কলকাতা, 21 অক্টোবর: রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সব চেয়ে আলোচিত দু’টি স্পট ঠিক করে দিচ্ছে রাজ্য রাজনীতির গতিপথ (WB Political Scenario) । বিগত কয়েকদিন যাবত সংবাদ শিরোনামে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন (Job Seekers agitation in Kolkata) । প্রথমদিকে যাবতীয় আন্দোলন ছিল বঞ্চিত টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী এবং রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকার (পড়ুন, তৃণমূল কংগ্রেস) ।
কিন্তু, গত কয়েকদিনে সেই চিত্রপটটাই আমূল বদলে গিয়েছে । অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা-নেত্রী । শুধু তাই নয়, রীতিমতো পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন সুকান্ত মজুমদার, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা । উঠতি বাম নেত্রীকে মীনাক্ষীকে কার্যত চ্যাঙদোলা নিয়ে গিয়েছে উর্দিধারীরা । সবমিলিয়ে বিরোধী শিবিরের মুখে 'মানবিকতা'র কথা শোনা গেলেও অরাজনৈতিক আন্দোলনেও লেগেছে রাজনীতির ছোঁয়া (Government-Opposition Clash in WB)।
অন্যদিকে, শাসক শিবিরের দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই আন্দোলনকারীদের পালে হাওয়া দিচ্ছে বিজেপি-সিপিআইএম-কংগ্রেস । জোড়াফুল শিবিরের কটাক্ষ, একুশে'র বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস । বিজেপি প্রধান বিরোধী হলেও এখনও 'মমতা অ্যান্ড কোং'কে বেকায়দায় ফেলার মতো জায়গায় পৌঁছয়নি । এই অবস্থায় তাদের ভরসা করতে হচ্ছে 'অন্যের আন্দোলন'-এর উপর । তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনকে জিইয়ে রাখতে চাইছে । কারণ, এই আন্দোলন জিইয়ে থাকলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে ।"
আরও পড়ুন: হাজতে ভরল পুলিশ, রাত কাটল দুষ্কৃতীদের সঙ্গে; 'অভিশপ্ত জন্মদিন' অনশনরত চাকরিপ্রার্থীর
অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনাই শাসকের জন্য কাল হবে । সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় মনে করেন, যেভাবে বলপ্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করা হল, এর ফল আখেরে ভুগতে হবে বাংলার শাসককে । বাংলার ছাত্র-যুবরা কোনওভাবেই এই অত্যাচার মেনে নেবে না । এই অত্যাচার আদপে শাসককে সরাসরি গদি থেকে রাজপথে নামিয়ে আনবে ।
যদিও রাজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে ভাবতে নারাজ তৃণমূল নেতারা । তাঁদের কথায়, আন্দোলনের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আন্দোলন কীভাবে করতে হয় ভালোভাবেই জানেন তিনি । তাই করুণাময়ী হোক বা ধর্মতলা, বিরোধীদের এখনও অনেক পথ চলতে হবে ।