কলকাতা, 24 জুলাই: শহরের অতি পরিচিত হলুদ ট্যাক্সির হাল ফেরাতে এবার উদ্যোগী হল রাজ্য পরিবহণ দফতর। আগামী মাস থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে পথে নামবে প্রায় 1000টি অ্যাপ চালিত কলকাতার ঐতিহ্যবাহি হলুদ ট্যাক্সি। শহর কলকাতার রেফারেন্স পয়েন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে হাওড়া ব্রিজ, ট্রাম এবং হলুদ ট্যাক্সি। তবে সময়ের সঙ্গে গণপরিবহণ এখন অনেক বেশি স্মার্ট। 'যাত্রী সাথী' এই অ্যাপের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ভাবে চালানো হবে ট্যাক্সি।
একদা অতিব্যবহৃত ট্রাম এবং হলুদ ট্যাক্সি থাকলেও যাত্রীরা এখন অনেক বেশি নির্ভর করেন মেট্রো এবং অ্যাপ ক্যাবের উপরই। অন্যদিকে, লাগামছাড়া জ্বালানির দাম। পাশাপাশি ভাড়া বাড়াতে নারাজ পরিবহণ দফতর। দিনে দিনে কমছে হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা। আর হাতে গোনা যেই ট্যাক্সিগুলি রাস্তায় চলছে সেগুলিও প্রায় ধুঁকছে। আবার অনেক ট্যাক্সি মালিক অর্থাভাবে ইনস্যুরেন্স নবীকরণ করাতে পারেননি। বাকি পড়েছে পারমিট রিন্যুয়াল ও সার্টিফকেট অফ ফিটনেসও। নতুন ট্রাফিক আইনের ভারী জরিমানার ভয় তাই অনেক মালিকই আর ট্যাক্সি চালাচ্ছেন না। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ট্যাক্সির ভাড়া বাড়ানো যাবে না।
আরও পড়ুন: বেআইনি বাইক-ট্যাক্সি রুখতে সক্রিয় পরিবহণ দফতর
তাই এবার বিকল্প পথে যাতে হলুদ ট্যাক্সির হাল ফেরাতে উদ্যোগী হল রাজ্য পরিবহণ দফতর। অন্যান্য অ্যাপ-ক্যাব নির্ভর গাড়িগুলির মতো স্মার্ট ফোন থেকে অ্যাপের সাহায্যে বুক করতে হবে ট্যাক্সি। প্রাথমিকভাবে 1000টি ট্যাক্সিকে এই পরিষেবার মাধ্যমে নিয়ে পথে নামানো হবে। এরপর যাত্রীদের মধ্যে কেমন সাড়া মিলছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ধাপে ধাপে আরও ট্যাক্সিকে এর আওতায় আনা হবে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, অন্যান্য অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলো যেমন চড়া ভাড়া হাঁকে তেমনটা এখানে হবে না। সঠিক ভাড়ায় যাত্রীকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য হবে এক্ষেত্রে।
ইতিমধ্যেই প্লে-স্টোরে খুঁজলে পাওয়া যাচ্ছে এই অ্যাপটি। তবে এখনই যাত্রীরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন না। পরিষেবা চালু হলে যাত্রীদের জন্য অ্যাপটি খুলে যাবে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ চালকদের মোবাইলে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করিয়ে দিচ্ছে। তবে যে চালকদের কাছে স্মার্টফোন নেই, তাঁদের গাড়ির তথ্য নিয়ে রাখা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে তাঁদেরও এই পরিষেবার আওতায় আনা যায়।
আরও পড়ুন: লাইসেন্সহীন পাঁচটি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাকে শো-কজ, বিপাকে মালিক ও চালকরা