ETV Bharat / state

Yellow Taxi: ট্রামের পর কি এবার অবলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি ? পরিবহণ মন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা - হলুদ ট্যাক্সির ভবিষ্যৎ নিয়ে স্নেহাশিস চক্রবর্তী

15 বছরের বেশি পুরনো হলে হলুদ ট্যাক্সি বাতিল হবে ৷ এমনই ইঙ্গিত দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty)৷

ETV Bharat
হলুদ ট্যাক্সি
author img

By

Published : Feb 10, 2023, 9:53 PM IST

হলুদ ট্যাক্সির ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য

কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: শহর কলকাতায় অতি পরিচিত হলুদ ট্যাক্সি । বলতে গেলে ট্রামের পর যা শহর কলকাতার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে ৷ শহরের রেফারেন্স পয়েন্টগুলোর মধ্যে আগে হাওড়া ব্রিজ, ট্রাম এবং হলুদ ট্যাক্সি ছিল । গণ পরিবহণ এখন অনেক বেশি স্মার্ট । একদা অতি ব্যবহৃত ট্রাম বা হলুদ ট্যাক্সি থাকলেও শহরবাসী এখন অনেক বেশি নির্ভর করে মেট্রো ও অ্যাপ ক্যাবের উপর ।

1908 সালে কলকাতায় প্রথম ট্যাক্সি দৌড়েছিল চৌরঙ্গী রোডের উপর দিয়ে । ফরাসি কোম্পানি শেভিজাঁ প্রথম ট্যাক্সি নিয়ে আসে শহরে । তারপর ইন্ডিয়াান মোটর ট্যাক্সি ক্যাব অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ট্যাক্সি নিয়ে আসে। এরপর ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বন্ধ হয়ে যায় এই কোম্পানি । তখন 1957 সালে হিন্দুস্থান মোটর কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসে অ্যাম্বাসাডর । এই গাড়িগুলি তখন ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি ট্যাক্সি হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে চালানো শুরু হয় । তখন শহরের মধ্যে চলাচলকারী ট্যাক্সির রং ছিল কালো ও হলুদ । যেগুলি শহরের বাইরে যেত সেগুলি ছিল শুধু হলুদ । এরপর কালো-হলুদ ট্যাক্সি ধীরে ধীরে সরে গিয়ে রয়ে গেল শুধুই হলুদ ট্যাক্সি । তারপর এই কোম্পানিও অ্যাম্বাসাডর তৈরি বন্ধ করে দেয় । সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে শহরে চলে আসে অ্যাপ ক্যাব । তবে অ্যাপ ক্যাবের চড়া ভাড়ার বিকল্প হিসেবে এখনও অনেকেই এই হলুদ ট্যাক্সি পছন্দ করেন ।
শহর ও শহরতলিতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মতো 15 বছরের পুরনো বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর । ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে সেই রকম বহু গাড়ি । পাবলিক ভেহিকেলস ডিপার্টমেন্টের (PVD) তরফে মালিকদের নোটিশও পাঠানো হয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে বহু হলুদ টাক্সিও । তাই স্বাভাবিকভাবেই রাস্তায় কমতে শুরু করেছে হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা (Future of Yellow Taxi )।

পিভিডির দেওয়া তথ্য অনুসারে 2008 সালে রেজিস্ট্রেশন হওয়া হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা মোট 9 হাজার 717টি । যদিও এই সংখ্যার মধ্যে এমন বহু টাক্সি রয়েছে যেগুলি ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে । আর আগামী দু'বছর এই সংখ্যার মধ্যে বাতিল হবে মোট 491টি হলুদ ট্যাক্সি । অর্থাৎ, এর থেকে বোঝা যায় যে আগামী দু'বছরের মধ্যে রাস্তায় হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা আরও কমবে ।

তবে বর্তমানে জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া হলেও গত 2018 সাল থেকে ভাড়া বাড়েনি হলুদ ট্যাক্সির । এই বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর (Snehasis Chakraborty on Yellow Taxi)কথায়, "অ্যাম্বাসাডর তো বন্ধ হয়ে গিয়েছে । বিড়লার কারখানাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এই হলুদ ট্যাক্সিও ট্রামের মতোই একটা আবেগের জায়গায় রয়েছে । কলকাতা ও হাওড়ায় 15 বছরের বেশি গাড়িগুলি আর চালানো যাবে না । সেগুলিকে বাতিল করতে হবে । তবে আমি জানি না বর্তমানে কত সংখ্যক মিটার ট্যাক্স রয়েছে যেগুলির বয়স 15 পার করেছে । তবে আগামিদিনে হলুদ ট্যাক্সি আর থাকবে কি না, তা নির্ভর করছে সেগুলির বয়সের ওপর।"

আরও পড়ুন : ধাপে ধাপে বাতিল হচ্ছে 15 বছরের পুরনো গাড়ি, চিন্তায় হলুদ ট্যাক্সি মালিকরা

হলুদ ট্যাক্সির ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য

কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: শহর কলকাতায় অতি পরিচিত হলুদ ট্যাক্সি । বলতে গেলে ট্রামের পর যা শহর কলকাতার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে ৷ শহরের রেফারেন্স পয়েন্টগুলোর মধ্যে আগে হাওড়া ব্রিজ, ট্রাম এবং হলুদ ট্যাক্সি ছিল । গণ পরিবহণ এখন অনেক বেশি স্মার্ট । একদা অতি ব্যবহৃত ট্রাম বা হলুদ ট্যাক্সি থাকলেও শহরবাসী এখন অনেক বেশি নির্ভর করে মেট্রো ও অ্যাপ ক্যাবের উপর ।

1908 সালে কলকাতায় প্রথম ট্যাক্সি দৌড়েছিল চৌরঙ্গী রোডের উপর দিয়ে । ফরাসি কোম্পানি শেভিজাঁ প্রথম ট্যাক্সি নিয়ে আসে শহরে । তারপর ইন্ডিয়াান মোটর ট্যাক্সি ক্যাব অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ট্যাক্সি নিয়ে আসে। এরপর ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বন্ধ হয়ে যায় এই কোম্পানি । তখন 1957 সালে হিন্দুস্থান মোটর কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসে অ্যাম্বাসাডর । এই গাড়িগুলি তখন ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি ট্যাক্সি হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে চালানো শুরু হয় । তখন শহরের মধ্যে চলাচলকারী ট্যাক্সির রং ছিল কালো ও হলুদ । যেগুলি শহরের বাইরে যেত সেগুলি ছিল শুধু হলুদ । এরপর কালো-হলুদ ট্যাক্সি ধীরে ধীরে সরে গিয়ে রয়ে গেল শুধুই হলুদ ট্যাক্সি । তারপর এই কোম্পানিও অ্যাম্বাসাডর তৈরি বন্ধ করে দেয় । সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে শহরে চলে আসে অ্যাপ ক্যাব । তবে অ্যাপ ক্যাবের চড়া ভাড়ার বিকল্প হিসেবে এখনও অনেকেই এই হলুদ ট্যাক্সি পছন্দ করেন ।
শহর ও শহরতলিতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মতো 15 বছরের পুরনো বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর । ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে সেই রকম বহু গাড়ি । পাবলিক ভেহিকেলস ডিপার্টমেন্টের (PVD) তরফে মালিকদের নোটিশও পাঠানো হয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে বহু হলুদ টাক্সিও । তাই স্বাভাবিকভাবেই রাস্তায় কমতে শুরু করেছে হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা (Future of Yellow Taxi )।

পিভিডির দেওয়া তথ্য অনুসারে 2008 সালে রেজিস্ট্রেশন হওয়া হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা মোট 9 হাজার 717টি । যদিও এই সংখ্যার মধ্যে এমন বহু টাক্সি রয়েছে যেগুলি ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে । আর আগামী দু'বছর এই সংখ্যার মধ্যে বাতিল হবে মোট 491টি হলুদ ট্যাক্সি । অর্থাৎ, এর থেকে বোঝা যায় যে আগামী দু'বছরের মধ্যে রাস্তায় হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা আরও কমবে ।

তবে বর্তমানে জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া হলেও গত 2018 সাল থেকে ভাড়া বাড়েনি হলুদ ট্যাক্সির । এই বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর (Snehasis Chakraborty on Yellow Taxi)কথায়, "অ্যাম্বাসাডর তো বন্ধ হয়ে গিয়েছে । বিড়লার কারখানাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এই হলুদ ট্যাক্সিও ট্রামের মতোই একটা আবেগের জায়গায় রয়েছে । কলকাতা ও হাওড়ায় 15 বছরের বেশি গাড়িগুলি আর চালানো যাবে না । সেগুলিকে বাতিল করতে হবে । তবে আমি জানি না বর্তমানে কত সংখ্যক মিটার ট্যাক্স রয়েছে যেগুলির বয়স 15 পার করেছে । তবে আগামিদিনে হলুদ ট্যাক্সি আর থাকবে কি না, তা নির্ভর করছে সেগুলির বয়সের ওপর।"

আরও পড়ুন : ধাপে ধাপে বাতিল হচ্ছে 15 বছরের পুরনো গাড়ি, চিন্তায় হলুদ ট্যাক্সি মালিকরা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.