কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি : একদিকে যখন ধর্মতলা চত্বরে বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, লাঠিচার্জ চলছে, তখন উত্তীর্ণে সামাজিক প্রতিনিধিদের সম্মেলন থেকে অমিত শাহর মোকাবিলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, টু-শব্দও করলেন না নবান্ন অভিযান নিয়ে । বরং, শাহি সফরের 'চাপ' সামলাতেই ব্যস্ত থাকলেন তৃণমূল নেত্রী ।
আজ বাংলায় জোড়া সভা অমিত শাহর । প্রথমে কোচবিহারে, তারপর ঠাকুরনগরে । এরই মধ্যে কোচবিহারে অমিত শাহর সভা নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো । বললেন, "ক্রিয়া হলে প্রতিক্রিয়া হবেই ।" পরিচিত জ্বালাময়ী ভাষণে আক্রমণ শানালেন অমিত শাহর উদ্দেশে । অমিত শাহর সভা প্রসঙ্গে বললেন, "ভাষার কদর্যতা, দৈত্য পরায়ণ মনোভাব, দুরন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেন শারীরিকভাবে ধমক দিচ্ছেন । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষা ব্যবহারে সংযম দেখানো উচিত ।"
অমিত শাহকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "আমরা দুর্নীতিপরায়ণ হলে আপনারা কী ! চোরের মায়ের বড় গলা । খেলা মানে কি ! আসুন না ।" বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে একসঙ্গে নিশানায় নিয়ে বলেন, " জগাই-মাধাই-গদাই একসঙ্গে থাকবেন । তৃণমূল একা থাকবে । আমি গোলরক্ষক । দেখব কটা গোল দিতে পারেন । অত সোজা খেলা নয় । শুধু ভয় দেখাচ্ছেন । দিদি গলা কেটে দেবে । আমি আত্মসমর্পণ করব না ।" সৌজন্যতা যে একতরফা হয় না, সেই কথাও আজ স্মরণ করিয়ে দেন তিনি ।
আরও পড়ুন : রাজ্যে পদ্ম ফুটলে ঠেকানো হবে অনুপ্রবেশ, আশ্বাস অমিতের
বাংলায় যখন আব্বাস-ওয়েইসি হাওয়া, তখন ভোটের ময়দানে ধর্মীয় সংগঠনগুলিকেও কাছে টানার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো । আজ আরও একবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল তৃণমূল নেত্রীর ভাষণে । বললেন, ধর্মীয় সংগঠন যেগুলি আছে, অনেকসময় কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে । ভালো কাজ করতে চাইলেও করতে পারছে না । বহু এনজিওর লাইসেন্স বাতিল করেছে বিজেপি । আগামী দিনে ধর্মীয় সংগঠন ও এনজিওকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করব ।" তিনি আরও বলেন, "বাংলার স্বার্থে তৃণমূলকে সমর্থন করুন । আমি বিজেপির মতো শুধু প্রতিশ্রুতি দিই না, ফলশ্রুতিতে বিশ্বাস করি । আপনারাই পারেন অশান্তি রুখতে, ফেক ভিডিয়ো রুখতে । "