষেবা রয়েছে ৷ কিন্তু আমাদের দেশের ঐতিহ্য কলকাতার ট্রাম পুরোদমে চালাবার ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে অনীহার অভিযোগে বারে বারে উঠেছে বিতর্কের ঝড় । আরেক ট্রামপ্রেমী সাগ্নিক গুপ্ত বলেন, "এই বিশ্ব-উষ্ণায়নের সময় কলকাতা কেন তার 150 বছরের ঐতিহ্য ট্রাম পরিষেবার প্রতি এত অনীহা দেখাচ্ছে ? জ্বালানি তেলের বিকল্প খুঁজতে রাজ্য পরিবহণ দফতর ই-ভেহিকেলের উপরে জোর দিচ্ছে । অথচ ই-ভেহিকেলের হিসেবে ট্রামের চেয়ে বড় উদাহরণ আর কিছুই হতে পারে না।"

1875 সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিন ট্রাম আবিষ্কার করেছিলেন ফিয়োডোর পিরোতস্কি ৷ তবে 1881 সালে জার্মানিতে সফলভাবে চালু হয় প্রথম বাণিজ্যিক বৈদ্যুতিন ট্রাম ৷ বর্তমানে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বড় ছোট শহর, দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় পুরোদমে চলছে ট্রাম । যখন বিশ্বের এই প্রথম সারির দেশগুলি ট্রামের প্রয়োজনীয়তার উপর আরও বেশি করে জোর দিচ্ছে, তখন শহর কলকাতায় ধুঁকছে ঐতিহ্যবাহী এই পরিবহণযান ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.