কলকাতা, 19 মার্চ: রাজ্য়ের ধান চাষীদের (Farmer) জন্য সুখবর। ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকদের থেকে আরও বেশি পরিমাণে ধান কিনবে খাদ্য দফতর। সিপিসি সেন্টার থেকে রাজ্য় সরকার কয়েক লক্ষ মেট্রিক টন ধান (Rice) কিনবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য়মন্ত্রী (Food Minister) রথীন ঘোষ ৷
যদিও চলতি মরশুমের ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পথে। তবে খাদ্য় দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলতি মাসের 31 তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন সিপিসি সেন্টার থেকে প্রায় 55 লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে তারা। সব মিলিয়ে আগামী নভেম্বর মাসের আগে পর্যন্ত মোট 61 লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনবে রাজ্য়ের খাদ্য় দফতর। এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, "ইতিমধ্যে 46 লক্ষ 80 হাজার মেট্রিক টন ধান বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করেছে খাদ্য দফতর। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রাজ্যের 15 লক্ষ 4 হাজার 471 জন কৃষক তাদের নিজেদের ধান নিজেরা বিক্রি করেছেন। আগামী নভেম্বর মাসের আগে পর্যন্ত 61 লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্য় মাত্রা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।"
খাদ্য়মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে 'ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া' কৃষকদের থেকে ছয় লক্ষ মেট্রিক টন ধান নিয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর সেই ধান তারা সংগ্রহ করছে না। যার জেরে লোকসানের মুখে পড়তে চলেছে রাজ্য়ের চাষীরা ৷ খাদ্য়মন্ত্রীর দাবি, কৃষকদের যাতে লোকসান না-হয়, সেই কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকারই সেই ধান কিনবে সরাসরি কৃষকদের থেকে। সবমিলিয়ে বিগত বছরগুলির তুলনায় এবছর অনেকটাই বেশি পরিমাণে ধান কিনছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, এবছর ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য 2040 টাকা কুইন্টাল প্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরেও রাজ্য সরকারই প্রতি কুইন্টালে 20 টাকা অতিরিক্ত দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে, সিপিসি বা ডিপিসি এবং মোবাইল সিপিসিগুলিতে ধান বিক্রি করতে হবে কৃষকদের। তবেই মিলবে কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত 20 টাকা। এদিকে চলতি বছরে প্রথমবার ধান কিনতে কৃষকদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্য খাদ্য দফতর। যার জেরে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তুলনামূলক অনেক বেশি সংখ্যক গাড়ি নামিয়েছে খাদ্য় দফতর। ধান বিক্রির জন্য জটিলতা এড়াতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন, আমতলা থেকে জেলা সফর শুরু অভিষেকের
অন্য়দিকে, অভিযোগ উঠেছে রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় এই অনলাইন বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বহু ব্যবসায়ী চাষীদের নামে ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ব্যবসায়িক ধান অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করছেন ৷ এদিন বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও ব্যবসায়ীদের ধান বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পালটা চাষীদেরই দায়ী করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর কথায়, "চাষীদের সুবিধার্থেই সরকার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছে। আর সেই সুযোগ চাষীরা নিজেরা যদি ব্যবসায়ীদের দেয় সেই চুরি ধরার ক্ষমতা সরকারের এই মুহূর্তে নেই।" এক্ষেত্রে চাষীরা নিজেদের পায়ে নিজেরাই কোপ মারছেন বলেও মনে করেন খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ।