কলকাতা, 7 অগস্ট: এবার স্বাস্থ্য কমিশনর কায়দায় রাজ্যে তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন । সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে ।
বেসরকারি স্কুলগুলির ফি স্ট্রাকচার নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের । সাম্প্রতিক অতীতে এই নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে । সেই সময় থেকেই শোনা যাচ্ছিল বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের । সেই মতো এ দিন রাজ্য মন্ত্রিসভা নয়া শিক্ষা কমিশন গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে । স্বাস্থ্য কমিশনের কায়দায় এই কমিশনের মাথায় বসবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য সরকারের অনেক নির্দেশ মানছে না বেসরকারি স্কুলগুলির একাংশ । এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন রাজ্যে শিক্ষা কমিশন গঠন করা যায় কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে । সাম্প্রতিক সময় দেখা গিয়েছিল গরমের ছুটি কার্যকর করা নিয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করছে বেসরকারি স্কুলগুলি । তা নিয়েও বিতর্ক হয় । ফলে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মনে করা হচ্ছে, বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয়া শিক্ষা কমিশন গঠনের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার ।
মন্ত্রিসভা সূত্রে খবর, 11 সদস্যের এই কমিশনের মাথায় থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি । তবে সেই পদে কে বসতে চলেছেন, তা এখনও ঠিক হয়নি । খুব শীঘ্রই শিক্ষা কমিশন গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে । তারপরেই এই পদে কাকে বসানো হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । মূলত, এক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশনের কার্য পদ্ধতিও স্বাস্থ্য কমিশনের মতোই হবে ৷ তবে দেখার বিষয় এই কমিশন গঠিত হওয়ার পর বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি বৃদ্ধি নিয়ে যে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে, তা কতদূর প্রশমিত হয় ।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় পাস রাজ্যের শিক্ষানীতি, সব স্কুলে বাধ্যতামূলক হচ্ছে ইংরেজি-বাংলা ভাষা