কলকাতা, 3 অগাস্ট: কয়েকদিন আগেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা । এর পরই তাঁদের সঙ্গে এনিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে পর্যাচালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার । মোট ছ'জনের এই কমিটিতে থাকছেন রাজ্যের কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ । পাশাপাশি, শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত একাধিক গণসংগঠনকেও মতামত জানাতে বলা হয়েছে । 15 অগাস্ট পর্যন্ত এই মতামত গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
আজ বেহালায় রাখিবন্ধন উৎসবের মঞ্চ থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এই কমিটি গঠনের কথা জানান তিনি । জানান, ছয় সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন সৌগত রায়, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি, পবিত্র সরকার, অভীক মজুমদার, সব্যসাচী রায়চৌধুরি ও সুরঞ্জন দাস । শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবেও আমাদের বক্তব্য আছে । আমরা পাঁচ-ছ'জনের একটা কমিটি করেছি । এছাড়া একাধিক গণসংগঠন আছে যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে তাদের কাছেও আমরা আবেদন জানাব যে তারা তাদের যুক্তিযুক্ত মতামত আমাদের জানাক ৷" তারা এই মতামত শিক্ষা দপ্তরের সচিব বা শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যকে পাঠাতে পারে । মতামত জানিয়ে দপ্তরে ই-মেল করা যেতে পারে । শুধু শিক্ষক সংগঠন বা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত গণসংগঠন নয়, কমিটির বাইরে থাকা কোনও শিক্ষাবিদ চাইলেও তাঁদের মতামত জানাতে পারেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী । তিনি জানান, 15 অগাস্ট পর্যন্ত এই মতামত গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে।
আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরিতে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি ৷ আজ আবারও সেই একই অভিযোগ করে তিনি বলেন, "শিক্ষা যুগ্ম তালিকায় আছে। এমনকী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলেছি । কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি । লিখিতভাবে আমাদের আপত্তির বিষয়টি জানিয়েছিলাম । দুঃখের বিষয় আমাদের কেউই এই কমিটিতে ছিলেন না । বাংলার শিক্ষা থেকে কাউকে রাখা হয়নি ।" সেই সঙ্গে, জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন ৷ তার খরচ কে বহন করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
তিনি বলেন, "অনেক সিরিয়াস প্রশ্ন আছে । যেগুলোর সুষ্ঠু সমাধান চাই । একটা নীতি তৈরি করলাম আর তার পরদিন থেকে সেটা পালিত হবে এটা তো তুঘলকি কাণ্ড । এটা তো হয় না । আমরা আশা করব, তাঁরা আমাদের বক্তব্যগুলো শুনবেন।" নতুন কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।