কলকাতা, 9 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ তবে 2018-এর তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েতের বুথের সংখ্য়া ৷ সুতরাং নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্য়াও সেই আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে ৷ আর এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷ যে পরিমাণ বুথ বেড়েছে তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ কি রয়েছে রাজ্যের হাতে ? গতবারের মতো কি এবারও ভিন রাজ্যের পুলিশ দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করবে কমিশন ? যদিও সেইসব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর এদিনও মিলল না রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের তরফে ৷ তবে ঠারেঠোরে এদিনও কমিশন বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা রাখছে তারা ৷
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পাশাপাশি মনোনয়নের জন্য সময় বাড়ানোর দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি । কিন্তু এই অবস্থায় চুপ করে বসে নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনও ৷ শুক্রবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর সঙ্গেও বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা । মূলত আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছিল । তবে কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা রাখতে চাইছে তারা ৷
সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের ডিজি'র সঙ্গে বৈঠকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে কমিশন ৷ একই সঙ্গে, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ৷ এই মুহূর্তে নির্বাচনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা যে বদ্ধপরিকর তা স্পষ্ট ৷ আর সেই জায়গা থেকেই মুখ্য সচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহলমহল । একই সঙ্গে, আলাদা করে রাজ্য পুলিশের ডিজি'র সঙ্গে বৈঠকও করেছেন নির্বাচন কমিশনার ।
আরও পড়ুন: বারবার একই রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন কেন, কুন্তলের চিঠি মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি
এক্ষেত্রে ডিজি'র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী রাজ্যের হাতে আছে কি না ৷ এর সঙ্গেই, বিরোধীদের দাবি মেনে, অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ আনার দরকার আছে কি না, তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে কমিশন ৷ এই বৈঠকে বিগত দিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তা রোখার জন্য রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে খবর । এক্ষেত্রে যাতে রক্তপাতহীন ভোট করানো যায়, তাই নিয়ে মুখ্য সচিবকে কিছু পরামর্শও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।