কলকাতা, 3 মার্চ : ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে কোমর বেঁধে লড়াইয়ের মাঠে নেমে গেছে তৃণমূল, বিজেপি সহ সবকটি রাজনৈতিক দল। কটাক্ষ, তোপ দাগার পাশাপাশি এবার সরাসরি হাজির কমিশনের দপ্তরে। প্রথমে বিজেপি তারপর আজ তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোট ঘোষণার পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ায় বিজেপি। গত 27 ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে সরাসরি হাজির হন বিজেপির রাজ্য়সভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
সেদিন বিজেপি দপ্তরে গিয়ে তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজ্য় পুলিশ দিয়ে ভোট চুরির চেষ্টা করছে রাজ্য়ের শাসক দল। কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, 80 বছরের উপরে যাদের বয়স তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেবে নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে যাবে রাজ্য় পুলিশ। সেক্ষেত্রে রাজ্য় পুলিশ তৃণমূলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে বলে অভিযোগ তাঁদের। এছাড়া, কয়েকদিন আগে নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করেন তেজস্বী যাদব। এটা নিয়েও বিজেপির অভিযোগ, প্রশাসনিক দপ্তরকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্য়বহার করছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
এবার বিজেপির অভিযোগের পালটা দিতে ছাড়ল না তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশনে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আরও একধাপ এগিয়ে কমিশনকেই একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ বিজেপির
কী বললেন তিনি?
আজ ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি কমিশনে যান। সঙ্গে ছিলেন তৃমমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সি ও তৃণমূল কাউন্সিলর দেবলীনা বিশ্বাস সহ দলের অন্য় নেতা নেত্রীরা। দলের তরফ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়ে চিঠি জমা দেন কমিশনে। এরপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, "আশাকরি ইলেকশন কমিশন বিজেপির দ্বারা প্রভাবিত হবে না।"
কী কী বিষয়ে অভিযোগ করেন ফিরহাদ?
কোভিড টিকা নেওয়া শংসাপত্রে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি, পেট্রলপাম্পে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি রয়েছে এইসব বিষয়ে অভিযোগ করেন ফিরহাদ।
নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা নতুন কিছু নয়। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক মহলের মত, এবারের বিষয়টি কিছুটা হলেও ভিন্ন। কেন? তার জবাবও দিয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। প্রতিবার বিরোধীরা অভিযোগ করে, কমিশন শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে। কিন্তু নির্বাচন শুরুর আগেই ফিরহাদ সাংবাদিকদের সামনে বলে দিলেন, ইলেকশন কমিশনের বিজেপির দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার তত্ব।