কলকাতা, 17 নভেম্বর: একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে নানা অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ যার জেরে সেই সব হাসপাতালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল কমিশন ৷ শাস্তি হিসেবে কোনও হাসপাতালকে যেমন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তেমনই কোনও হাসপাতালকে অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC) জানিয়েছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানোর জন্য 60 বছর বয়সি এক প্রৌঢ়কে ভরতি করা হয়েছিল আলিপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে। সল্টলেকের বাসিন্দা ওই রোগীর ছেলে কমিশনে অভিযোগ করেন, ভরতি করানোর আগে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানোর জন্য ওই হাসপাতাল থেকে 1 লাখ 35 হাজার টাকার প্যাকেজের কথা বলা হয়েছিল। অথচ 23 সেপ্টেম্বর যখন রোগীকে ভরতি করাতে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হাসপাতাল থেকে বলা হয় ওই প্যাকেজের জন্য খরচ হবে 1 লাখ 75 হাজার টাকা । যেহেতু জরুরি ভিত্তিতে রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল তাই চিকিৎসা করাতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন ৷ কিন্তু কেন দুই ধরনের প্যাকেজের কথা বলা হয়েছিল ? কমিশন জানিয়েছে, এই বিষয়ে ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বিমা সংস্থার উপর নির্ভর করে প্যাকেজের খরচ কম-বেশি হয় । একই সঙ্গে বিলের বিষয়ে কমিশন জানায়, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির জন্য একটি বেলুনের দাম ধরা হয়েছে 45 হাজার টাকা । অথচ এই বেলুনের বিষয়টি প্যাকেজের মধ্যে ছিল না । সেই কারণে বিল খতিয়ে দেখে বেসরকারি ওই হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন । মালদায় অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । অভিযোগের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, ষাটোর্ধ্ব এক প্রৌঢ়ার সার্জারি করা হয়েছিল ওই হাসপাতালে । সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে এই রোগীর ক্ষেত্রে আবার সার্জারি করাতে হয়। দ্বিতীয়বার সার্জারির জন্যেও টাকা দিতে হয় রোগীর পরিজনদের । অভিযোগের ঘটনায় মালদার বেসরকারি ওই হাসপাতালকে 5 হাজার টাকা ছাড় দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন ৷