কলকাতা, 4 মার্চ: বসন্ত উৎসবে চাঁদিফাটা গরম। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাসে রংয়ের উৎসবে যে উৎসবমুখী মানুষ নাজেহাল হবেন তা ধরে নেওয়া যায়। সাধারণত হালকা ঠান্ডার রেশ থাকে রংয়ের উৎসবের আবহে। এবছর তার কোনও সুযোগ নেই। বরং রং খেলতে বেরিয়ে কীভাবে গরমের অস্বস্তি থেকে বঙ্গবাসী বাঁচবে সেটাই চিন্তার (West Bengal Weather Update)।
তাপমাত্রার পারদের দ্রুত গিয়ার বদল এবং শুষ্কতা গরমের চরিত্র বদল করেছে। গায়ের ত্বক টানছে। ঘাম হলেও তা ঘেমে-নেয়ে অস্থির হওয়ার মতো নয়। বরং গলা শুকোচ্ছে দ্রুত। এই অবস্থায় ঝড় বৃষ্টি উপশম হতে পারত কিন্তু বরুণ দেবতা সমতলের চেয়ে পাহাড়ের প্রতি বোধহয় সদয়। তাই উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দু'টোতে হালকা হলেও বৃষ্টি হচ্ছে। যা কিছুটা হলেও স্বস্তির। আলিপুর আবহাওয়া দফরের আধিকারিক গণেশ চন্দ্র দাস বলছেন, "এখন এই মুহূর্তে আমাদের অঞ্চলে কোনও ঘূর্ণাবর্ত নেই। উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিক থেকে বয়ে আসা বাতাস প্রবেশ করছে আমাদের অঞ্চলে। সেটা খুব উষ্ণ। ফলে তাপমাত্রা আমাদের অঞ্চলে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে।"
তাঁর কথায়, "বাতাসে আর্দ্রতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে শুষ্কতা বেড়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রে বাতাসে 40 শতাংশ আর্দ্রতা ছিল। ফলে কলকাতার আবহাওয়া খুব শুষ্ক। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ছিল 34.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই ওপরে রয়েছে। আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। এবং উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং বাদ দিয়ে অন্যান্য জেলাগুলোতে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে ৷"
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে কী আছে কপালে, চোখ রাখুন রাশিফলে
তিনি আরও জানান, আগামী দু থেকে তিন দিন কলকাতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 35 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে 21 থেকে 23-এর কাছাকাছি। কলকাতার ক্ষেত্রে দিনের তাপমাত্রা 35 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে আর অন্যান্য জেলাতে দিনের তাপমাত্রা 37 থেকে 38 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। শুক্রবার কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 33 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1 ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 22 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1 ডিগ্রি বেশি। বাতাসের সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা 88 শতাংশ সর্বনিম্ন 33 শতাংশ। শনিবার সকালের দিকে আকাশ রৌদ্রজ্বল। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 34 এবং 22 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। তাপমাত্রার এই ঊর্ধ্বগতিতে বোঝা যাচ্ছে বসন্তের আবহে গ্রীষ্মের আবাহন হতে চলেছে ৷