কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: পূর্বদয়ের পদক্ষেপে রেলে রেকর্ড বরাদ্দ পেল পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal Got 11 Thousand 970 Crores allocation in Railway Sector) । ট্রেন হোক বা মেট্রো, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই বছর বাজেট বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে 'রেকর্ড' করেছে পশ্চিমবঙ্গ। এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাই রাজ্যে রেলের প্রসারে অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে ৷ পাশাপাশি অত্যাধুনিক মানের যাত্রী পরিষেবার পথে আর কোনও বাধা থাকবে না বলেই আশ্বাস মন্ত্রকের।
তবে পরিকল্পনার প্রকল্প এবং প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে হাত ধরাধরি করে চলতে হবে। তবেই প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে। এমনটাই বিশ্বাস অশ্বিনী বৈষ্ণবের। তিনি বলেন, "2014 থেকে প্রতি বছর বাজেটে রেলের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বাজেটে পশ্চিমবঙ্গে রেল বরাদ্দ হয়েছে 11 হাজার 970 কোটি টাকা যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। পশ্চিমবঙ্গকে 'রেকর্ড' এলোকেশন দেওয়া হয়েছে। 2009 থেকে 2014 সালের মধ্যে বরাদ্দ ছিল মাত্র 4 হাজার 880 কোটি টাকা। যা তিনগুণ বেড়েছে বরাদ্দ।"
তিনি আরও বলেন, "শতাংশের নিরিখে বৃদ্ধি পাওয়া বাজেটের পরিমাণ 173 শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ সবকা বিকাশ ও সবকা প্রয়াসের কথা বলেন। তাই আমার রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ যে তারাও যেন এই প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য পূর্ণ সহযোগিতা করেন।" প্রসঙ্গত 2009 সালে মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 2011 সালের পর মমতার পরিবর্তে দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলান। এরপর কয়েকমাসের জন্য এই মন্ত্রকের মন্ত্রী হন মুকুল রায়। এরপর আসেন সিপি জোশী।
আরও পড়ুন: চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দ নেই, ঘোষিত প্রকল্পে লাভবান হবে ক্ষুদ্র চাষিরা ?
মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্পগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তা হল জমি অধিগ্রহণ, আইন শৃঙ্খলা, কাজের গতি আনতে প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং স্টেশন নির্মাণের ক্ষেত্রে সরাসরি রাজ্যের সহযোগিতা ৷ রেলের সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের 93টি স্টেশনের উন্নতি এবং আধুনিকীকরণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাওড়া, কলকাতা, জসিডি, ব্যাণ্ডেল, আসানসোল এবং ভাগলপুর স্টেশনকে যাতে আরও উন্নত মানের করা যায় সেই দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।