কলকাতা, 27 এপ্রিল : আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের মামলায় বারংবার বিধানসভার কাজে আদালতের নাক গলানো নিয়ে আগেই ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি । এবিষয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে কার্যত বিধানসভার অধ্যক্ষের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে, মনে করছেন তিনি । আর তাতেই ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ (West Bengal Assembly Speaker Biman Banerjee expressed grievance over HC interference into BJP MLA Suspension) ।
প্রসঙ্গত সোমবার, 25 এপ্রিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়কের বিধানসভা থেকে সাসপেনশন সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । 2 মে-র মধ্যে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এ ব্যাপারে স্পিকারের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । 5 মে মামলার পরবর্তী শুনানি ৷ এতেই চটেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন : HC Directs State Government : পাঁচ বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
অধ্যক্ষের মতে কোনও ভাবেই এমনটা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় । সংবিধানের 212 নম্বর ধারায় বলা হয়েছে আদালত কোনও ভাবে বিধানসভার কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না । এরপরেও কীভাবে হাইকোর্ট হলফনামা চাইল, তাতে অবাক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । সবচেয়ে বড় কথা, বিধায়কেরা সাসপেনশন পুনর্বিবেচনার জন্য অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করতেই পারেন । তা না করে সরাসরি আদালতের শরণাপন্ন হওয়ায় বিধায়কদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ।
28 মার্চ হাতাহাতিতে জড়ান শাসক-বিরোধী দলের বিধায়কেরা (MLAs of TMC and BJP got involved in fighting) ৷ তারপরেই বিরোধী দলনেতা-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে পরবর্তী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তালিকায় নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মন, শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাতোর ৷
আরও পড়ুন : Suvendu suspends from Assembly : বিধানসভায় হাতাহাতির জেরে সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ক