কলকাতা, 12 জুন: গতকাল উত্তর 24 পরগনার ঠাকুরনগরে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বনাম বিজেপির খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরাও। সেই সংঘর্ষের ঘটনায় মোট চারটি মামলা রুজু হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হল রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সুয়োমোটো বা স্বত:প্রণোদিতএকটি মামলা।
জানা গিয়েছে, গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দেহরক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গাইঘাটা ধানের অফিসার ইনচার্জ এবং উত্তর 24 পরগনার ঠাকুরনগরের দায়িত্বে থাকার অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের মারধর করেছেন ৷ এই অভিযোগ সামনে এনে এবার পুলিশের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে একটি স্বত:প্রণোদিত মামলা রুজ করা হয়েছে।
যদিও রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি যে, তারা মোট কতজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ঠাকুরনগর এলাকার দায়িত্বে থাকা একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া এবং একজন অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মারধর করা-সহ একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
রবিবার এই সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তর 24 পরগনার ঠাকুরনগরের এসডিপিও এবং গাইঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ-সহ 8 জন পুলিশ কর্মী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। পুলিশের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পুলিশ কর্মীদের কাজ করতে বাধা দেন এবং তাঁদের উর্দি ধরে টানাটানি করেন।
এই ঘটনায় ভবানী ভবন সূত্রের খবর, যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে স্বত:প্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে ফলে সংশ্লিষ্ট তাঁদের যিনি কমান্ডিং অফিসার রয়েছেন তাঁর কাছে ওই এফআইআরের একটি কপি পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়িতে সংঘর্ষ চরমে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের; আক্রান্ত শান্তনু ঠাকুরও
পাশাপাশি এফআইআরের কপি যাবে স্থানীয় পুলিশ সুপার এবং এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিকদের কাছে। অভিযোগে লেখা থাকবে যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংশ্লিষ্ট জওয়ানদের বিরুদ্ধে যেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গতকাল ঠাকুরনগরের ঘটনায় সোমবারও পুরো এলাকা থমথমে ৷