কলকাতা, 22 মে: এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কড়া চিঠি পাঠায় রাজভবন । তাতে সাপ্তাহিক রিপোর্টের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধানে সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয় উপাচার্যদের । কিন্তু মাস পেরলেও সেই সাপ্তাহিক রিপোর্ট এল না রাজভবনে। যার জেরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজভবন ৷ রিপোর্ট না-পেয়ে উপাচার্যদের ফের চিঠি পাঠাল রাজভবন ।
গত 19 মে রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শেষ চিঠি পাঠানো হয়েছে । উপাচার্যদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয় সেই চিঠিতে । সেই চিঠিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, "মাননীয় আচার্য তথা রাজ্যপালের নির্দেশানুসারে সপ্তাহের শেষ দিনেই ওই রিপোর্ট জমা পড়ে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোনও রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি ।" সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তার ভিত্তিতেই ৪ এপ্রিল সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কড়া নির্দেশিকা পাঠয় রাজভবন। রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) এবং যুগ্ম-সচিব রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই নির্দেশ পাঠান ।
সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা ছিল, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও জটিলতা কাটাতে সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা । প্রথম, সাপ্তাহিক কার্যকলাপের রিপোর্ট প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে ই-মেল মারফৎ জমা দিতে হবে এমনটাও জানানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে । আর্থিক লেদেনের বিষয়েও সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে । আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত এমন যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা উপাচার্যকে । সেই সঙ্গে জমা দিতে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের তথ্য ।
উপাচার্যরা প্রয়োজনে রাজ্যপালের এডিসি-এর মাধ্যমে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে টেলিফোন বা মেইল করে যোগাযোগ করতে পারেন বলেও সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে । রাজ্যপালের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি দেবাশিস ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলির সমন্বয় করবেন বলেও জানানো হয়েছে । এই নির্দেশিকার পরও রাজভবনে কোন রিপোর্ট জমা পড়েনি বলে ফের উপাচার্যদের চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে ।
আরও পড়ুন: দুবছরে মামলায় রাজ্য সরকারের খরচ 330 কোটি, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর