কলকাতা, 5 মে: চিকিৎসকের হাতের লেখা নিয়ে মাঝে মধ্যেই তৈরি হয় সংশয়। তাঁর দেওয়া প্রেশক্রিপশন থেকে ওষুধের নাম উদ্ধার করাই অনেকের পক্ষেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তখন উপায় বলতে হয় ওষুধের দোকান অথবা আবারও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ। তবে চিকিৎসকদের ক্লিনিকে তা সম্ভব হলেও সরকারি হাসপাতালে ফের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা বেশ সমস্যার। বহু ক্ষেত্রে চিকিৎসক তাঁর চেম্বার থাকেনও না। এবার সেই সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের ভাবনা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার থেকে ই-প্রেসক্রিপশনের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে এবার থেকে কাগজ কলমে নয়, কম্পিউটারে ওষুধ লিখে দেবেন চিকিৎসকরা। আর তার ফটোকপি পাবেন রোগী। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই বৈঠক করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম রাজ্যের ব্লক থেকে মেডিকেল কলেজের সব সুপারদের এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। রাজ্যের 915টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে 201টিতে ই-প্রেসক্রিপশন চালু হবে। মহকুমা থেকে জেলা, স্টেট জেনারেল ও সুপারস্পেশালিটি স্তরের হাসপাতালগুলির অন্তত 50 শতাংশ ওয়ার্ডে এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। সমস্ত মেডিকেল কলেজের অন্তত দু’টি বিভাগে এই ই-প্রেসক্রিপশন চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ই-প্রেশক্রিপশন হওয়ার ফলে রোগী ও তাঁর পরিবার বেশ কিছু সুবিধাও পাবেন। প্রথমত, চিকিৎসকের হাতের লেখার বোঝার যে সমস্যা তা থেকে মুক্তি হবে। আর দ্বিতীয়ত যারা সরকারি হাসপাতালে দেখাবেন তাঁদের রেকর্ড থাকবে। ফলে যদি কেউ কলকাতায় চিকিৎসার পর জেলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান তাহলেও তাঁর পূর্বে কোনও রোগ হয়েছিল কিনা তার বিষয়েও জানতে পারবেন। এমনকী এই নথি থাকবে স্বাস্থ্য ভবনের কাছেও। এরই সঙ্গে যদি কারও পুরনো প্রেশক্রিপশন হারিয়ে যায় তাহলেও কম্পিউটার থেকে তাঁর নথি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, "সব হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামোর কাজ চলছে। সবাই যাতে এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে তাই প্রশিক্ষণও চলছে।"
আরও পড়ুন: লালবাজারের হাতে আসছে হাইটেক ফ্রিকোয়েন্সির রেডিয়ো সেট, কী কাজ এর ?